• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
হুট করে বিসিবির সঙ্গে রবির চুক্তি বাতিল

ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট

হুট করে বিসিবির সঙ্গে রবির চুক্তি বাতিল

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৬ আগস্ট ২০১৮

নির্ধারিত সময়ের প্রায় বছর খানেক আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেটদলের অফিশিয়াল স্পন্সর থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিল বেসরকারি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান রবি। প্রতিষ্ঠানটির এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি। তবে অভিজ্ঞ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কয়েকজন ক্রিকেটারের অন্য মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির কারণে রবির সঙ্গে চুক্তিটি সাংঘর্ষিক হয়ে পড়ে। তার পরই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রবি।

২০১৫ সালে প্রথমবার রবি যখন বিসিবির সঙ্গে চুক্তি করে, টুকটাক সমস্যার শুরু হয় তখনই। শীর্ষ কয়েকজন ক্রিকেটার অন্য মোবাইল ফোন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকায়, রবির বিজ্ঞাপনের শ্যুটিংয়ে প্রায়ই অনীহা জানায়।  সেবার ৪১ কোটি  ৪১ লাখ  টাকায় টিম সত্ত্ব পেয়েছিল রবি।

দ্বিতীয় দফায় গত বছরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে রেকর্ড ৬০ কোটি টাকায়  ২০১৯ সাল পর্যন্ত টিম সত্ত্ব পায় রবি। তবে কয়েকজন ক্রিকেটারের অসহযোগিতা অব্যাহত ছিল এ সময়ও। আগের রাজস্বের যে  ক্ষতি হয়েছিল অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের অসহযোগিতায়; সেই ক্ষতি  পুষিয়ে দিতে এবার টেলিফোন কোম্পানিটিকে বাড়তি সময় হিসেবে ২০১৯ সাল বিশ্বকাপ পর্যন্ত  সত্ত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়  বিসিবি। এখানে বোর্ডের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় আনুমানিক প্রায় আট কোটি টাকা। তবে  শেষ রক্ষা হয়নি।

পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিসিবির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রবি। এনটিভির কাছে এ সংক্রান্ত একটি আনুষ্ঠানিক পত্র যার বড় প্রমাণ। সেখানে জাতীয় দল ও বয়স ভিত্তিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করতে অনেকটা বাধ্য হয়েছে রবি, এমনটাই বলছে মোবাইল ফোন কোম্পানিটি।

বারবার বলার পরও এক বা দুজন ক্রিকেটার অন্য মোবাইল ফোন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিভুক্ত থাকায় এবং তাদের বিজ্ঞাপন প্রদর্শনে হতাশ হয়েই এ সিদ্ধা্ন্ত নিয়েছে রবি। এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি সংশ্লিষ্ট একজন। ঈদের ছুটিতে অনেকেই বাইরে থাকায় আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে চাননি। যারা ঢাকায় আছে তারাও স্পর্শকাতর এই বিষয়ে  ক্যামেরায় কথা বলেনি।

বিসিবির পক্ষটি মনে করছে ক্রিকেটাররা এমন অসহযোগিতা যদি অব্যাহত থাকে তবে অদূর ভবিষ্যতে করপোরেট স্পন্সর থেকে আরো বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার শঙ্কা আছে। যে কারণে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের চুক্তিপত্র মেনে চলার বাধ্যবাধকতা এরপর থেকে আরো কঠিন করা হবে। হঠাৎ করেই এই স্পন্সর শূন্যতা কিছুই ইমেজ সংকটেও ফেলেছে বোর্ডকে। তবে আগামী মাসেই দরপত্রের মাধ্যমে নতুন টিম স্পন্সর খুঁজে নেওয়ার সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে সূত্রটি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads