• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
ইরফানের বিশ্বরেকর্ডেও জয় মাহমুদউল্লাহদের

এই জয়ে ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে সেন্ট কিটস

ছবি : ইন্টারনেট

ক্রিকেট

ইরফানের বিশ্বরেকর্ডেও জয় মাহমুদউল্লাহদের

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৭ আগস্ট ২০১৮

সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসকে মাত্র ১৪৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বারবাডোজ ট্রাইডেন্টস। ছোট লক্ষ্য দিয়েও তারা প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানায় মোহাম্মদ ইরফানের রেকর্ড গড়া বোলিং স্পেলে। কিন্তু সেন্ট কিটসের ব্যাটসম্যান ব্র্যান্ডন কিং পাকিস্তানি পেসারের ঝলমলে দিনটা মাটি করে দিয়েছেন। ৬ উইকেটে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে মাহমুদউল্লাহদের দল সেন্ট কিটস।

এই জয়ে ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে সেন্ট কিটস। দুই ম্যাচ বেশি খেলে জ্যামাইকা তালাওয়াসের অর্জন ৮ পয়েন্ট। সেন্ট লুসিয়া স্টার্সের বিপক্ষে সেন্ট কিটসের আগের ম্যাচ জয়ে ২০ রানে ২ উইকেট নেওয়া মাহমুদউল্লাহ এদিন ব্যাটিং কিংবা বোলিং কোনোটিই করেননি।

শনিবার বারবাডোজের মাঠে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় সেন্ট কিটস। বেন কাটিং ও অ্যান্টন ডেভিস ২টি করে উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের ৬ উইকেটে ১৪৭ রানে বেঁধে  ফেলেন। বারবাডোজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ৩৫ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে ৫৪ রানের সেরা ইনিংস খেলেন।

লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না সেন্ট কিটসের জন্য। কিন্তু ইরফানের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে তারা। ৭ ফুট ১ ইঞ্চি লম্বা এই পেসার ইনিংসের প্রথম বলে ক্রিস গেইলকে বন্দি করেন নিকোলাস পুরানের গ্লাভসে। পরের ওভারে আরেক ওপেনার এভিন লুইসকেও (১) একইভাবে বিদায় করেন ইরফান। প্রথম দুই ওভারে দুটি উইকেট তো নিয়েছেনই, টানা তিন ওভার মেডেন করেন এ পাকিস্তানি পেসার। ইরফানের চার ওভারের নির্ধারিত কোটার শেষ বলে কিং একটি রান করেন। তাতে টি-টোয়েন্টি বোলিংয়ে মিতব্যয়ী বিশ্বরেকর্ড গড়েন ৩৬ বছরের এই বাঁ হাতি পেসার। তার বোলিং ফিগার ছিল ৪-৩-১-২! তার অবিশ্বাস্য বোলিং স্পেলে ৯ ওভারে ২ উইকেটে ৩১ রান করে সেন্ট কিটস। তবে দশম ওভারে স্টিভেন স্মিথকে ডেভন থমাস ও কিং দুটি করে ছক্কা মারলে ম্যাচ বারবাডোজের হাতছাড়া হয়ে যায়। এই দুই ব্যাটসম্যান ক্রিজে ঝড় তোলেন। ওয়াহাব রিয়াজের কাছে বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে ৩২ রান করেন থমাস। ১৬তম ওভারে অ্যাশলে নার্সের বলে আউট হওয়ার আগে ৪৯ বলে ৪টি চার ও ৫টি ছয়ে ৬০ রান করেন কিং। জয়ের মসৃণ পথ তৈরি করে দিয়ে আউট হন তিনি। বাকি কাজ সারেন বেন কাটিং ও টম কুপার। কাটিং ২৯ ও কুপার ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১৮.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪৮ রান করে সেন্ট কিটস। ম্যাচসেরা হন ইরফান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads