• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ছয় মাস নিষিদ্ধ সাব্বির!

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান রুম্মন

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

ছয় মাস নিষিদ্ধ সাব্বির!

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ক্যারিয়ার জুড়েই নেতিবাচক খবর হেঁটেছে পাশাপাশি। কখনো মাঠে, কখনো মাঠের বাইরে। এর জন্য শাস্তির খড়্গ বার বারই নেমে এসেছে। কখনো নিষেধাজ্ঞা, কখনো জরিমানা, কখনোবা একসঙ্গে দুটোই। তারপরও যেন হুঁশ নেই। চলছে লাগামহীন কর্মকাণ্ড। শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আবারো ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান রুম্মন। আগে ছয় মাস নিষিদ্ধ ছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটে, এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তার মানে, আগামী ছয় মাস জাতীয় দলের জার্সি গায়ে উঠছে না সাব্বিরের।

গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ডিসিপ্লিনারি কমিটি সাব্বিরকে ছয় মাসের নিষিদ্ধের জন্য সুপারিশ করেছে। বোর্ড সভায় আজ তা অনুমোদন হয়ে যাওয়ার কথা। আর তা হলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো নিষেধাজ্ঞা পর্ব শুরু হয়ে যাবে সাব্বিরের। নারী কেলেঙ্কারি, সমর্থককে পেটানো, আম্পায়ারকে হুমকি; এমন অভিযোগে আগে শাস্তি পেয়েছেন সাব্বির। এবার শাস্তি পেলেন ফেসবুকে এক সমর্থককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার জন্য। সঙ্গে যোগ হয়েছে দেরাদুনে আফগানিস্তান সিরিজে সতীর্থ মেহেদী হাসান মিরাজের গায়ে হাত তোলার ঘটনাও।

যদিও সাব্বির শুনানিতে বলেছেন, তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছিল। এই ফাঁকে অন্য কেউ করেছে এটা। তবে পাশাপাশি অনেক কিছু স্বীকারও করেছেন তিনি। বিষয়টির জন্য তিনি অনুতপ্ত। ভবিষ্যতে এমনটি হবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে ভবিষ্যতে আরো কঠোর হবে বিসিবি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ডিরেক্টর ইসমাইল হায়দার মল্লিক সাব্বিরের শাস্তির সুপারিশের বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিসিপ্লিনারি কমিটির চেয়ারম্যান শেখ সোহেল এবং বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন সুজন। শুনানিতে সাবেক স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় ঝুলে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন না নাসির হোসেন।

ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘ডিসিপ্লিনারির দুটি শুনানি ছিল। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত বলব না, সুপারিশ বলব; যা বোর্ড সভাপতির বরাবর দেওয়া হবে। সাব্বিরকে ছয় মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করার জন্য বোর্ড প্রধানকে সুপারিশ করব। আর মোসাদ্দেককে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে তাকে সাবধানে চলতে বলা হয়েছে। নাসিরের বিষয়ে কোনো শুনানি হয়নি। ভবিষ্যতে তাকে ডাকা হতে পারে। ইনজুরির কারণে সে এমনিতেই খেলার বাইরে।’

শুনানিতে সাব্বিরের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সে অনুতপ্ত। ভবিষ্যতে এ রকম কিছু করবে না বলে প্রতিজ্ঞা করেছে। সে অনেক কিছু স্বীকারও করেছে। আর মোসাদ্দেকের ব্যাপারটি পারিবারিক মামলা। বিচার-বিবেচনা করে আমরা তাকে নির্দেশনা দিয়েছি। তাকে সাবধান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে যাতে সংযত হয়ে চলে। এটা যেহেতু বিচারাধীন বিষয়। কোর্ট থেকে যা বলা হবে, সেটাই তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।’

সাব্বিরের ধারাবাহিক শাস্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এতদিন তার শাস্তি ছিল আর্থিক জরিমানা ও ঘরোয়া ক্রিকেটে ছয় মাস নিষিদ্ধ। এর চেয়ে বড় শাস্তি হলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ। এর সঙ্গে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে এ রকম কিছু ঘটলে তাকে বড় শাস্তি দেওয়া হবে। হয়তো তাকে দীর্ঘমেয়াদে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।’ বিসিবি সভাপতির সঙ্গে কয়েকজন পরিচালকের অনানুষ্ঠানিক এক সভায় সাব্বিরকে এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত বহিষ্কারের প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু নতুন কোচ স্টিভ রোডস এবং সিনিয়র ক্রিকেটারদের অনুরোধে সেটা আমলে নেওয়া হয়নি।

গত ডিসেম্বরে সমর্থককে পেটানো ও আম্পায়ারকে হুমকি দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ছয় মাস নিষিদ্ধ ছিলেন সাব্বির। সঙ্গে ২০ লাখ টাকা জরিমানা। এমন শাস্তিতে কী শিক্ষা নিলেন সাব্বির। এশিয়া কাপের স্কোয়াডে এমনিতেই নেই। সামনে ঝুলছে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা। জাতীয় দলে ফেরার রাস্তাটা বন্ধুর হয়ে গেল তার জন্য।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads