• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
শিরোপায় চোখ মিঠুনের

ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

শিরোপায় চোখ মিঠুনের

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

এশিয়া কাপ মানেই যেন বাংলাদেশের জন্য দুঃখগাথা। ফাইনালে উঠেও হার। নিঃশ্বাস দূরত্বের শিরোপার কাছে গিয়েও বার বার হতাশায় পোড়া। আবারো দুয়ারে এশিয়া কাপ ক্রিকেট। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবে ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। ফরম্যাটটি ওয়ানডে বলেই আশার পালে লাগছে জোর হাওয়া। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের মতো শক্তিশালী দল থাকলেও টাইগার শিবিরের চোখ শিরোপায়। বাংলাদেশের স্কোয়াডে থাকা মোহাম্মদ মিঠুনের কথাতে তা স্পষ্ট।

গতকাল মিরপুরে প্র্যাকটিস শেষে এশিয়া কাপ নিয়ে মিঠুন বলেন, ‘আমি অবশ্যই আশাবাদী। অন্য ফরম্যাটে যেমনই হোক, ওয়ানডেতে কিন্তু বাংলাদেশ যথেষ্ট ভালো। বিশেষ করে গত চার বছর ধরে বাংলাদেশ ভালো করছে। আমাদের আসলে টুর্নামেন্টে মূল লক্ষ্য হলো চ্যাম্পিয়ন হওয়া। তবে প্রথম ধাপটি পার করা তো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে আমরা যারা খেলব তারা যদি অবদান রাখতে পারি তাহলে খুব সহজেই দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পারব।’

বছর চারেক আগে অভিষেক। তবে মিঠুন এখনো দলে জায়গাটা পোক্ত করতে পারেননি। ১৩টি টি-টোয়েন্টি ও তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলা মিঠুনের চোখ তাই এখানেই, ‘অবশ্যই দলে সুযোগ পেয়ে কিছু করা বা নিজের জায়গাটা পাকা করাই থাকে মূল উদ্দেশ্য। এর পরও কখনো হয় কখনো হয় না। মানুষের জীবন সব সময় এক রকম যায় না।’

ব্যাটিং পজিশন নিয়েও আছেন দ্বন্দ্বে। এক সময় ওপেনার হিসেবে ভাবা হলেও ছয় কিংবা সাতে করতে হচ্ছে ব্যাটিং। এ নিয়ে মিঠুন বলেন, ‘আমার চেষ্টা থাকে ধারাবাহিক রান করা। ছয় কিংবা সাত নম্বরে নামলেও। ছয় কিংবা সাতে খেললে ১১০, ১১৫, ১২০, ১৩০ স্ট্রাইক রেটে খেলতে হবে। একেক সময় পরিস্থিতি একেক ডিমান্ড করবে। তবে এই ধরনের স্ট্রাইক রেটে খেললে আমার মনে হয় যথেষ্ট ভালো হবে।’

ট্রাইনেশনের ফাইনালের পর অনেক দিনই মাঠের বাইরে। তারপর থেকে নিজের উন্নতি প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে সব সময় কাজ করতে পছন্দ করি। শুধু যে একটি সিরিজের জন্য আলাদাভাবে তৈরি হব এমনটি নয়। আমি সব সময় চেষ্টা করি তৈরি থাকার এবং শুধু যে জাতীয় দলের জন্যই তৈরি হই তা নয়। আমাদের ঘরোয়া লিগেও খেলতে হয়। সেখানে একটি দল আমাকে টাকা দেয়। সুতরাং একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমারো দায়িত্ব তাদেরকে শতভাগ দেওয়া। তাই আমি সব সময় তৈরি থাকি। আর অবশ্যই যখন জাতীয় দলে আসি তখন নতুন কোনো প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলতে গেলে তাদের অনেক নতুন বোলার থাকে। সেগুলো নিয়ে অনেক হোমওয়ার্ক করতে হয়। আন্তর্জাতিক ম্যাচ আসলে আমার খুব বেশি খেলার সুযোগ হয়নি যে, আমি সবাইকে পড়ে ফেলব। দলে সুযোগ পেলে চেষ্টা করি আবার নিজের হোমওয়ার্কগুলো করার জন্য।’

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে মিঠুন বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যাপারটি আসলে নির্ভর করছে মোমেন্টামের ওপর। আমরা যদি শুরুটা ভালো করতে পারি, দল হিসেবে আত্মবিশ্বাসী থাকি এবং প্রথম ধাপটি ভালোভাবে উতরাতে পারি তাহলে ভালো হবে। ক্রিকেট হচ্ছে একটি দিনের খেলা। যে দিনটি যাদের ভালো যাবে তাদের পক্ষে ফলাফল আসবে। সুতরাং অবশ্যই চেষ্টা করব যেন আমাদের দিকে বেশি মোমেন্টাম থাকে এবং সেরা ক্রিকেটটাই খেলার।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads