• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবলো বাংলাদেশ

মিঠুনকে সাজঘরে পাঠিয়ে গুলবাদিন নাইবের উল্লাস

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবলো বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে হার সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। টপ অর্ডারদের ব্যর্থতায় ডুবেছে লাল-সবুজের দল। গ্রুপ পর্বের নিয়ম রক্ষার ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে ১৩৬ রানে। আফগান বোলিংয়ে ৪২.১ ওভারে ১১৯ রানেই গুটিয়ে বাংলাদেশ। ২৫৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। দ্রুত দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে তারা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অভিষেকটা রঙিন করতে পারলেন না তিনিও। আরেক ওপেনার লিটন দাসও এদিন ব্যর্থ।

তামিম ইকবালের ইনজুরিতে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন শান্ত। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সুযোগটা নিশ্চিতভাবেই কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হয়নি। ওপেনিংয়ে নেমে মাত্র ৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। মুজিব উর রহমানের বলে বিগ শট খেলতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়েন তিনি আফতাব আলমের হাতে।

ওই ধাক্কা কাটার আগে আবারও উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শান্তর ক্যাচ ধরা আফতাব এবার উইকেট শিকারির ভূমিকায়। লিটনকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান আফগান এই পেসার। ফিল্ড আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নিয়েছিলেন লিটন। তাতে অবশ্য কাজ হয়নি, রিভিউ হারের সঙ্গে ৬ রানে আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই বিপদ আরও বাড়িয়ে যান মুশফিকের বদলে আসা মুমিনুল হক। খানিক পর তার দেখানো পথে হাঁটেন মিঠুন। মাত্র ২ রান করে গুলবাদিন নাইবের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি।

৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর চেষ্টায় ছিলেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু রশিদ খানের ঘূর্ণিতে বিদায় নিয়েছেন দুজনেই। রশিদের ঘূর্ণিতে এলবিডাব্লিউতে বিদায় নেন সাকিব। ফিরে গেছেন ৩২ রানে। পরে বোল্ড হয়ে ২৭ রানে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ। ৫৫ বলে ৩২ রান করেন সাকিব আর ৫৪ বলে ২৭ রান করেন রিয়াদ। রশিদ খানের স্পিন সামাল দিতে পারেননি তিনি। খেই হারিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন। বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশের পরিণতি আরো এগিয়ে নেন মিরাজ। ৩৩.১ ওভারে রহমত শাহর বলে তালুবন্দী হন। পরে আর মাথা তুলে দাঁড়াননি কেউ। বিদায় নেন একে একে মাশরাফি, (০), আবু হায়দার (১) ও রুবেল হোসেন (০)। মাঝে মোসাদ্দেক হোসেন শুধু ২৬ রানে সংগ্রাম করে অপরাজিত থেকেছেন।

ব্যাট হাতে আলো ছড়ানোর পর বল হাতেও দুর্দান্ত ছিলেন রশিদ খান। জন্ম দিনে ৯ ওভারে ১৩ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট। বাকি দুটি নেন গুলবাদিন, মুজিব উর রহমান। একটি করে নেন রহমত শাহ, আফতাব আলম ও মোহাম্মদ নবি। ম্যাচসেরাও হয়েছেন রশিদ খান।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানিস্তান রশিদ খানের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে গুলবাদিন নাইবের চমৎকার ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে জমা করে ২৫৫ রান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads