• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
আশাজাগানিয়া আফসোস

ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির পর লিটন দাস

ছবি -ক্রিকইনফো

ক্রিকেট

আশাজাগানিয়া আফসোস

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

কী শুরু আর কী শেষ! ওপেনিং নিয়ে সমালোচনা হয়েছে অনেক। কিন্তু তা এক ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালে গতকাল দুজনে তুললেন ১২০ রান। চ্যালেঞ্জিং স্কোর নয়, ভারতের বিরুদ্ধে রানপাহাড়ে চড়বে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটি তেমন আভাসই দিচ্ছিল। কিন্তু বিধিবাম, সাতে নামা সৌম্য ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান দাঁড়াতেই পারলেন না। মিডল অর্ডারের সীমাহীন ব্যর্থতায় চ্যালেঞ্জিং স্কোরও তখন দুরাশা। খেলা হলো না পুরো ৫০ ওভারও। দুবাইয়ে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৩ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট ২২২ রানে। এমন রান নিয়ে ভারতকে মোকাবেলা করা বড্ড কষ্টই।

উদ্বোধনী জুটিতে লিটন ও মিরাজ করলেন ১২০ রান। বাকি সবাই মিলে করলেন ১০২ রান। গুরুত্বপূর্ণ ফাইনালে পূর্ণোদ্যমে জ্বলে উঠলেন লিটন। পেছনের হতাশা উড়িয়ে করলেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। তার সঙ্গে মিরাজের ৩২ রানও কার্যকরী। শেষের দিকে সৌম্যর ৩৩ রান না এলে দুইশর নিচেই গুটিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। এই তিনজন বাদে বাংলাদেশের কেউই ছুঁতে পারেনি দুই অঙ্কের রান।

অথচ টস হেরেও কী দারুণ শুরুটা ছিল বাংলাদেশের। সবাইকে চমকে প্রথমবারের মতো ব্যাট হাতে ওপেন করতে নামলেন মিরাজ, সঙ্গী রানখরায় ভোগা লিটন। ভারতীয় বোলারদের মহল্লার বোলার বানিয়ে দুজনের রান তোলার স্টাইল ছিল মুগ্ধ হওয়ার মতো। ভয়ডরহীন ব্যাটিং। মিরাজ একটু সামলে খেললেও লিটন ছিলেন মারমুখী। রান আসছিল তরতরিয়ে। তবে দুজনের জুটি বিচ্ছিন্ন হয় ১২০ রানে। কুলদীপ যাদবের বলে রাইডুর হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ৩২ রান করা মিরাজ। তখন ব্যক্তিগত ৮৬ রানে অপরাজিত লিটন। সামনে হাতছানি দিচ্ছে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত তা তিনি করতে পেরেছেন ৮৭ বলে। শুধু তাই নয়, সাজঘরে ফেরার আগে করে যান ১২১ রানের ঝলমলে ইনিংস। ১১৭ বলের ইনিংসে লিটন হাঁকিয়েছেন ১২টি চার ও দুটি ছক্কা।

লিটনের বিদায়ের আগেই মড়ক লাগে বাংলাদেশ শিবিরে। ১৫১ রানের মধ্যে আত্মহত্যার মিছিলে যোগ দেন ইমরুল কায়েস (২), মুশফিকুর রহিম (৫), মোহাম্মদ মিঠুন (২) ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৪)।

তারপরও সৌম্যকে সঙ্গে নিয়ে বড় স্কোরের পথে আগাচ্ছিলেন লিটন। কিন্তু এক বিতর্কিত আউটেই যেন সব শেষ হয়ে যায়। থার্ড আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে স্টাম্পিং লিটন দাস দলীয় ১৮৮ রানের মাথায়। অথচ এটা বলতে গেলে আউটই না। ধোনি যখন স্টাম্পিং করেন, তখনো লিটনের পা পপিং ক্রিজে ছিল। বেনিফিট ডাউটও ব্যাটসম্যানের পক্ষে যায়। কিন্তু টিভি আম্পায়ার রড টাকারের নির্লজ্জ ভারতপ্রীতির কারণে সাজঘরে ফিরতে হয় লিটনকে।

শেষ পর্যন্ত সৌম্য সরকার চেষ্টা করেছেন স্কোর সমৃদ্ধ করতে। কিন্তু বাকিরা ছিলেন ছন্দহীন। ৪৫ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন সৌম্য। শেষ জুটি হিসেবে ছিলেন মোস্তাফিজ ও রুবেল। কিন্তু বাকি ওভারগুলো খেলা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads