• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
শেষ ওভারে কেন মাহমুদউল্লাহ?

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

শেষ ওভারে কেন মাহমুদউল্লাহ?

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

শেষ ওভারটা একজন পেসারকে দিয়েই করাতে চেয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। মনে মনে রুবেল হোসেন বা মোস্তাফিজুর রহমান দুজনের কাউকে বল হাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ম্যাচের বাস্তবতা তা হতে দেয়নি। ম্যাচ যেভাবে শেষদিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তাতে করে পেসারদের কোটা আগেই শেষ করতে হয়েছে। মানে ম্যাচ জয়ের আশা টিকিয়ে রাখতে পেসারদের আগে ব্যবহার করতে হয়েছে। তা না করলে ম্যাচ শেষ ওভার পর্যন্ত হয়তো গড়াতই না। মোস্তাফিজ, রুবেল ও নাজমুলের কোটা আগে শেষ হয়ে যায়। কোটা ছিল না মাশরাফিরও। বোলিংটা ভালো হওয়ায় মিরাজকে দিয়ে সাহস পাননি মাশরাফি। সৌম্যকে ডেকেও শেষ ওভারে বল মাহমুদউল্লাহর হাতে তুলে দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যাও দিলেন মাশরাফি, ‘শেষে রুবেল বা  মোস্তাফিজকে ব্যবহার করতে পারলে ভালোই হতো। কিন্তু ম্যাচের পরিস্থিতি তেমনটা ছিল না। আমি মাহমুদউল্লাহকে ডাকি যদি সে আত্মবিশ্বাসী থাকে। বিপিএলে এমন কঠিন পরিস্থিতিতে বল করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।’

মাশরাফির পরিকল্পনাটা প্রায় কাজে লেগে গিয়েছিল। মিস হিট করেছিলেন কুলদ্বীপ। কিন্তু ভাগ্য সহায় না থাকলে যা হয়। সুবিধাটা বাংলাদেশ নিতে পারেনি। মাশরাফি তুলে ধরলেন সেই আক্ষেপ, ‘আমরা চেয়েছিলাম কুলদ্বীপ যাদব মিস হিট করুক। কারণ কেদার যাদব একজন ভালো ব্যাটসম্যান। তার হিসাব-নিকাশটা ভালো হবে। ওভারের পঞ্চম বলটা ব্যাটের ভেতরের কোনায় লেগেও ছিল। স্টাম্প ভাঙতে পারত বল। কিন্তু ভাগ্যটা সহায় হয়নি। নিয়ন্ত্রণটা আমাদের হাতে ছিল। কিন্তু তার সুবিধাটা আমরা নিতে পারিনি।’

ম্যাচে স্পিনারদের কাছ থেকে আরো ভালো পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করেছিলেন মুর্তুজা। আর তাহলে ম্যাচের ফল পাল্টে যেতে পারত। কিন্তু তাই বলে ২২২ রানের দলীয় ইনিংস নিয়ে বোলারদের দোষারোপ করেননি দলনেতা মাশরাফি। কারণ ব্যাটসম্যানরাই তাদের সুযোগগুলো নষ্ট করে দিয়েছে- ‘যদি আমাদের স্পিনাররা ভালো বোলিং করত, ম্যাচের দৃশ্যপটটা বদলে যেত। মোস্তাফিজ ও রুবেল খুবই ভালো বোলিং করেছে। ৪৬তম ওভার থেকে তাদের হাতে বল দিতে পারলে আমার মতে ২৫ রান সেভ করা যেত।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads