• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
‘চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি’

কাল মিডিয়ার মুখোমুখি মেহেদী হাসান মিরাজ

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

‘চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি’

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১৮ অক্টোবর ২০১৮

ইনিংসের শুরুতেই বল করা। দেখা গেল সামনে ক্রিস গেইল। তারপরও মাথা ঠান্ডা করে বল করে থাকেন তিনি। আবার যদি বলা হয় ব্যাট হাতে ওপেন করতে, তাও পারেন। বয়সে এখনো তরুণ হলেও প্রবল আত্মবিশ্বাসী মেহেদী হাসান মিরাজ। তার দর্শনটাই এমন। যেখানে যেকোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করাই মূল কাজ।

গতকাল বুধবার মিরপুরে অনুশীলন শেষে জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মিরাজ যেমন বললেন, ‘আমি সব সময় চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। এটা আমি উপভোগ করি। আর পেছন থেকে যখন টিম ম্যানেজমেন্ট, সিনিয়র প্লেয়াররা সাপোর্ট দেন তখন নিজের আত্মবিশ্বাসটা অনেক বেড়ে যায়। ফাইনালের (এশিয়া কাপ) আগের রাতে যখন আমাকে বলা হয় ওপেন করতে হবে, তখন মাশরাফি ভাই, রিয়াদ ভাই বললেন- ‘করতে পারবি, সমস্যা নেই।’ তখন নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসটা বাড়ল।

জিম্বাবুয়ে সিরিজে নেই সাকিব। অলরাউন্ডার হিসেবে মিরাজের ওপরই চাপ পড়বে বেশি। মিরাজ বললেন, ‘আসলে এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক, সাকিব ভাই আমাদের সঙ্গে নেই। তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে দলে ফিরবেন। আর এটা চাপ নয়। এটা আমার কাছে বাড়তি দায়িত্বের মতো।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর থেকেই মিরাজের বোলিংয়ে উন্নতি চোখে পড়ার মতো। বোলিং নিয়ে কিছু কাজ করছেন তিনি। আনছেন বৈচিত্র্য। সে প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, ‘আগের থেকে এখন ভিন্নভাবে চিন্তা করছি। আর বোলিংয়ে কিছু ভেরিয়েশন এনেছি। ভেরিয়েশন বলতে, আমি আগে প্রায় সময় এক গতিতেই বল করতাম। সিমের পজিশন একটু অন্যরকম ছিল আগে। সিমের গতিপথ পরিবর্তন করেছি। আগে ৪৫ ডিগ্রিতে বল করতাম। এখন ৯০ ডিগ্রিতে করছি। এগুলোরই গতিপথ পরিবর্তন করে কিছু ভেরিয়েশন এনেছি।’

গতকাল সারা দিনই মিরপুরে ছিল আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফি। যে বিশ্বকাপ মিরাজের হতে যাচ্ছে প্রথম। সে প্রসঙ্গে আসতে নতুন স্বপ্নই দেখলেন মিরাজ, ‘সবার স্বপ্ন থাকে বিশ্বকাপ খেলার। যদি সুস্থ থাকি, আর সুযোগ পেলে অবশ্যই ভালো খেলার চেষ্টা করব। বিশ্বকাপের মঞ্চে ভালো খেলার স্বপ্ন তো সবার থাকে। অবশ্যই দলের সবাই চাইবে ভালো করতে। সবাই তো ভালো করার জন্যই অনুশীলন করছে। অনেকে খেলবে, অনেকে খেলবে না। সবাই চেষ্টা করছে।

সাকিব না থাকায় নিজেকে দলের নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার ভাবেন? মিরাজ হাঁটলেন উল্টোপথে, ‘সাকিব বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। আমার এমন কোনো অনুভূতি আসে না। সাকিব ভাই যখন খেলেন, তখন চেষ্টা করি অলরাউন্ডার হিসেবে দলের জন্য কিছু অবদান রাখার। তিনি অনেক উঁচু মানের ক্রিকেটার। তিনি বাংলাদেশকে অনেক দিন সার্ভিস দিয়ে আসছেন। তিনি দীর্ঘদিন র‍্যাঙ্কিংয়ে নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার ছিলেন। তার সঙ্গে আসলে আমার তুলনা চলে না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads