• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
জিম্বাবুয়ের সামনে সতর্ক বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে আজ

ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট

প্রথম ওয়ানডে আজ

জিম্বাবুয়ের সামনে সতর্ক বাংলাদেশ

  • মাহমুদুন্নবী চঞ্চল
  • প্রকাশিত ২১ অক্টোবর ২০১৮

দীর্ঘ নয় মাস পর ঘরের মাঠে ফিরেছে ক্রিকেট। মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে সাজ সাজ রব। নতুন করে স্টেডিয়াম সাজাতে ব্যস্ত সবাই। মাঠের চেহারাও বদলে গেছে আগের চেয়ে অনেক। পরিমাণমতো ঘাস কেটে বাড়ানো হয়েছে নান্দনিকতা। পিচের উত্তর-দক্ষিণ পাশে দুটি করে বড় বৃত্তাকার, পূর্ব ও পশ্চিমে লম্বা করে গালিচার মতো ছাপ। এক লাইনে ঘাস একেবারেই কম, আরেকটিতে গাঢ় সবুজাভ। দূর থেকে দেখতে দারুণ মায়াকাড়া। এমন দৃষ্টিনন্দন সবুজ জমিনেই আজ থেকে শুরু হবে ক্রিকেটযুদ্ধ। মুখোমুখি বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। প্রথম ওয়ানডের রণ-দামামা বাজবে আজ দুপুর আড়াইটায়।

রণ কিংবা যুদ্ধ- শব্দ দুটি বাড়াবাড়িই মনে হতে পারে। কারণ ম্যাচের আগের দিন দুই অধিনায়কের মুখে এমন আবহ লক্ষ করা যায়নি। বাংলাদেশ ফেভারিট থাকলেও মাশরাফি বিন মর্তুজা সতর্ক দৃষ্টি রেখেছেন প্রতিপক্ষের ওপর। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা আভাস দিয়েছেন শুধু প্রতিদ্বন্দ্বিতার। পরিষ্কার করে জয়ের ক্ষুধার কথাও মুখে আনেননি।

দিনবদলের যাত্রায় গত বছর তিনেক বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্বে সমীহ জাগানিয়া দল। ওয়ানডে ভার্সনে বিশেষ করে ঘরের মাটিতে তো দুর্দমনীয়। আর প্রতিপক্ষ যেখানে জিম্বাবুয়ে, সেখানে নির্ভারই থাকার কথা টাইগারদের। থাকছেও তাই। তবে ক্রিকেটীয় ভদ্রতার খাতিরেই হোক, লড়াকু মনোভাব ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন মাশরাফি।

দুই দলের তুলনা করা হলে সেখানেও চিত্র স্পষ্ট হবে। দুই দল ৬৯ বার মোকাবেলা করেছে। বাংলাদেশের জয় ৪১টিতে, জিম্বাবুয়ের ২৮। এই জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সবশেষ হার কবে জানেন, সেই ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর। এরপর ঘরের মাঠে টানা ১৩ ম্যাচ জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে শেষ ১৫ ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশের হার মাত্র দুটিতে, তাও বুলাওয়েতে। দুই দলের সবশেষ সাক্ষাৎ চলতি বছরের জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে। দুটি ম্যাচেই দোর্দণ্ড দাপটে জিতেছিল বাংলাদেশ।

এত গেল বাংলাদেশের সঙ্গে জিম্বাবুুয়ের হিসাব। সব দল মিলিয়ে শেষ ১০ ম্যাচের হিসাবটাও জিম্বাবুয়ের বড্ড বিবর্ণ। কারণ, হেরেছে প্রত্যেকটিতেই। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। তবে বাংলাদেশ সফরে নতুন আত্মবিশ্বাস নিয়ে এসেছে দলটি। যার বড় কারণ সিনিয়র কয়েকজন প্লেয়ারের প্রত্যাবর্তন। সঙ্গে কোচিং স্টাফ বদলের উজ্জীবনী মন্ত্র। প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করা জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক যেমন বললেন, ‘সাম্প্রতিক সময়টা আমাদের ভালো যায়নি। তবে বাংলাদেশের মাটি আমাদের অনেকটা চেনা। ভালো কিছুরই আশা করছি।’ অন্যদিকে বাংলাদেশ শিবিরে পচা শামুকে পা কাটার ভয়। মাশরাফির ইঙ্গিতটা তেমনই, ‘এদের (জিম্বাবুয়ে) সঙ্গে জিতলে সবাই বলবে স্বাভাবিক। কিন্তু হারলে বিপদ।’ আর তাই মাশরাফির চোখে সিরিজটা বেশ চ্যালেঞ্জের। এমনিতেই দলে নেই সাকিব ও তামিম। মুশফিক অনেকটাই ফিট। তবে জ্বরে পড়ায় রুবেলের খেলা নিয়ে আছে সংশয়। তারপরও সেরা দলটাই মাঠে নামবে বলে বিশ্বাস নড়াইল এক্সপ্রেসের।

মিরপুরের উইকেট নিয়ে দুই দলই কিছুটা সন্দিহান। তারপরও মাশরাফির মতে, এই মাঠে আগে ব্যাট করে ২৫০-২৬০ রান করতে পারলে চাপে রাখা যাবে প্রতিপক্ষকে। শুরুতেই উইকেটে টার্ন চান না মাশরাফি। তিনি চান স্পোর্টিং উইকেট। তবে পেসারদের পাশাপাশি জিম্বাবুয়ে দলকে ঘায়েল করতে স্পিন বোলিংই মূল অস্ত্র বাংলাদেশের। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক মাসাকাদজা অবশ্য বাংলাদেশের স্পিন মোকাবেলায় বেশ দৃঢ়প্রত্যয়ী, যা তিনি খোলাসা করেই বলেছেন।

৫০ ওভারের ম্যাচ। নির্দিষ্ট দিনে সব বিভাগ জ্বলে উঠলেই আসবে জয়। শুরুটা কার ভালো হয়, বাংলাদেশ না জিম্বাবুয়ের- সেটা দেখা যাবে আজ মিরপুরেই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads