• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
এক ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশের সিরিজ জয়

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

এক ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশের সিরিজ জয়

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৪ অক্টোবর ২০১৮

এক ম্যাচ হাতে রেখে খুব সহজেই সিরিজ জয় করল টাইগাররা। মিরপুরে প্রথম ওয়ানডেতে ম্যাচের অর্ধেক সময়েই বুঝা গিয়েছিল জিততে চলেছে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ২৮ রানে। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ম্যাচের দৃশ্য তো আরো সহজ-সরল। জিম্বাবুয়েকে ২৪৬ রানে বেঁধে ফেলার পর টাইগার শিবিরে আগাম জয়ের আভা উঁকি দচ্ছিল। ওপেনিংয়ে লিটন-ইমরুলের ১৪৮ রানের জুটি সেই আভায় রূপ দেয় আগাম জয়োৎসবে। শেষ পর্যন্ত তেমন উত্তেজনা না ছড়িয়ে উল্টো প্রবল দাপটে এলো ৭ উইকেটের জয়, ৪৪.১ ওভারেই। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ জিতল মাশরাফি ব্রিগেড। আগামী শুক্রবার তৃতীয় ওয়ানডে। যেখানে বাংলাদেশের সামনে জিম্বাবুয়েকে টানা তৃতীয়বারের মতো হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ। জিম্বাবুয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারলে ভিন্ন কথা। তবে জয় তো মাসাকাদজাদের কাছে সোনার হরিণ। টানা ১২ ম্যাচের হার তারই প্রমাণ রাখে।

ঘরের মাঠে জয়ের টার্গেট ২৪৭। এর চেয়েও বেশি টার্গেটে জয়ের রেকর্ড ছিল বাংলাদেশের। উদ্বোধনী জুটিতে লিটন দাস ও ইমরুলের দৃঢ়চেতা ব্যাটিং সবকিছু সহজ করে দেয়। আসে ১৪৮ রান। জয়ের ভিত্তি তাতেই। তবে আফসোসও কম না। প্রথম ম্যাচে রান না পাওয়া লিটন এদিন হাঁটছিলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮৩ রানে (৭৭ বলে ১২টি চার ও একটি ছক্কা) সিকান্দার রাজার বলে তিরিপানোর তালুবন্দি তিনি। পান ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। গত এশিয়া কাপের ফাইনালে তিনি পেয়েছিলেন প্রথম সেঞ্চুরি। প্রথম ম্যাচে অভিষিক্ত ফজলে রাব্বি এদিনও ছড়ালেন হতাশার সুর। দুটি ম্যাচই যেন হূদয় এফোঁড় করে দিল। ৪ বলে শূন্য রান, দুই ম্যাচেই। রাজাকে তুলে মারতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার তিনি। মনের কোণে রাজ্যের ঝড় নিয়ে সাজঘরে রাব্বি। কী দুর্ভাগা কপাল। বাংলাদেশের স্কোর তখন ২ উইকেটে ১৫২।  তৃতীয় উইকেটে ইমরুলের সঙ্গে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। ক্রমেই জমতে শুরু করে এই জুটিও। কিন্তু লিটনের মতো আক্ষেপ ছড়ায় এই জুটি বিচ্ছিন্নের সময়। সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও আউট ইমরুল কায়েস। সিকান্দার রাজাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে চিগুম্বুরায় ধরা। হলো না ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। উল্টো নামের পাশে যোগ হলো ১৬তম ফিফটি। ১১১ বলের ইনিংসে বাউন্ডারি সাতটি। নেই কোনো ছক্কা। ধীরস্থির ইমরুল নার্ভাস নাইনটিজে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে হলেন অক্কা। কোনো দরকারই ছিল না এমন শটের। ধারাভাষ্যকারদের কণ্ঠেও ঝরেছে এমন আফসোস। শেষ পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন থেকে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে (২৫০/৩) নিয়ে যান মোহাম্মদ মিঠুন (২৪) ও মুশফিকুর রহিম (৪০)। জিম্বাবুয়ের হয়ে সিকান্দার রাজা একাই তুলে নেন তিন উইকেট।  এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শিবিরে ভয়ই ধরিয়ে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। শুরুতে অধিনায়ক মাসাকাদজা (১৪) সাজঘরে ফিরলেও খণ্ড খণ্ড কিছু জুটি দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল রান-পাহাড়ের দিকে। ৩০ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ছিল ২ উইকেটে ১৪৭। সেখান থেকে তিনশ রান অসম্ভব ছিল না। তবে শেষের দিকে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং হতে দেয়নি তা। জিম্বাবুয়ে থামে ২৪৬ রানে। জিম্বাবুয়ের ইন্ডিয়ান কোচ রাজপুতের আশা কিছুটা পূরণ হয়েছে। রান পেয়েছে অভিজ্ঞরা। বিশেষ করে ব্রেন্ডন টেইলর। তার ব্যাটেই আসে সর্বোচ্চ ৭৫ রান। দুটি ফিফটি অল্পের জন্য হয়নি। ৪৯ রানে মাশরাফির শিকার সিকান্দার রাজা। ৪৭ রান করা শন উইলিয়ামস সাইফউদ্দিনের বলে মুশফিকের তালুবন্দি। শেষের দিকে চিগুম্বুরা ও পিটার মুর সুবিধা করতে পারেননি ধারালো বোলিংয়ের মুখে।

তিন উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং সাইফউদ্দিনের। একটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেছেন মাশরাফি, মোস্তাফিজ, মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ। উইকেটের পেছনে তিনটি ক্যাচ নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এ তথ্য এমন আবার কী, অনেকে বলতে পারেন। তবে কারণ আছে। এতেই বাংলাদেশের প্রথম উইকেটরক্ষক হিসেবে মুশফিকুর পৌঁছে গেছেন ২০০তম  ডিসমিসালের (ক্যাচ ও স্টাম্পিং) মাইলফলকে। আর মাত্র ৫টি ডিসমিসাল হলেই জায়গা করে নেবেন ওয়ানডের সেরা দশ ডিসমিসালের তালিকায়। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads