• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
মুশফিকের দ্বিশতক কীর্তি

একদিকে সাইফউদ্দিনের উইকেট লাভের উল্লাস, অন্যদিকে ক্যাচ লুফে হাতে ব্যথা পাওয়া মুশফিক

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ক্রিকেট

মুশফিকের দ্বিশতক কীর্তি

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২৫ অক্টোবর ২০১৮

সিরিজ শুরুর আগেই দিয়েছিল নতুন কীর্তির হাতছানি। প্রথম ওয়ানডেতে তিনটি ডিসমিসাল হলেই হতো। তবে উইকেটের পেছনে একটি মাত্র ক্যাচ নিতে পেরেছিলেন তিনি। ফলে অপেক্ষা বাড়ল। ঢাকায় নয় হবে হয়তো চট্টগ্রামে। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে দুটি ক্যাচ নিয়ে নতুন কীর্তি গড়ে ফেললেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের প্রথম উইকেটরক্ষক হিসেবে ২০০ ডিসমিসালের (স্টাম্পিং ও ক্যাচ) মালিক এখন তিনি। আর মাত্র পাঁচটি ডিসমিসাল করতে পারলেই ওয়ানডের শীর্ষ দশ উইকেটরক্ষকের তালিকায় পৌঁছে যাবেন বাংলাদেশের এই ব্যাটিংস্তম্ভ। সেই কীর্তি খুব বেশি দূরে নয়, তা বলাই যায়।

গতকাল জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও শন উইলিয়ামসকে গ্লাভসবন্দি করে ২০০ ডিসমিসালের মাইলফলক স্পর্শ করেন মুশফিক। পরে সিকান্দার রাজার ক্যাচও নেন তিনি। তার মানে, ওয়ানডেতে মুশফিকের ডিসমিসাল সংখ্যা এখন ২০১। ১৯৪ ম্যাচে দুইশর রেকর্ড গড়লেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে ১৫৮টি ক্যাচ ও ৪২টি স্টাম্পিং।

ওয়ানডে ক্রিকেটে ডিসমিসালের তালিকায় মুশফিকের অবস্থান বর্তমানে ১১তম। শীর্ষে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা (৪৮২)। ৪৭২ ডিসমিসাল নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচার ও ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনির ডিসমিসাল যথাক্রমে ৪২৪ ও ৪২০। এ চারজনই ডিসমিসালের ৪০০ ক্লাবের সদস্য। এরপর মুশফিকসহ সাতজন রয়েছেন দুইশর ক্লাবে। তিনশর ক্লাবে নেই কেউ। মুশফিকের ওপরের সাতজন সবাই বিদায় নিয়েছেন ইতোমধ্যে ক্রিকেট থেকে। পঞ্চম স্থানে থাকা পাকিস্তানের মঈন খানের ডিসমিসাল সংখ্যা ২৮৭। এরপর রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (২৪২), অস্ট্রেলিয়ার ইয়ান হিলি (২৩৩), পাকিস্তানের রশিদ লতিফ (২২০), শ্রীলঙ্কার কালুভিতারানা (২০৬), ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেফ ডুজন (২০৪)। ২০১ নিয়ে এরপরই মুশফিকুর রহিম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যতই ডিসমিসাল করবেন, মুশফিকও তরতর করে এগিয়ে যাবেন ওপরের দিকে।

মুশফিকের রেকর্ডের দিনে আলোকিত ছিলেন বল হাতে বাংলাদেশের তরুণ অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং ইনিংসে তিনি পেয়েছেন তিন উইকেট, যা তার ক্যারিয়ার সেরা। আগে তার উইকেট সংখ্যাই ছিল মাত্র একটি। সব মিলিয়ে পাঁচ ম্যাচে চার উইকেট সংগ্রহ তার। বল হাতে অন্যদের মধ্যে কেউই তেমন আলো ছড়াতে পারেননি। একটি করে উইকেট বগলদাবা করেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে শুরু থেকেই আভাস দিয়েছিল বড় স্কোরের। তবে শেষের দিকে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সেটা সম্ভব হয়নি। জিম্বাবুয়ে করতে পারে ৭ উইকেটে ২৪৬ রান, যা নাগালের মধ্যেই থাকা উচিত বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে জিম্বাবুয়ের ইন্ডিয়ান কোচ লালচান রাজপুত আশা করেছিলেন অভিজ্ঞদের ব্যাটে রান এলো বলে। সে আশাটা একেবারে বৃথা যায়নি কাল। ওপেনার মাসাকাদজা ১৪ রানে বিদায় নিলেও ব্রেন্ডন টেইলের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৭৫ রানের ইনিংস। দুটি ফিফটি হতে হতে হয়নি। ৪৯ রানে বিদায় নেন সিকান্দার রাজা। ৪৭ রানে সাইফউদ্দিনের শিকার শন উইলিয়ামস। শেষের দিকে দলে ফেরা এল্টন চিগুম্বুরা (৩) ও পিটার মুর (১৭) আশা পূরণ করতে পারেননি কোচের। টেলএন্ডার মাভুটা (৯) ও তিরিপানো (৩) অপরাজিত থাকলেও সুবিধা করতে পারেননি মোস্তাফিজ-সাইফউদ্দিনদের বোলিংয়ের কারণে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads