• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
এবার টেস্ট পরীক্ষায় বাংলাদেশ

পুরোনো ছবি

ক্রিকেট

এবার টেস্ট পরীক্ষায় বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ৩০ অক্টোবর ২০১৮

ওয়ানডে সিরিজে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে ছাড়াই এমন দারুণ জয়ে টাইগাররা দেখিয়েছে তাদের বীরত্ব। নিজেদের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে স্থাপন করেছে আরো একটি মাইলফলক। এবার টেস্ট সিরিজের পালা। সিলেটে অভিষেক টেস্ট এবং ঢাকায় দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। টেস্ট দলের নেতৃত্ব দেবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

জিম্বাবুয়ে টেস্ট স্ট্যাটাস লাভ করে ১৯৯০ সালে। বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা পায় ২০০০ সালে। বাংলাদেশের তুলনায় তারা টেস্ট আঙ্গিনায় ১০ বছর এগিয়ে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ টেস্টে জিম্বাবুয়ের তুলনায় বেশ শক্তিশালী। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের ১৫তম টেস্ট সিরিজ। এর আগে ১৪টি সিরিজে বাংলাদেশের জয় ৬টিতে। এর মধ্যে দেশের মাটিতে বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচ খেলেছে ৭টি। যেখানে টাইগারদের জয় ৪টিতে। হার ১টিতে। আর ড্র ২টিতে। জিম্বাবুয়ের টেস্ট যুগে সূচনা ছিল দারুণ। তারা টেস্ট স্ট্যাটাস লাভের মাত্র আড়াই বছর পরই হারারে স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ইনিংস ব্যবধানে পরাজিত করে ওই চমক দেখিয়েছিল। সে তুলনায় বাংলাদেশ টেস্টে এগিয়েছে অনেক পড়ে। বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট ম্যাচ জেতে ২০০৫ সালে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। যখন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে চলছিল চরম ক্রান্তিকাল।  

বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটে যতটা এগিয়ে গেছে, টেস্টে ততটাই পিছিয়ে। যদিও জিম্বাবুয়ের সামনে হয়তো সেই দুর্বলতা চোখে পড়বে না। কারণ, জিম্বাবুয়ে দলটি নিজেদের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে নানা দ্বন্দ্বের কারণে অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাদের এক সময়ের অনেক তারকা বিশ্বখ্যাতি পেয়েছিলেন। যারা বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে জাতীয় দল থেকে বের হয়ে যান। হিথ স্ট্রিক, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, গ্রান্ট ফ্লাওয়ারের মতো বিশ্ব তারকাদের জিম্বাবুয়ে দলের হয়ে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। উঠতি আফ্রিকান দলটি বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের সম্মান হারিয়ে বসে। তবে তারা এখন পুনরায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় রয়েছে। পুরনো অনেক খেলোয়াড় যোগ হয়েছেন নতুনদের সঙ্গে। তাই ওয়ানডে সিরিজে হারলেও তারা টেস্টে অতটা দুর্বল নয় বলেই মনে হচ্ছে।

সাকিব-তামিম না থাকায় এবার স্বাগতিক বাংলাদেশ টেস্ট দলে নেওয়া হয়েছে নতুন চার খেলোয়াড়। এর মধ্যে একজন তো রীতিমতো চমক হয়ে এসেছেন দলে। তিনি সিলেটের ছেলে পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ। চলমান জাতীয় ক্রিকেট লিগে ভালো খেলার পুরস্কার হিসেবে তিনি টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছেন। সিলেটে প্রথম টেস্টে একটা নতুন মাইলফলক স্পর্শ করবে বাংলাদেশ দল। তা হলো সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে ঘিরে। এই স্টেডিয়ামের অভিষেক হয়েছে এ বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। এবার রচনা হতে যাচ্ছে নতুন ইতিহাসের। সিলেট প্রবেশ করতে যাচ্ছে টেস্ট যুগে। দেশের অষ্টম টেস্ট ভেন্যু হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে সিলেট স্টেডিয়ামের। আগামী ৩ নভেম্বর এখানেই প্রথম টেস্টের প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। এর আগে দেশের আরো ৭টি ভেন্যুতে হয়েছে টেস্ট ম্যাচ। এর মধ্যে প্রথম ২০০০ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দেশের টেস্ট অভিষেক হয়। এরপর চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম, মিরপুরের শেরেবাংলা, বগুড়ার শহীদ চান্দু, ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী, চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী ও সবশেষ খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টেস্ট খেলে। আর সিলেটে টেস্ট না হওয়ার যে আক্ষেপ সেটি পূরণ হতে যাচ্ছে এই ম্যাচ দিয়ে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শেষটি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে, যা শুরু হবে ১১ নভেম্বর। টেস্টেও বাংলাদেশের লক্ষ্য জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে আরো একটি প্রাপ্তি টেস্ট ইতিহাসের পাতায় যোগ করা।

বাংলাদেশ যেভাবে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে, সেভাবে হয়তো টেস্ট সিরিজে নাও জিততে পারে। কারণ, নতুন-পুরনো মিলে জিম্বাবুয়ে দলের শক্তি ভালো হতে পারে। তাই কোনো ধরনের খামখেয়ালি করা যাবে না টেস্ট সিরিজে। জিম্বাবুয়েকে বড় প্রতিপক্ষ মনে করেই ভালো খেলার জন্য সর্বাত্মক লড়তে হবে। দলের সবাই দৃঢ় মনোবল নিয়ে খেললে ওয়ানডের মতোই একটি সুন্দর ফলাফল পাওয়া যাবে বলে মনে হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads