• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
উইন্ডিজ সিরিজেই সাকিব-তামিম!

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে খেলবেন সাকিব ও তামিম

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

উইন্ডিজ সিরিজেই সাকিব-তামিম!

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ৩১ অক্টোবর ২০১৮

জিম্বাবুয়ে সিরিজে নেই দুজন। ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করছেন মাঠের বাইরে। দুজনেরই সমস্যা হাতের আঙুলে। তামিম অনেকটা ফিট হয়ে গেলেও সাকিবকে নিয়ে এখনো শঙ্কা কাটেনি। মেডিকেল টিম আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন দেওয়ার পরই তাকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ক্রিকেট বোর্ড। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের এখন বাকি দুটি টেস্ট। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই সিরিজে খেলবেন সাকিব ও তামিম। এমন সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান। তিনি বলেছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেই পাওয়া যাবে দুজনকে। শুরু থেকে না পাওয়া গেলেও সিরিজের মাঝপথে দেখা মিলবে সাকিব ও তামিমকে।

গতকাল আকরাম খান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেই হয়তো তাদেরকে পাব। এমনই আশা করছি। হয়তো শুরু থেকেই পাব না, তবে আশা করছি পাব।’ সাকিব ইতোমধ্যে দুবাইয়ের একটি টুর্নামেন্ট খেলার জন্য বিসিবির কাছে অনাপত্তিপত্রের আবেদন করেছেন। তবে বিসিবি এখনো কোনো সাড়া দেয়নি। অপেক্ষা মেডিকেল প্রতিবেদনের জন্য। আকরাম খান বলেন, ‘মেডিকেল প্রতিবেদন দেবে, সেটা ইতিবাচক হলে তাকে আমরা এনওসি দিয়ে দিচ্ছি। এক বছরের মধ্যে সাকিব অস্ত্রোপচার করতে পারবে না। আপাতত ব্যথাও নেই। মেডিকেলি যদি সে ফিট থাকে, তাহলে খেলতে পারবে।’ সাকিবের দুবাইয়ের টুর্নামেন্ট শুরু হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর।

জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে আসন্ন দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ নিয়েও কথা বলেছেন আকরাম খান। আগামী ৩ নভেম্বর সিলেটে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের মোকাবেলা করবে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজ নিয়েও আশাবাদী তিনি। তার মতে, ‘ওডিআই খুব ভালো গেছে। প্রথমটা নড়বড়ে থাকলেও সিরিজটা আমরা জিতেছি। সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতলে মানসিকভাবে দল এগিয়ে থাকে। বাংলাদেশ খুব ডমিনেট করে খেলেছে। এটা সত্যি, আমরা ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি যেভাবে খেলি, টেস্টে আমাদের সে পারফরম্যান্স নেই। তবে আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। আশা করি এই সিরিজেও দল ভালো করবে। যদিও আমাদের সেরা দুজন খেলোয়াড় এই মুহূর্তে নেই।’

ওয়ানডের মতো টেস্টেও তরুণদের দাপট দেখা যাবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আকরাম বলেন- ‘সত্যি কথা বলতে আমরা জিম্বাবুয়ের চেয়ে ভালো দল। এটা মাথায় রাখতে হবে। টেস্টেও আমাদের ভালো করার সম্ভাবনা আছে। আমাদের কোয়ালিটি প্লেয়ার বেশি। বাংলাদেশ যেভাবে খেলছে, সেভাবে এগোলে ভালো কিছু হবে।’

টেস্টে বাংলাদেশের ভালো না করার পেছনে অভাব শক্তিশালী বোলিং বিভাগ। যেটা ওয়ানডেতে আছে। আকরামও তাই মনে করছেন, ‘সে জন্যই টেস্টে আমরা সেভাবে ভালো করছি না। এখনো কিছু জায়গা আছে, যেখানে আমাদের কোয়ালিটি প্লেয়ারের ঘাটতি পূরণ করতে হবে। আপনারা দেখেছেন টেস্টে কিছু নতুন খেলোয়াড় আছে, তারা কেমন পারফর্ম করে সেটা দেখতে হবে। টেস্ট জিততে হলে ২০টি উইকেট নিতে হবে। অর্থাৎ ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে বোলারদেরও ভালো করতে হবে। তরুণদের জন্য এটা ভালো সুযোগ। তারা ভালো করলেই সমস্যার সমাধান।’

জাতীয় ক্রিকেট লিগে অনেকে ভালো খেলেও টেস্ট দলে জায়গা পাচ্ছে না। যেমন তুষার ইমরান। এমন বিষয়টি আকরাম খান অবশ্য ঠেলে দিলেন নির্বাচকদের কোর্টে, ‘এ বিষয়ে সবচেয়ে ভালো বলতে পারবেন নির্বাচকরা। কারণ তারা মাঠে যান। এখানে অনেক বিষয় আছে। আমার যেহেতু অভিজ্ঞতা আছে, এক সময় নির্বাচক ছিলাম, এখানে ফিটনেসের ব্যাপার আছে। কোন কোয়ালিটিতে আপনি পারফর্ম করছেন, কোন লেভেলে খেলছেন বা কতদিন বাংলাদেশকে সার্ভিস দিতে পারবেন, কোন জায়গায় কোন খেলোয়াড় দরকার; এটা নির্বাচকরা ভালো বলতে পারবেন। যেহেতু টিম ভালো করছে, এজন্য কিন্তু নির্বাচকদের বাহবা দিতে হবে। অনেক খেলোয়াড়কে দেখবেন ডমিস্টিকে ভালো করছে, কিন্তু ওর জায়গায় যে খেলোয়াড় খেলছে, তার কোয়ালিটি কিন্তু ভালো। যেমন সাকিব,  সে ১০-১২ বছর ধরে খেলছে। তার জায়গায় কিন্তু ভালো বাঁহাতি স্পিনার আসেনি। তারপরও যারা পারফর্ম করবে, তাদের জন্য কিন্তু দরজা খোলা।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads