• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় সিলেট

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় সিলেট

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০২ নভেম্বর ২০১৮

আগামীকাল শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। এ ম্যাচের মধ্য দিয়েই নয়নাভিরাম এই মাঠে অভিষেক হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেটের। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), স্থানীয় বিভাগীয় ক্রিকেট সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খেলা আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এই টেস্ট ম্যাচটি উপভোগ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন সিলেটের ক্রিকেটপ্রেমীরা।

এদিকে বিসিবি একাদশের সঙ্গে তিন দিনের ম্যাচে তেমন কোনো প্রস্তুতিই নিতে পারেনি সফরকারী জিম্বাবুয়ে দল। বৃষ্টির কারণে তিন দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ৯ ওভার। এ অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে সিলেটে পৌঁছেছেন মাসাকাদজারা। বাংলাদেশ দল আগে থেকেই সিলেটে অবস্থান করছে। কয়েক দিন অনুশীলনও করেছে।

অভিষেক টেস্টটি স্মরণীয় করে রাখতে কিছু বিশেষ উদ্যোগের কথাও জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। তিনি বলেছেন, ‘সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। প্রচার-প্রচারণা ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা প্রস্তুতি নিয়ে আমরা কাজ করছি। অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাব।’

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে এ মাঠে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অভিষেক হয়। এবার ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্ট ভার্সনের অভিষেক হতে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কয়েকটি ম্যাচ হয় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এরই মধ্যে বেশ কিছু টুর্নামেন্ট আয়োজনের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে। চলতি বছর বিপিএলের পঞ্চম আসর আয়োজনের পাশাপাশি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ ও বিসিবি ‘এ’ দলের কয়েকটি খেলা এবং এনসিএলের সিলেট ও ঢাকা মেট্রোর মধ্যকার লঙ্গার ভার্সনের ম্যাচ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি খেলার অভিষেক হয় এই মাঠে। এসব আয়োজনের অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার টেস্ট ম্যাচে কাজে লাগাতে চান আয়োজকরা।

যেহেতু সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই প্রথম টেস্ট ম্যাচ আয়োজন হতে যাচ্ছে, তাই বিশেষ কয়েনে টস করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক নাদেল। কয়েনের দুই পাশে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের লোগো ব্যবহার করা হবে। এছাড়া জিম্বাবুয়ে দলের অধিনায়ক ও কোচকে সিলেটের ঐতিহ্যখচিত ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হবে।

সিলেট স্টেডিয়ামে মাঠ পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা কিউরেটর সনজীব আগারওয়াল জানান, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি অত্যন্ত চমৎকার। মাঠটি এমনভাবে তৈরি, বৃষ্টি হলেও পানি সহজেই নেমে যায়। তিনি বলেন, নতুন মাঠ হলেও ঢাকা, চট্টগ্রামের মতো সিলেটের উইকেট যথেষ্ট ভালো।

টিলা আর সবুজ চা বাগানে বেষ্টিত সিলেট স্টেডিয়ামে মুগ্ধ হবেন যেকেউ। জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার মাশরাফি, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব, তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ সবাই এটার প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশে এ রকম সুন্দর একটি স্টেডিয়াম অনেকের কাছেই অজানা। স্টেডিয়ামটির একপ্রান্তে আছে গ্রিন গ্যালারি। টিলায় স্তরে স্তরে সিঁড়ির মতো করে সাজানো গ্যালারিতে সবুজ ঘাসের ওপর বসে খেলা উপভোগ করার সুযোগ বাংলাদেশে শুধু এই মাঠেই রয়েছে।

সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিক উপযোগিতা, দর্শকপ্রিয়তা ও পরিবেশের জন্য দেশের অন্যতম এই স্টেডিয়ামটি টেস্ট আয়োজনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। টেস্টে সিলেট স্টেডিয়াম অভিষিক্ত হলেই আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। বাকি থাকবে শুধু ওয়ানডে অভিষেক।

চলতি বছর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের একটি ম্যাচ দিয়ে সিলেট স্টেডিয়ামের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে। একই বছর টেস্ট আয়োজন হচ্ছে। এই বছরের মধ্যেই ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজনের কথা রয়েছে। বছরটি সত্যিই সিলেটবাসীর জন্য বড় পাওয়ার। এখন তারা অপেক্ষায় অভিষেক টেস্টের জন্য।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads