• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

ক্রিকেট

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট

কঠিন লক্ষ্যে জয়ের আশা ক্ষীণ

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০৬ নভেম্বর ২০১৮

এখনো বাকি দুই দিন। হাতে ১০ উইকেট। জিততে হলে করতে হবে ৩২১ রান। এ আর এমন কী। দেখেশুনে খেললেই হলো। এমন ভাবনাটা আসতেই পারে সবার। তবে টেস্ট ক্রিকেটের চতুর্থ ইনিংসে এত রান করাটা বেশ কষ্টসাধ্য। আর বাংলাদেশের বেলায় তো তা পাহাড়সম। কারণ এত রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডই নেই টাইগারদের। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সিলেট টেস্টে তাই বাংলাদেশের জয়ের আশা খুবই ক্ষীণ। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে তুলেছিল ২৮২ রান। জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করে মাত্র ১৪৩ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১৮১। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সামনে জয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ৩২১ রান। এ লক্ষ্যে খেলতে নেমে গতকাল ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ তুলেছে ২৬ রান, বিনা উইকেটে। উইকেট না খোয়ানোই একমাত্র স্বস্তি।

কারণ প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯ রান করতেই চার উইকেট হারাতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। সেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে বুঝেশুনে খেলার স্টাইলটা মনে ধরেছে অনেকের। আজকের সারা দিনটায় বোঝা যাবে ম্যাচের আসল চিত্র। ৩২১ রানের টার্গেট ছুঁতে হলে টপ অর্ডারের কয়েক ব্যাটসম্যানকে খেলতে হবে বড় ইনিংস। না হলে হারতে হবে বড় ব্যবধানে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টার্গেটে জয় ২১৫ রানের। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে করেছিল সাকিবরা। এরপর কেটে গেছে ৯টি বছর। এই বৃত্ত ভাঙা আর সম্ভব হয়নি। সিলেট টেস্টে কি সেই অসাধ্য সাধন করতে পারবে বাংলাদেশ, নাকি আশা জাগিয়েও হতাশার বেড়াজালে আবদ্ধ থাকবে মাহমুদউল্লাহ শিবির? সেটা সময়ই বলে দেবে।

দ্বিতীয় দিনের বিনা উইকেটে ১ রান নিয়ে গতকাল খেলতে নামে জিম্বাবুয়ে। তবে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি সফরকারী শিবির। তাইজুল ও মিরাজের ঘূর্ণিতেই মূলত কাবু হয়ে পড়ে মাসাকাদজা শিবির। সর্বোচ্চ ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক মাসাকাদজা। এ ছাড়া সিকান্দার রাজা ২৫, ব্রেন্ডন টেইলর ২৪, শন উইলিয়ামস ২০, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ১৭ রান করেন। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসে তিনি নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। সব মিলিয়ে ১১ উইকেট নিয়ে আবারো লাইমলাইটে এই স্পিনার। মেহেদী হাসান মিরাজ নিয়েছেন ৩ উইকেট। নাগিন ড্যান্সের প্রবক্তা নাজমুল ইসলাম অপু পান ২টি উইকেট।

দিনের শেষ বেলায় দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ধীরলয়ে। কোনোরকম বাড়তি ঝুঁকি নেননি দুই ওপেনার লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস। ফলে হারাতে হয়নি কোনো উইকেট। ৩৮ বলে ১৪ রানে লিটন ও ২৩ বলে ১২ রানে ইমরুল কায়েস আছেন অপরাজিত।

লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে এই দুই ওপেনারকে নিতে হবে বাড়তি দায়িত্ব। গড়তে হবে কার্যকর জুটি। শেষ পর্যন্ত কী হয়, তাই দেখার। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads