• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
শিরোপার সুবাস পাচ্ছে রাজশাহী

পাঁচ উইকেট শিকারি এনামুল হক জুনিয়র

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

জাতীয় ক্রিকেট লিগ

শিরোপার সুবাস পাচ্ছে রাজশাহী

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০৮ নভেম্বর ২০১৮

দীর্ঘ ৬ বছর পর জাতীয় ক্রিকেট লিগে শিরোপার সুবাস পাচ্ছে রাজশাহী বিভাগ। আজ বরিশালের সঙ্গে জয়ের জন্য করতে হবে ১০২ রান। হাতে আছে ৮ উইকেট। আর তা হলেই শিরোপায় চুমু আঁকতে পারবে জহুরুল ইসলাম অমির দল। তবে রেলিগেশন হুমকিতে রয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন খুলনা বিভাগ।

প্রথম স্তর বিভাগে পাঁচ ম্যাচে রাজশাহীর পয়েন্ট ২৫.৩১। রংপুরের ২১.০৯। সেখানে ১৩.০৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে খুলনা বিভাগ। ১৩.১১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে বরিশাল বিভাগ। অন্যদিকে পঞ্চম রাউন্ড শেষে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিভাগ ও ঢাকা মেট্রো। পয়েন্ট তালিকায় দুটি দল যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয়। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ।

প্রথম স্তরের ম্যাচে ষষ্ঠ রাউন্ডের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৯৭ রানে অল আউট হয় বরিশাল। জবাবে রাজশাহীও সুবিধা করতে পারেনি। অলআউট হতে হয়েছিল ১৬০ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ায় বরিশাল। করে ৩৪৬ রান। আর তাতেই রাজশাহীর সামনে জয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ২৮৪ রান। এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে গতকাল ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে রাজশাহী তুলতে পেরেছে ২ উইকেটে ১৮২ রান। ওপেনার মিজানুর রহমান ৩০ রানে বিদায় নেন। সাব্বির হোসেন এক রানের জন্য পাননি ফিফটি (৪৯)। রাজশাহীর এখন বড় ভরসা তৃতীয় উইকেট জুটি। যেখানে জুনায়েদ সিদ্দিকী ৬৫ ও অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম অমি ২৫ রানে আছেন অপরাজিত।

এর আগে দিনের শুরুতে ৬ উইকেটে ২৪৬ রান নিয়ে খেলতে নামে বরিশাল। আগের দিন ৪ রানে অপরাজিত থাকা শামসুল ইসলাম এদিন করতে পারেন ৫৬ রান। ৫ রানে অপরাজিত থাকা তানভির ইসলাম আউট হন ৩২ রানে। অধিনায়ক কামরুল ইসলাম রাব্বি ৫৫ বলে খেলেন ১৫ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস। মনির হোসেন অপরাজিত থাকেন ৬ রানে। রাজশাহীর হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন ফরহাদ হোসেন। ৩ উইকেট নেন মোহর শেখ।

প্রথম স্তরের অপর ম্যাচে খুলনা ও রংপুরের ড্রর সম্ভাবনা উঁকি মারছে। খুলনা প্রথম ইনিংসে করে ২৬১ রান। জবাবে ৮ উইকেটে ২৪৯ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার দেয় রংপুর। দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ১৯২ রান করেছে খুলনা বিভাগ। এখন পর্যন্ত ২০৪ রানের লিড খুলনার। দলের হয়ে দুই ওপেনার এনামুল হক (৬) ও আফিফ হোসেন (০) চরম ব্যর্থ। শূন্য রানে বিদায় নেন তুষার ইমরানও। তবে ব্যাট হাতে এদিন ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন সৌম্য সরকার। ফিফটির দেখা পান নূরুল হাসান সোহান (৫২)। দিন শেষে জিয়াউর রহমান (১৭) ও মঈনুল ইসলাম (৬) অপরাজিত আছেন।

দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে চট্টগ্রামের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিন শেষে ৭৯ রানের লিড নিয়েছে ঢাকা মেট্রো। প্রথম ইনিংসে ঢাকা মেট্রো করেছিল ৩২৮ রান। জবাবে চট্টগ্রাম করে ৩৪৫। দ্বিতীয় ইনিংসে মেট্রো করেছে ৩ উইকেটে ৯৬ রান। আজ ম্যাচের শেষ দিন। বাকি ৭ উইকেটে বড় লিডই দিতে চাইবে ঢাকা মেট্রো। সে ক্ষেত্রে ম্যাচ ড্রয়ের সম্ভাবনাই বেশি। চট্টগ্রামের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকান ওপেনার সাদিকুর রহমান (১০১)। ৭৬ রান করেন পিনাক ঘোষ। অধিনায়ক ইয়াসির আলী ৬৪, মাইদুল ইসলাম অঙ্কন ২৫, নাঈম হাসান ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন। বল হাতে ঢাকা মেট্রোর হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আবু হায়দার। কাজী অনিক তিনটি, মোহাম্মদ আশরাফুল দুটি, শামসুর রহমান একটি উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ঢাকা মেট্রোর হয়ে আজিম মাহমুদ ২০ ও সাদমান ইসলাম ১৪ রান করেন। তৃতীয় দিন শেষে শামসুর রহমান ৩৭, মোহাম্মদ আশরাফুল ৭ রানে অপরাজিত আছেন।

কক্সবাজারে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে ঢাকা বিভাগের বিরুদ্ধে ৬ রানের লিড নিয়েছে সিলেট বিভাগ। প্রথম ইনিংসে সিলেট করেছিল ২৩৮ রান। জবাবে ঢাকা করে ৩৪৬ রান। গতকাল ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ১০২ রান করেছে সিলেট বিভাগ। দ্বিতীয় দিন শেষে ঢাকার সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ২৩৬ রান। ১০৪ রানে অপরাজিত থাকা মজিদ গতকাল আর রান করতে পারেননি। তবে ৭ রানে অপরাজিত থাকা অধিনায়ক নাদিফ চৌধুরী করেন ২৮। শেষের দিকে স্কোর সমৃদ্ধ করে মোশাররফ হোসেনের ফিফটি (৫০)। ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন শাহাদাত হোসেন। বল হাতে সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট লাভ করেন এনামুল হক জুনিয়র। দ্বিতীয় ইনিংসে সিলেটের হয়ে ৩৯ রান করেন অলোক কাপালি। তবে ৪০ রানে অধিনায়ক রাজিন সালেহ ও ২ রানে এনামুল হক জুনিয়র আছেন অপরাজিত।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads