• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
কোনো চাপ নেই আমাদের : আরিফুল

আরিফুল হক

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় টেস্ট

কোনো চাপ নেই আমাদের : আরিফুল

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১০ নভেম্বর ২০১৮

আগামীকাল থেকে মিরপুরে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। তার আগে সিলেটে প্রথম টেস্টের স্মৃতি এখনো দগদগে টাইগার শিবিরে। ১৫১ রানের বড় ব্যবধানের হার শেল হয়েই বিঁধছে হয়তো মাহমুদউল্লাহদের বুকে। কিন্তু পেছনে তাকিয়ে থাকলে হবে না। এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে। মিরপুর টেস্ট তাই বাংলাদেশের জন্য কঠিন এক চ্যালেঞ্জই। সিরিজে সমতা রাখতে হলে এই টেস্টে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। হারলে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা লেপ্টে যাবে দলের গায়ে। তবে কঠিন এই অবস্থার মধ্যেও বাংলাদেশ দল মোটেও চাপে নেই। এমনটিই বলেছেন সিলেট টেস্টে অভিষেক হওয়া বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটার আরিফুল হক।

সিলেট টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছে মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে। টপ অর্ডারের কোনো ব্যাটসম্যানই করতে পারেননি একটি ফিফটি। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ১৪৩ রানে। মজার বিষয় হলো, অভিষিক্ত আরিফুল হকের ব্যাটেই এসেছিল সর্বোচ্চ ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন ইমরুল কায়েস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আরিফুলের ৩৮। দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বোচ্চ রান আরিফুলেরই। ফলে ব্যাট হাতে আরিফুলের সক্ষমতা নিয়ে কথা হচ্ছে মোটামুটি। মিরপুর টেস্টে তাকে নিয়েও ভক্তদের প্রত্যাশা অনেক।

গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আরিফুল হক। প্রথম টেস্টে হারের পর দ্বিতীয় টেস্ট স্বভাবতই প্রচণ্ড চাপ থাকবে। তবে আরিফুল সে চাপ উতরে বলেন, ‘কোনো চাপ নেই আমাদের। মূল বোলার মোস্তাফিজ খেলেনি। সে ব্যাক করলে আমার জিততে পারব। ইতিবাচক আছি আমরা। ডু অর ডাই, যেভাবেই হোক আমরা ম্যাচ জিতব।’ কিন্তু কামব্যাক করা কতটা সহজ? আরিফুলের যুক্তিটা ভালো, ‘আমরা যদি শেষ ম্যাচটা নিয়ে চিন্তা করি তাহলে মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকব। সে কারণে ওটা নিয়ে চিন্তা করব না। ম্যাচ, বল টু বল নিয়ে ফোকাস করব। সবাই যদি পজিটিভ খেলতে পারে ম্যাচ জেতা কঠিন হবে না জিম্বাবুয়ের সঙ্গে।’

প্রথম টেস্ট হারলেও ব্যাট হাতে আরিফুল নিজেকে কিছুটা হলেও জানান দিয়েছেন। নিজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে আরিফুল জানান, ‘প্রথম টেস্ট ভালোই গিয়েছে। আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বোলাররা বাজে বল দেবে না, আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। যেটা বোঝা দরকার ... খেললে যে চিন্তা-ভাবনায় পরিবর্তন আনে। সেটা আমার হয়েছে। চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন এসেছে।’ জাতীয় লিগে রান এসেছিল তার ব্যাটে। সেই রেশটা টেস্টেও ধরে রাখার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই। এনসিএলে দুইশ মারার পর আসলে আমার আত্মবিশ্বাস ভালো ছিল। আর শেষ টেস্টটাতে হয়তো ব্যাটিং ভালোই করেছি ... আত্মবিশ্বাস ভালো আছে।’

আগে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে অভিষেক হলেও টেস্ট খেলার স্বপ্নটাই বেশি ছিল আরিফুলের। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার আসলে স্বপ্ন ছিল টেস্ট খেলার। আমি চাই দীর্ঘদিন টেস্ট খেলতে বা ন্যাশনাল টিমে থাকার জন্য। সব ফরম্যাটেই খেলার ইচ্ছা। যে ফরম্যাটে যেভাবে খেলা দরকার ওভাবেই খেলার চেষ্টা করব।’

জাতীয় দলে খেলা অনেক বড় ব্যাপার। না খেললেও অভিজ্ঞতা অর্জন হয় ড্রেসিংরুম শেয়ারের মাধ্যমে। যে ব্যাপারটি নাড়া দিচ্ছে আরিফুলকে, ‘এটা সত্যি কথা। না খেলে যদি জাতীয় দলে শুধু থাকেন, তাহলেও অভিজ্ঞতা অর্জন হয়। বড় টিমের সঙ্গে খেলা বা বড় বড় খেলোয়াড়ের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করা এটাতে অনেক কিছু বুঝতে সুবিধা হয়। বড় ভাইরা যখন কিছু বলেন সেটা কাজে দেয়। ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ কেমন বা কী রকম।’ 

দীর্ঘ অপেক্ষার পর খানিকটা হলেও নিজেকে দেখানো গেল। এমন প্রশ্নে নিজেকে গুটিয়েই নিলেন আরিফুল, ‘এখনো ওরকম কিছু করিনি। আমার চিন্তা বড় কিছু করার। চাই শতভাগ না পারি ৯০ ভাগ যেন দিতে পারি। ম্যাচ না খেললে সবারই একটু মন খারাপ হয়। ওটা আমার হাতে নেই। আমি আমার কাজটা করে যেতে পারি।’

জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে বল হাতে ৪ ওভার করেছিলেন আরিফুল। ১ মেডেন, দিয়েছিলেন সাত রান। কিন্তু আরিফুলের বোলিং নিয়ে তেমন কথা হচ্ছে না। এ নিয়ে আফসোস নেই তার, ‘বোলিং নিয়েও কাজ করছি। আসলেও ওটা আমার বেজের উইকেট ছিল না। আমার বেজের উইকেট হলে হয়তো আরো বোলিং করতাম। ঘরোয়া ক্রিকেটে আরো ভালো করতে হবে। বিপিএলে যদি আরো ভালো করতে পারি তাহলে জাতীয় দলেও বোলিংয়ের সুযোগ পাব।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads