• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে মোমিনুল হক

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

মুশফিকের সাহায্য আমার ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ ছিল : মোমিনুল

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১১ নভেম্বর ২০১৮

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনই জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান মোমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। চতুর্থ উইকেটে ২৬৬ রানের জুটিও গড়েন তারা। বাংলাদেশের পক্ষে চতুর্থ উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রান। মোমিনুল ১৬১ রানে ফিরলেও দিন শেষে ১১১ রানে অপরাজিত মুশফিক। তবে নিজের ইনিংসের পেছনে মুশফিকের সহায়তা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো বলে মনে করেন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান মোমিনুল।

প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মোমিনুল বলেন. ‘আমার ক্ষেত্রে মুশফিক ভাই খুব সাহায্য করেছে। তিনি আমাকে ভালো গাইড করেছেন। আমি মাঠে অনুভব করেছি কেন সে বাংলাদেশের সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন। মাঠে খেলার সময় এই জিনিসটা আমাকে খুব নাড়া দিয়েছে। তার কিছু-কিছু উপদেশ, গাইডেন্স এত ভালো ছিল যা আমাকে ব্যাটিংয়ের সময় অনেক সাহায্য করেছে। তার সাহায্যটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমার ইনিংসে।’

বছরের শুরুতে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট পর্ব শুরু করেছিলো বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের ঐ টেস্টে দুই ইনিংসে ১৭৬ ও ১০৫ রানের দুইটি ইনিংস খেলেন মোমিনুল। এরপর আট ইনিংসে ৬৯ রান করেছেন তিনি। অবশেষে আবারো সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মোমিনুল। তাই বছরের শুরুতে দুইটি সেঞ্চুরির পর বাজে ফর্ম কাটিয়ে আবারো তিন অংকে পা রাখার অনুভূতি কেমন মোমিনুলের, ‘আগের পাঁচ-ছয়টা (আটটি হবে) ইনিংস খেলেছিলাম, সেখানে রান করা উচিত ছিল। মাঝে মধ্যে একটু ছন্দের বাইরে চলে যাই, এটাই ঠিক করার চেষ্টা করেছি। তারপরও সেঞ্চুরি হওয়াতে খুশী।’

২৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর মুশফিকের সাথে ২৬৬ রানের জুটি গড়েন মোমিনুল। দুর্দান্ত একটি দিন ছিলো তার। তবে দিনের শেষভাগে নিজের আউট নিয়ে আফসোস ঝড়েছে মোমিনুলের কন্ঠে, ‘একটু আফসোস আছে। আমার জন্য একটা উইকেট বেশি পড়ে গিয়েছে। আমি তো আউট হয়েছি, সাথে আরেকটি উইকেট পড়েছে। দলের জন্য শেষের দিকে আরেকটু খেলতে পারলে ভালো হত। এটুকু আফসোস আছে, আর কোনো আফসোস নেই। এটাই আমাকে একটু পোড়াচ্ছে, খারাপ লাগছে।’

চতুর্থ উইকেটে মুশফিকের সাথে রেকর্ড জুটি গড়েছেন মোমিনুল। তবে এসব রেকর্ড নিয়ে খুব বেশি ভাবেন না তিনি। মোমিনুল বলেন, ‘রেকর্ড নিয়ে আমি চিন্তা করি না। আমি আর মুশি ভাই যখন ব্যাট করছিলাম তখন সেশন বাই সেশন ব্যাট করার পরিকল্পনা ছিলো। কারণ একটা সেশন আমাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ওই সময় বোলাররা খুব ভাল বল করছিল। এখনও ভাল করছে। যেই কন্ডিশন উইকেট ছিল, অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমরা সেশন বাই সেশন, অল্প অল্প করে খেলার চেষ্টা করেছিলাম, রেকর্ড নিয়ে নয়। সেশন বাই সেশন খেললে আপনার একশ হবে, তারপর দেড়শ হবে, দিন শেষে রেকর্ডও হবে।’

৩১ ম্যাচের ক্যারিয়ারে আজ সপ্তম সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন মোমিনুল। এরমধ্যে তিনটি দেড়শ রানের। তবে এখনো ডাবল-সেঞ্চুরির দেখা পাননি তিনি। তাই কবে নাগাদ মোমিনুলের ডাবল-সেঞ্চুরি দেখা যাবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার দল বাংলাদেশ কোনোদিন যদি সাড়ে তিনশো, চারশ তাড়া করার জন্য যখন খেলবে, তখন হয়ত দু’শ হতে পারে। কারণ খেলাটা হলো আমার দু’শ বা দেড়’শর না। এটা হলো দলের খেলা। দলের যখন দরকার তখন আসবে। আর এটা যত পরে হবে, আমার ক্ষিধেটা তত বাড়বে। হয়ে গেলে তো তখন ক্ষিধেটাও মিটে গেল।’

মোমিনুল ও মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেটে ৩০৩ রান বাংলাদেশের। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর চারশ-সাড়ে চারশতে দেখতে চাইছেন মোমিনুল, ‘আমার উইকেট যদি না পড়ত আর দিন শেষে তিনশো থাকত তাহলে বলতাম আমরা ভাল অবস্থায় আছি। যাই হোক চারশ-সাড়ে চারশ রান ডিফেন্ড করার মতো মনে হয়।’

প্রথম দিনের সপ্তম ওভারেই ব্যাট হাতে নেমে যান মোমিনুল। ৮৬তম ওভারে গিয়ে আউট হন। সারাদিন উইকেট কেমন ছিলো? মোমিনুল বলেন, ‘উইকেটে এখনও কিছু না কিছু হচ্ছে। সারাদিন হয়েছে, যতদিন খেলা হবে কিছু না কিছু হবে। উইকেটটা খুব ইন্টারেস্টিং।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads