• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
‘৩০০ রানও অসম্ভব নয়’

মুশফিকুর রহিম

ছবি : ইন্টারনেট

ক্রিকেট

‘৩০০ রানও অসম্ভব নয়’

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১৩ নভেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ডবল সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম। পাঁচ বছর আগে সুদূর গলেতে করেছিলেন সেই কীর্তি। গতকাল নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙেছেন মুশফিক। ২১৯ করে হয়েছেন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক। যাতে রেকর্ড হয়েছে অনেক। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের এটি চতুর্থ ডবল সেঞ্চুরি। টেস্টে এবার ট্রিপল সেঞ্চুরির আশা করতেই পারেন টাইগার ভক্তরা। সেই আশার পালে জোর হাওয়া লাগিয়েছেন স্বয়ং মুশফিকই। মায়াবী ইনিংস খেলার পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘টেস্টে ৩০০ রানও অসম্ভব নয়। চেষ্টা থাকলে সেটাও হবে।’

রেকর্ড গড়া ইনিংসের মালিক মুশফিক বলেন, ‘আগের চেয়ে এখন আসলে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। বিশ্বাস ছিল পারব। শেষ পর্যন্ত করে দেখাতে পেরেছি। আলহামদুল্লািহ। আর ট্রিপল সেঞ্চুরিও অসম্ভব কিছু নয়। চেষ্টা করলে সেটাও সম্ভব হবে একদিন। তার জন্য পরিশ্রম করতে হবে। ধৈর্যটা থাকা জরুরি।’

টেস্টের প্রথম দিন সেঞ্চুরির পর মুশফিকের উদযাপন ছিল আগ্রাসী। দ্বিতীয় দিনে রোমান্টিক। এর পেছনের কারণ হিসেবে মুশফিক বলেন, ‘আসলে মিরপুরে প্রথম সেঞ্চুরি বলে কথা। সে কারণে হয়তো উদযাপনে একটু ভিন্নতা ছিল। আর ডবল সেঞ্চুরির পর উদযাপন যদি বলেন, সেটা আগেই ঠিক করে রাখা যে আমার স্ত্রীকে উৎসর্গ করব। কারণ প্রতিনিয়ত সে আমাকে উৎসাহ দেয়। খুব সাপোর্ট করে। আর এই ইনিংসটা আমার জন্য স্পেশাল।’ ডবল সেঞ্চুরির পর ড্রেসিংরুমের দিকে হাতে ভালোবাসার চিহ্ন এঁকে চুমু এঁকে দিয়েছিলেন মুশফিক। অনেকে দ্বন্দ্বে ছিলেন, কার উদ্দেশে এই চুমু। পরে জানা গেল সংবাদ সম্মেলনে।

অষ্টম উইকেট জুটিতে মুশফিক মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে করেছেন অবিচ্ছিন্ন ১৪৪ রান। মিরাজের সঙ্গে ব্যাটিং করাটা বেশ মজার বলে উল্লেখ করেন তিনি। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘আসলে ও (মিরাজ) খুব দারুণ ক্যারেক্টার এবং বেশ প্রতিভাবান। আমি যখন ডবল সেঞ্চুরির পথে, তখন সে পরামর্শ দিচ্ছিল। মনে হচ্ছিল ডবল সেঞ্চুরি আসলে ও-ই করবে (হাসি)। তবে ভালো লাগছে ও ফিফটি পেয়েছে বলে। ওর ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতেও আমি ওর সঙ্গে ছিলাম।’

২১৯-এর ইনিংসটা আরো বড় হতে পারত। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তে ইনিংস ডিক্লেয়ার করতে হয়। সেটাতে পূর্ণ সম্মান মুশফিকের। তিনি বলেন, ‘আমার আশা ছিল ২৫০ করা। এর মধ্যে যেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা পেয়ে যায় মিরাজ। কিন্তু তা হয়নি। তবে এটা দলীয় সিদ্ধান্ত। এটা মানতেই হবে।’

গলেতে প্রথম ডবল সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। পাঁচ বছর পর মিরপুরে দ্বিতীয়টি। কোন ইনিংসটা এগিয়ে রাখবেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে মুশফিক বলেন, ‘সব ইনিংসই ভালো লাগার। তবে মিরপুরেরটাকে এগিয়ে রাখব। এটাই আমার দেখা সেরা ইনিংস। কারণ অনেক বুঝে-শুনে এই স্কোর করতে হয়েছে আমাকে। আমি খুব খুশি।’

১৯০-এর ঘরে যখন ছিলেন তখন কতটা নার্ভাস লাগছিল। এমন প্রশ্নে মুশফিক বলেন, ‘আসলে এই স্টেজে কম-বেশি সবাই নার্ভাস থাকে। শচীন টেন্ডুলকারও বহুবার নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হয়েছে। যদিও আমি তার লেভেলের নই, কিংবা যেতে পারব কি না তাও জানি না। তবে আমার বিশ্বাস ছিল ডবল করতে পারব। তবে না হলেও ক্ষতি ছিল না। এমন না যে না করতে পারলে মারা যাব। এটা পার্ট অব গেম।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads