• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
ওয়েস্ট উইন্ডিজকে উড়িয়ে সিরিজ টাইগারদের

ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট

ওয়েস্ট উইন্ডিজকে উড়িয়ে সিরিজ টাইগারদের

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

সিরিজের জয়ের ম্যাচ। অলিখিত ফাইনাল। সিলেট স্টেডিয়ামে ভর করেছিল আগাম রোমাঞ্চ ও মহারণের। তবে ম্যাচটি হলো একপেশে। যেখানে দেখা মিলল টাইগারদের দোর্দণ্ড দাপট। ব্যাটিং কিংবা বোলিং, দুই ভার্সনেই মাশরাফি ব্রিগেডের ঝলমলে পারফরম্যান্স। তাতে পর্যুদস্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়রা বলতে গেলে উড়েই গেল তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে। বাংলাদেশ জয় পেল ৮ উইকেটে। ৬৯ বল বাকি থাকতেই। সিলেটের অভিষেক ওয়ানডের শুরুর পথচলায় সিরিজ জয়ের উৎসবে মেতে উঠলো গোটা টাইগার শিবির (২-১)।

টসে জয় দিয়ে শুরু। প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজার। দুইশ রানের মধ্যেই আটকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ৯ উইকেটে ১৯৮। তাও এক শাই হোপের সেঞ্চুরির কল্যাণে। না হলে স্কোরটা লেজেগোবরে হতে পারত সফরকারীদের। জবাবে বাংলাদেশ লক্ষ্যে পৌঁছায় হেসেখেলে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে। স্পিন ঘূর্ণিতে চার উইকেট নেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ ম্যাচ সেরা। টানা দুই সেঞ্চুরির সুবাদে সিরিজ সেরার পুরস্কার অনুমিতভাবে পেয়েছেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান শাই হোপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের এটি চতুর্থ ওয়ানডে সিরিজ জয়, ঘরের মাঠে দ্বিতীয়, সব মিলিয়ে ২৪তম।

জিততে হলে করতে হবে ১৯৯ রান। শুরুটা সতর্ক তামিম ও লিটনের। তারপরও ৪৫ রানে ভাঙল ওপেনিং জুটি। ব্যক্তিগত ২৩ রানে পলের বলে পাওয়েলের হাতে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এলেন লিটন। কিন্তু এই বিপর্যয় আমলে নেননি তামিম ও সৌম্য। ক্যারিবীয় বোলারদের বিধ্বস্ত করে সচল রাখেন রানের চাকা। তামিম ধীর গোছের হলেও সৌম্য ছিলেন বিধ্বংসী। দুজনের ১৩১ রানের জুটি গড়ে দেয় ম্যাচ জয়ের ভিত্তি। দুজনেই শেষ করে আসতে পারতেন ম্যাচ। তবে পলের বলে বোল্ড হয়ে হালকা ছন্দপতন। ৮১ বলে ৮০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। যার মধ্যে ছিল চার-ছক্কা সমান, ৫টি। জয়ের জন্য মুশফিককে নিয়ে বাকি কাজটুকু করেছেন ওপেনার তামিম। সর্বোচ্চ ৮১ রানে অপরাজিত তামিম। ১০৪ বলের ইনিংসে কোনো ছক্কা হাঁকাননি, তবে ছিল ৯টি ক্লাসিক্যাল চার। ১৪ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ১৬ রানে অপরাজিত মুশফিকুর রহিম।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখে ক্যারিবীয় শিবির। ব্যতিক্রম ছিলেন শুধুই শাই হোপ। স্রোতের বিপরীতে ব্যাট করে তুলে নেন টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি। তার ব্যাটেই মূলত ভদ্রস্ত স্কোরে পৌঁছাতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সতীর্থরা যাওয়া আসার মিছিলে যোগ দিলেও ১৩১ বলে ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন হোপ। নান্দনিক ইনিংস তিনি সাজান নয়টি চার ও একটি ছক্কায়। ছক্কাটিও নার্ভাস নাইনটিজের সময়। ব্যক্তিগত ৯৪ রানের মাথায় সাকিবকে উড়িয়ে। হোপ ছাড়া আর কোনো ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানের রানই উল্লেখযোগ্য নয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান মারলন স্যামুয়েলসের।

বল হাতে এদিন সফল মেহেদী হাসান মিরাজ। ১০ ওভারে ২৯ রানে তুলে নেন ক্যারিয়ার সেরা ৪টি উইকেট। সাকিব ও মাশরাফি নেন দুটি করে। বাকি একটা রুবেলের পরিবর্তে স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া সাইফউদ্দিন। ১০ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে বোলিংটা ভালোই করেছেন মোস্তাফিজ, কিন্তু হতাশা আছে। নামের পাশে নেই কোনো উইকেট।

দিন শেষে চওড়া হাসি টাইগার শিবিরে। এক সময়ের পরাক্রমশালী ক্যারিবীয়দের বিরুদ্ধে দারুণ এক সিরিজ জয়ে বছর শেষ করল বাংলাদেশ। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads