• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
সাকিবের চোখে ভুলে ভরা ম্যাচ

সাকিব আল হাসান

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

সাকিবের চোখে ভুলে ভরা ম্যাচ

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮

টেস্টে পাত্তাই পায়নি, সরাসরি ধবলধোলাই। ওয়ানডে সিরিজে একটি ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশের কাছে সিরিজ খোয়াতে হয়েছে ক্যারিবীয়দের। কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটা এত দাপুটে ভঙ্গিতে করবে উইন্ডিজ শিবির, তা ছিল কল্পনার বাইরে। ছোট ফরম্যাটে তারা ভয়ঙ্কর, এটা সবারই জানা। তাই বলে বাংলাদেশকে উড়িয়ে ম্যাচ জিতবে ব্রাফেট শিবির ৫৫ বল হাতে রেখে, তা কল্পনাতীত। সিলেটে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ৮ উইকেটে। অনেকটাই অবিশ্বাস্য লাগছে সবার কাছে। টেস্ট ও ওয়ানডেতে আধিপত্য দেখানো বাংলাদেশের এমন হাল টি-টোয়েন্টিতে? ভক্তদের নানা প্রশ্ন উড়ে বেড়াচ্ছে আকাশে-বাতাসে।

ম্যাচ শেষে সব প্রশ্নের জবাব দিতেও পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে এক কথায় সব বলে দিয়েছেন প্রায়। তার মতে, ‘টস ছাড়া ম্যাচটি ছিল ভুলে ভরা।’ টস জিতে বাংলাদেশ ব্যাটিং নিয়েছিল। সিদ্ধান্ত সঠিকই ছিল। কিন্তু অধিনায়কের সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন করতে পারেননি তার সতীর্থরা। কী ব্যাটিং, কী বোলিং- সবখানেই ব্যর্থ টাইগার শিবির। আর তাই টি-টোয়েন্টি সিরিজে হয়েছে বাজে শুরু।

টস জিতেও ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে সংগ্রহ ১২৯ রান, ১৯ ওভারে। মানে একটি ওভার খেলতেই পারেনি বাংলাদেশ। তাড়াহুড়ো আর বাজে শটের মিছিলে ছিলেন প্রায় সব ব্যাটসম্যান। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল অধিনায়ক সাকিব আল হাসানই। সতীর্থরা যখন হাঁটছেন উল্টো পথে, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার খেলেছেন ৪৩ বলে ৬১ রানের ঝলমলে ইনিংস। যার মধ্যে ৮টি চার ও দুটি ছক্কা। বাকিদের অবস্থা গড়ের মাঠ। ১৭ রান এসেছে আরিফুলের ব্যাট থেকে। মাহমুদউল্লাহ করতে পেরেছেন ১২। বাকি সবার রান যেন মোবাইল ফোনের ডিজিট। যাদের ব্যাটে আসতে পারত সমৃদ্ধ স্কোর। সেই তামিম (৫), লিটন (৬), মুশফিক (৫), সৌম্য (৫) ডাহা ব্যর্থ।

১২৯ করেও লড়াইটা করা যেত বোলিংয়ে। কিন্তু ক্যারিবীয় ঝড়ে সব লণ্ডভণ্ড। মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের সব বোলার। শাই হোপের টর্নেডো ইনিংসে এলোমেলো সাকিবদের সব পরিকল্পনা। বেধড়ক মার খেয়ে নাকাল মিরাজ-মোস্তাফিজরা। পুরান-পলের অবিচ্ছিন্ন ৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি দলকে পৌঁছে দেয় জয়ের বন্দরে। মাত্র ১০.৫ ওভারেই।

এমন বাজে হারে ম্যাচের পর কথা বলাটাই যেন কষ্টের ছিল সাকিব আল হাসানের। তবে তিনি অকপটে বলেছেন নিজেদের ব্যর্থতার কথা। তবে তার সমালোচনা বেশি ক্ষত-বিক্ষত করেছে ব্যাটস্যানদের। সঙ্গে বোলারদেরও। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘সবকিছুই ভুল ছিল, শুধুমাত্র টস-পর্ব ছাড়া। আমরা ব্যাট কিংবা বল- কোনোটাতেই ভালো করতে পারিনি। এটা খুবই ভালো হতো যদি আমরা স্কোরটা কমপক্ষে ১৭৫ করতে পারতাম। আপনি জিজ্ঞাসা করুন অন্য ব্যাটসম্যানদের, কেন তারা ব্যাটিং ভালো করতে পারেনি। আমি তো সবার উত্তর দিতে পারব না। যাই বলি না কেন, আজ (গতকাল) কোনো কিছুই ভালো হয়নি। যাই করেছি, ক্লিক হয়নি একটাতেও। এমন ম্যাচ থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে আমাদের।’

তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাকি দুটি ম্যাচ ২০ ও ২২ ডিসেম্বর মিরপুরে। এই ফরম্যাটে উত্তুঙ্গ ফর্মে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাকি দুই ম্যাচে হারানো কষ্টসাধ্যই। সফরকারীরা উল্টো সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছে এখন থেকেই। তারপরও বাংলাদেশকে সমীহ করেই কথা বলছেন উইন্ডিজ ক্যাপ্টেন কার্লোস ব্রাফেট। গত জুলাইয়ে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ম্যাচে হেরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পরের দুটি ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল টাইগাররা।

সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন ব্রাফেট, ‘এটা দারুণ একটা জয়। তবে ম্যাচ এখনো দুটি বাকি। ঘরের মাঠে আমরা এমন করে প্রথম ম্যাচ জিতেছিলাম। কিন্তু পরে সিরিজ হেরেছিলাম। সুতরাং এই সিরিজকে আমরা সম্মান জানাচ্ছি। বাকি দুটি ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরো প্রখর হবে। ঢাকার উইকেট আরো স্লো। অনেক কিছুই ঘটতে পারে সেখানে। ফলে বাকি দুই ম্যাচের ওপরই নির্ভর করছে সব।’ 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads