• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
উইকেটেই আঙুল শোয়েব মালিকের

শোয়েব মালিক

ছবি : ইন্টারনেট

ক্রিকেট

উইকেটেই আঙুল শোয়েব মালিকের

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১১ জানুয়ারি ২০১৯

গত মঙ্গলবারের ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে মাত্র ৬৩ রানেই অলআউট হয় কুমিল্লা। এক কথায় রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে অসহায় হয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ব্যাটসম্যানরা একে একে আউট হয়ে ফিরতে থাকেন। ৯ উইকেটের জয় পায় রংপুর।

বড় হারের জ্বালা নিয়েই বুধবার অনুশীলন করেন কুমিল্লার ক্রিকেটাররা। নিজেদের তৈরি করে ফেরার প্রত্যয়ে অনুশীলন থেকে ছুটি নেননি কেউই। অনুশীলন শেষে ম্যাচ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কুমিল্লার অন্যতম ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক। ম্যাচ, দল, উইকেট- নানান বিষয় উঠে আসে তার মন্তব্যে।

ম্যাচের রানের ঘাটতি নিয়ে মালিক বলেন, ‘আমার মনে হয় এখনো প্রাথমিক পর্যায়ের খেলা হচ্ছে। সব ব্যাটসম্যানের জন্যই কন্ডিশন অবশ্যই কঠিন। যেহেতু আমরা জানি শিশিরের ব্যাপারটা এখানে আছে। সবকিছুতে পরিবর্তন এসে যায় যখন পিচে শিশির পড়ে। আমার মনে হয় নির্দিষ্ট এই ফরম্যাট মানে টি-টোয়েন্টিতে এই বিষয়গুলো ঘটে। কিন্তু যাই ঘটেছে তা শেষ হয়ে গেছে। যা আসবেই সেটাকে আমরা বদলাতে পারব না। আমরা খুবই ইতিবাচক এবং আমাদের ড্রেসিং রুমে এমন কিছু খেলোয়াড় আছে যারা অবশ্যই চিন্তা করবে যে কী ভুল হচ্ছে এবং আসন্ন খেলাগুলোয় কী করণীয় আছে।’

তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটে এমনটা হতেই পারে। আমরা তিন ফরম্যাটের সবগুলোতে অবশ্যই দেখেছি যে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপগুলো ৪০/৫০ রানেই থেমে গেছে। তাই এমনটা যেকোনো ক্রিকেটেই হতে পারে। কিন্তু আমি এটা নিয়ে কমই বলতে পারি, সমালোচনা করতে পারি না। টুর্নামেন্টের জন্য খুবই ভালো হয় যদি তারা ভালো পিচ তৈরি করতে পারে। শুধু আমরাই সংগ্রাম করিনি, রংপুর রাইডার্সকে দেখুন, তাদের ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইক রেট দেখুন, ৬০/৬৩ রান তাড়া করতে গিয়ে তাদেরও হিমশিম খেতে হয়েছে। আমি বলতে পারি যে, সামান্য কিছু পরিবর্তন তারা আনতে পারে।’ শোয়েব বলেন, ‘আমার মনে হয় আবহাওয়াটাই কিউরেটরদের ভালো মানের পিচ তৈরি করার যথেষ্ট সুযোগ দেয় না। কিন্তু তারা যদি ভালো পিচ তৈরি করতে পারত তাহলে বড় স্কোরের খেলা দেখা যেত এবং দর্শকরাও উপভোগ করতে পারত। আর এমনটাই তো পুরো বিশ্বের সবাই দেখতে পছন্দ করে।’ দলের ব্যর্থতার দায় অনেকটাই পিচের ওপর দিলেন পাকিস্তানের এই তারকা অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘বিষয়টা এমন নয়। পিচগুলো ঠিকই আছে। কিন্তু আপনি শুধু নিজের মতো করে এখানে শট খেলতে পারছেন না। আপনি যদি অনেক ভালোও খেলেন এই ধরনের পিচে, বিশেষ করে ঢাকায় এটা অনেক কঠিন। নিজের দক্ষতা দেখিয়ে তবুও সর্বোচ্চ ১৪০/১৫০ রান করতে পারলেও সেটাকে উন্নতি বলে ধরা যাবে এই পিচগুলোয়।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads