• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
বিপিএলের আলোয় আলিস ইসলাম

ক্রিকেটার আলিস ইসলাম

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

বিপিএলের আলোয় আলিস ইসলাম

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১৩ জানুয়ারি ২০১৯

বাংলাদেশের স্থানীয় লিগ প্রথম বিভাগ ও দ্বিতীয় বিভাগ পেরিয়ে এখনো প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলার সুযোগ হয়নি আলিস আল ইসলামের। আনকোরা এই অফস্পিনার হঠাৎ করেই সুযোগ পেয়ে গেলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে বিপিএলে খেলার। তিন বলের মধ্যে দুটি ক্যাচ ছেড়ে যেন মাটির সঙ্গে মিশে যেতে চেয়েছিলেন এই তরুণ। ধ্বংসস্তূপ থেকে জেগে উঠলেন যেন ফিনিক্স পাখির মতো। দারুণ বোলিংয়ে করলেন হ্যাটট্রিক, জায়গা করে নিলের রেকর্ডের পাতায়। এখন বিপিএলের আলোয় উদ্ভাসিত নতুন জাদুকরী স্পিন বোলার আলিস আল ইসলাম।

বিপিএলে তৃতীয় বোলার হিসেবে টানা তিন বলে উইকেট নিলেন আলিস। এর আগে প্রথম আসরে দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে মোহাম্মদ সামি হ্যাটট্রিক করেছিলেন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে। তৃতীয় আসরে বরিশাল বুলসের হয়ে সিলেট সুপারস্টারসের বিপক্ষে টানা তিন বলে উইকেট নিয়েছিলেন আল আমিন হোসেন।

তাদের চেয়ে একটা জায়গায় এগিয়ে আলিস। প্রথমবারের মতো বিপিএলে খেলতে নেমে হ্যাটট্রিক করলেন এই অফস্পিনার।

রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে শুক্রবার ২ রানের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান এই তরুণের। ২৬ রানে ৪ উইকেট নেওয়া আলিস একেবারে অচেনা ছিলেন না মাশরাফি বিন মুর্তজাদের। রংপুর অধিনায়ক জানান, স্থানীয় ক্রিকেটারদের কেউ কেউ চিনতেন এই অফস্পিনারকে।

সাভারের বলিয়ারপুরের ছেলে আলিস সাংবাদিকদের শোনান তার উঠে আসার গল্প। ‘আমি ক্রিকেট খেলা শুরু করি কাঁঠালবাগান গ্রিন ক্রিসেন্ট ক্লাব থেকে। তারপর কয়েক বছর দ্বিতীয় বিভাগে খেলার পর গত মৌসুমে প্রথম বিভাগে খেলি। এবার বিপিএলে সুযোগ পেয়ে গেলাম। নেটে বোলিং করার সময় সুজন (খালেদ মাহমুদ) স্যার আমাকে দেখেন। দেখে উনার বিশ্বাস হয় যে, আমি ভালো করতে পারব। তারপর আমাকে দলে নেন তিনি। তারপর টিম ম্যানেজমেন্ট, খেলোয়াড়রা আমাকে যথেষ্ট সহায়তা করেন। তারপর আমি সেরা একাদশে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানতে পারি খেলব। স্যার আমাকে ডেকে বলেন, শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে। আমি প্রস্তুতই ছিলাম। এত বড় স্টেডিয়ামে, এত বড় টুর্নামেন্টে প্রথম খেলা নার্ভাস হওয়ারই কথা। আমি প্রথমে নার্ভাসই ছিলাম, তারপরও ভালো হয়েছে।’

শুক্রবারের ম্যাচে সপ্তম ওভারে বল হাতে নেন আলিস। শুভাগত হোমের করা পরের ওভারে তিন বলের মধ্যে শর্ট ফাইন লেগে ছাড়েন মোহাম্মদ মিঠুনের দুটি ক্যাচ। আলিস জানান, ভীষণ নার্ভাস থাকায় হাতছাড়া হয়েছিল সহজ ক্যাচ। ‘বিপিএলে এটা আমার প্রথম ম্যাচ। সত্যি বলতে এই স্টেডিয়ামেই এটা আমার প্রথম ম্যাচ। আমি আসলে অনেক নার্ভাস ছিলাম। তবে ক্যাচ দুটি ছাড়ার পর সতীর্থরা অনেক সহায়তা করেছেন আমাকে। সবাই অনেক সাহস দিয়েছেন। তাতে আমার মনে হয়েছে যে, ভালো জায়গায় যদি বলটা করতে পারি তাহলে ভালো কিছু হতে পারে। আমি শুধু ভালো জায়াগায় বল করতে চেয়েছি।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads