• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
ক্রীড়াঙ্গনে নতুনত্বের আশা প্রতিমন্ত্রীর

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল

ছবি : সংরক্ষিত

ক্রিকেট

ক্রীড়াঙ্গনে নতুনত্বের আশা প্রতিমন্ত্রীর

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১৬ জানুয়ারি ২০১৯

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েই ক্রীড়াঙ্গনকে নতুন মাত্রায় পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। মন্ত্রণালয়টিকে পরিণত করতে চান একটি আদর্শ মন্ত্রণালয়ে। শূন্যের কোটায় আনতে চান দুর্নীতি। এজন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছেন তিনি। বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং মনে করলেও সেই চ্যালেঞ্জটিকেই সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করতে চান প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রীর এই আত্মবিশ্বাসের মূলে রয়েছে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দীর্ঘ ১০ বছরের সংশ্লিষ্টতা। আগের দুই সরকারের আমলে এই মন্ত্রণালয়েরই সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনবারের নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য।

এক সাক্ষাৎকারে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ১০ বছর ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমার বাবা আহসান উল্লাহ মাস্টার একজন জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। তাই আমার প্রতি সবার প্রত্যাশার চাপটা বেশি। তবে এতে আমি ভীত নই। এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে এর মোকাবেলা করতে চাই। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার সক্ষমতা আমার রয়েছে।’

রাসেল বলেন, ‘ফেডারেশনগুলোকে যাতে অর্থের অভাবে ধুঁকতে না হয় সে চেষ্টা করব। তবে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নের জন্য শুধুমাত্র সরকারি অর্থের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। বিভিন্ন পৃষ্ঠপোষকদের সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি যাতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত করা যায় সেজন্য ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে আমি নিজেও উদ্যোগ নেব।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়রাই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের দূত হিসেবে কাজ করে। তাই তারা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সফল হলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হবে। এটি একটি দেশের জন্য খুুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত দশ বছরে খেলাধুলা অনেক এগিয়েছে। আর আগামী এক বছরে আমার পরিকল্পনা হচ্ছে যেসব ইভেন্টে আন্তর্জাতিক পদক অর্জন সম্ভব সেগুলো বাছাই করে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া। প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। একজন ক্রীড়াবিদ প্রতিভা নিয়ে আসুক না কেন, প্রশিক্ষণ না পেলে ঝরে যাবে।’

ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদেও (এনএসসি) কর্মকর্তাদের দূরত্ব ঘোচানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কাজ করার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়, এনএসসি, ফেডারেশন সবার পরামর্শ নেব। সব দূরত্ব ঘুচিয়ে সবাইকে নিয়ে কাজ করব। গত তিনবার সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে একটি কলমও লেখার সুযোগ পায়নি কেউ। আমি সেভাবেই চলার চেষ্টা করেছি।’

ফেডারেশনের নানা অনিয়ম ও সংগঠকদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েনের প্রভাব মাঠের খেলায় যাতে না পড়ে সেজন্য সব ফেডারেশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অচিরেই বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উল্লেখ করে রাসেল বলেন, ‘সবার মতামতের ভিত্তিতেই আমি ক্রীড়াঙ্গনের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সাজাতে চাই। ক্রীড়াঙ্গনে গণতান্ত্রিক ধারাও বজায় থাকবে।’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের ৩.৫ অনুচ্ছেদে উল্লিখিত ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ’ প্রসঙ্গ টেনে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে যে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন তা বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ইশতেহারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। আমি নিজে অনিয়ম-দুর্নীতি করব না, কাউকে করতেও দেব না। ক্রীড়াঙ্গন হবে মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত।’

তিনি বলেন, ‘তৃণমূল প্রতিভা অন্বেষণের বিষয়েও জোর দেওয়া হবে। তবে সেটি হবে নতুন আঙ্গিকে। খুঁজে পাওয়া প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সম্ভাবনা রয়েছে এমন আশ্বাস নিয়ে বসে থাকলে হবে না। ক্রীড়াবিদদের উন্নয়নের জন্য দেশে-বিদেশে অবশ্যই উন্নত প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads