• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
সাকিব ছাড়া সবাই নিউজিল্যান্ডে

সাকিব আল হাসান

ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট

সাকিব ছাড়া সবাই নিউজিল্যান্ডে

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালে হার বিষাদের যে ছাপ রেখেছে মনে, তার চেয়ে বড় চিহ্ন এঁকে দিয়েছে সাকিব আল হাসানের শরীরে। ফাইনালে পাওয়া আঙুলের চোটে নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ছিটকে গেছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক ও ওয়ানডে সহ-অধিনায়ক। আগে দু’দফায় জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা নিউজিল্যান্ড গেছেন। গতকাল মাশরাফি বিন মুর্তজাসহ বাকিরা গেলেন। কিন্তু যেতে পারলেন না সাকিব।

শুক্রবারের ফাইনালে ব্যাটিংয়ে কেবল ৫ বল খেলেছেন সাকিব, সর্বনাশ হয়ে গেছে ওই সময়টুকুতেই। একাদশ ওভারের পঞ্চম বলে থিসারা পেরেরার শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে বল লাগে গ্লাভসে। তখনই চোট পান বাঁ হাতের অনামিকায়। পরের ওভারের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান। ম্যাচের পর স্ক্যান করানো হয়। ধরা পড়ে আঙুলে চিড়। বিসিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি, তবে নানা সূত্র থেকে জানা গেছে, মাসখানেক মাঠের বাইরে থাকতে হবে দেশ সেরা ক্রিকেটারকে। গতকাল শনিবার রাতেই নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা ছিল সাকিবের। নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে আগামী বুধবার। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শেষ ২০ ফেব্রুয়ারি। এরপর প্রথম টেস্ট ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে, দ্বিতীয়টি ৮ মার্চ থেকে। ১৬ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া শেষ টেস্টেই কেবল সাকিবকে পাওয়ার বাস্তব সম্ভাবনা আছে।

ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে গতকাল রাতে নিউজিল্যান্ডে রওনা হন বিপিএলের ফাইনালে খেলা তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ও রুবেল হোসেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের আট ক্রিকেটার নিউজিল্যান্ডে পৌঁছেছে। শুক্রবার গেছেন চার জন ক্রিকেটার। মাশরাফিসহ বাকিরা রওনা দেন গতকাল। টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের যাওয়ার কথা ছিল আরো কদিন পর। কিন্তু ওয়ানডে দলকে সঙ্গ দিতে দুজনকে যেতে হচ্ছে আগেই। শুক্রবার সকালে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন মুমিনুল হক ও সাদমান ইসলাম। টেস্ট দলের এই দুই জনের সঙ্গে গেছেন ওয়ানডে স্কোয়াডে থাকা শফিউল ইসলাম ও মোহাম্মদ মিঠুনও। মুমিনুল-সাদমানকে আগে যেতে হচ্ছে মূলত প্রস্তুতি ওয়ানডের জন্য। আজ রোববার একদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ হবে লিঙ্কনে। শফিউল ও মিঠুন দলে যোগ দিলেও মোট ক্রিকেটার হয় ১০ জন। প্রস্তুতি ম্যাচের একাদশ গড়াই দায়। টেস্ট দলের মুমিনুল ও সাদমানকে তাই নেওয়া হয়েছে আগে। ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়বে টেস্ট দলে থাকা অন্যরা। ওয়ানডে সিরিজ শেষ হবে ২০ ফেব্রুয়ারি। ততদিন ক্রাইস্টচার্চে থেকে অনুশীলন করবে টেস্ট দলের ক্রিকেটাররা।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের নিজেদের মাটিতে জয়ের রেকর্ড আছে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। কিন্তু টেস্টে নেই জয়ের ছিটেফোঁটাও। একই অবস্থা টি-টোয়েন্টিতেও। দুঃসহ ব্যাপার হলো, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এখন পর্যন্ত জয়ের স্বাদই পায়নি বাংলাদেশ। আর সেটা ক্রিকেটের যেকোনো ভার্সনেই। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। তার আগে এমন পরিসংখ্যান গায়ে কাটা দিতে পারে টাইগার শিবিরে। তবে পেছনের দিকে তাকাচ্ছে না টিম টাইগার্স। বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ স্টিভ রোডস এবার জোর দিয়েই বলেছেন, এই সফরে কিছু ম্যাচ জিততে চান তিনি।

নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ওয়ানডেতে ৩১ বারের মোকাবেলায় বাংলাদেশের জয় ১০টি। হার ২১টি। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে হয়েছে মোট ১০ ম্যাচ। যেখানে সবকটিতেই হেরেছিল বাংলাদেশ। টেস্টের অবস্থা আরো করুণ। ১৩ বারের মোকাবেলায় হার ১০টি, ড্র তিনটি। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশ খেলেছে সাতটি টেস্ট। হারতে হয়েছে সবকটিতেই। এবারের নিউজিল্যান্ড সফরও কঠিন হবে বাংলাদেশের। এক দুটি জয় আসলে তাই হবে সাফল্যে মোড়া।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads