• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
সেই মিঠুনেই মান রক্ষা

মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটিং

সংরক্ষিত ছবি

ক্রিকেট

সেই মিঠুনেই মান রক্ষা

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

গতকাল বুধবার স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে ম্যাচে মান বাঁচানো স্কোর এসেছে মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটিং দৃঢ়তায়। তার ৬২ রানের ইনিংসের ওপর ভর করেই বাংলাদেশ দুইশো পেরোতে সক্ষম হয়। সম্প্রতি খেলা বেশ কিছু ম্যাচেই বাংলাদেশের ইনিংস মেরামতের কাজটা খুব ভালোভাবেই সামলেছেন মিঠুন। তাকে অবশ্য দলে রাখতে কম যুদ্ধ করতে হয়নি অধিনায়ক মাশরাফিকে। গত বছরের ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচেও অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিলেন উইকেটকিপার কাম ব্যাটসম্যান মিঠুন।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেই কোনঠাসা হয়ে পড়ে সফরকারীরা। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ৪২ রান তুলতে বাংলাদেশ হারায় ৪ উইকেট। এরপর মিঠুন মাহমুদউল্লাহ-সাব্বির-মিরাজ-সাইফউদ্দিন-মাশরাফির সঙ্গে ছোট ছোট বেশ কিছু জুটি গড়ে দলের স্কোর বোর্ডকে সমৃদ্ধ করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় জুটিটি আসে সাইফউদ্দিনের সঙ্গে। অষ্টম উইকেটে দুজন মিলে গড়েন ৮৪ রানের রেকর্ড জুটি। এর আগে অষ্টম উইকেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা জুটি ছিল খালেদ মাসুদ ও মোহাম্মদ রফিকের। ২০০৩ বিশ্বকাপে কিম্বার্লিতে অপরাজিত ৭০ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা।

ম্যাচের পুরোটা সময় পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে মিঠুন খেলেছেন ৬২ রানের ইনিংস। লকি ফার্গুসনের বলে স্লগ করার চেষ্টা করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন। সাজঘরে ফেরার আগে ৫ চারে ৯০ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন তিনি। এর আগে ম্যাট হেনরির বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৭৩ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন।

চার বছর পর গত বছর জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বারের মতো ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে ফিরেছিলেন মিঠুন। তবুও নিশ্চিত ছিল না তার দলে টিকে থাকা। কেননা দলে ছিলেন আনামুল হক বিজয়। শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় ওই সিরিজের ফাইনালে সুযোগ পান অবশেষে। ফাইনালের আগের চারটি ম্যাচে বিজয় ১৯, ৩৫, ০ ও ১ রান করলে ভাগ্য খোলে মিঠুনের। কিন্তু ফাইনালের মতো চাপের ম্যাচে মিঠুন ১০ রানের বেশি করতে পারেননি।

ত্রিদেশীয় সিরিজে ফিরেও থিতু হতে পারেননি তিনি। জুন-জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সুযোগ পাননি। তার বদলে সুযোগ পাওয়া আনামুল ব্যর্থ হলে এশিয়া কাপের দলে ফের সুযোগ আসে তার। অবশ্য এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এশিয়া কাপে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন।

এশিয়া কাপে ছয় ম্যাচের প্রথমটিতেই ৬৩ রানের ইনিংস খেলেছেন মিঠুন। সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। পরের তিনটি ইনিংসে মিঠুনের ব্যাটে এসেছে ২, ৯ ও ১ রান। শেষবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬০ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন, যা দলকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করে। শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচেও জয় আসে।

মাশরাফি ও স্টিভ রোডস এমন কাউকে চেয়েছিলেন যে কি না মিডল অর্ডারে নেমে বড় ইনিংস খেলতেও পারবে, সঙ্গে স্পিন বলটা দারুণ সামলাতে পারবে। মিঠুন; যিনি কি-না মূলত একজন ওপেনার, তাকে দিয়ে এই কাজটা সম্ভব বলেই মানছিলেন রোডস-মাশরাফি। একটু একটু করে মিঠুন নিজেকে প্রমাণও করছেন। কোচ-অধিনায়কের ভরসার প্রতীক হয়ে বাংলাদেশ দলকে খাদের কিনারা থেকে উদ্ধার করছেন নিয়মিত।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads