ওয়ানডেতে লেজেগোবরে অবস্থা। তিন ম্যাচের প্রত্যেকটিতেই অসহায় আত্মসমর্পণ। হতে হয়েছে হোয়াইটওয়াশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এবার টেস্ট পরীক্ষার সামনে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো তিন ম্যাচের টেস্ট খেলতে যাচ্ছে টাইগার শিবির। ২৮ ফেব্রুয়ারি হ্যামিল্টনে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। তার আগে আজ থেকে শুরু হবে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড একাদশ।
ক্রিকেটের কোনো ভার্সনেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে জয়ের রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। তব সব ভেন্যুর হিসাবে জয়ের রেকর্ড আছে শুধু ওয়ানডেতে। ঘরে কিংবা বাইরে, টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় এখনো অধরা টাইগারদের। বৈরী কন্ডিশন মোকাবেলা করে বাংলাদেশ কতটা জ্বলে উঠতে পারবে, তা সময়ই বলে দেবে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত সাতটি টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে একটি বাদে সবগুলোই হেরেছে তারা। একটি সিরিজ ড্র হয়। ২০১৩ সালে দেশের মাটিতে দুই ম্যাচের সিরিজে কিউইদের সঙ্গে ড্র করে।
নিউজিল্যান্ডে চারটি টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। ২০০১ সালে প্রথমবার। এরপর ২০০৮, ২০১০ ও ২০১৭ সালে। এখন পর্যন্ত ১৩টি টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। ১০টিতে জয় কিউইদের। ৩টি ম্যাচ হয় ড্র।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো তিন টেস্টের সিরিজ খেলতে নামার আগে শুধু একটাই প্রস্তুতি ম্যাচ পাচ্ছে বাংলাদেশ। সেটাও দুদিনের। আজ লিংকনে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটি টাইগারদের জন্য যতটা না ব্যাটে-বলের, তার চেয়ে বেশি কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ।
ফেব্রুয়ারি মাসে লিংকনের গড় তাপমাত্রা ১৬ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে নিয়মিতই। আর্দ্রতা ৬০ থেকে ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণটা তুলনামূলক বেশিই। শুধু লিংকনেই নয়, পুরো নিউজিল্যান্ডের বর্তমান আবহাওয়াই এখন এমন। আগে থেকে পরিচয় না থাকলে উপমহাদেশের ক্রিকেটারদের এখানে খেলা মানে অথৈ জলে হাবুডুবু খাওয়ার মতো!
সেই নিউজিল্যান্ডে খেলতে খালিদ আহমেদ, এবাদত হোসেনদের মতো নতুন বোলারদের দলে রেখেছে বাংলাদেশ। তাই ওশেনীয় অঞ্চলের পরিবেশে মানিয়ে নিতে জোর চেষ্টা সফরকারীদের। গতকাল আবু জায়েদ রাহী যেমনটা বললেন, ‘এখানকার বাতাস অনেক ভারি। প্রস্তুতি ম্যাচে আমরা এটা নিয়েই কাজ করব। আজকেও বল করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। কারণ বাতাসের জন্য বল এদিক-ওদিক চলে যাচ্ছে। সুতরাং প্রস্তুতির অভিজ্ঞতাটা আমাদের অনেক জরুরি, যাতে নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে পারি।’
পরিবেশের সঙ্গে নিজেদের ফর্মটাও এখন চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের জন্য। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে। সেই তিন ম্যাচে শুধু আটবার স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের আউট করতে পেরেছেন টাইগার বোলাররা। সাদা পোশাকে ভালো করতে হলে যে শুরুতে উইকেট তুলে নিতে হবে, সেটা ভালোই উপলব্ধি করতে পারছেন পেসার রাহী।
তিনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে শুরুতেই ব্রেক থ্রুটা খুব জরুরি। তাই পেসারদের প্রথম কাজই হবে সময় সময় উইকেট তুলে নেওয়া। আমরা ৮ দিন আগে এসেছি। আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো ২০ উইকেট তুলে নেওয়া। জিততে হলে ২০ উইকেট নিতেই হবে। আমরা অনেক দিন আগেই এসেছি। মনে হচ্ছে আমরা মানিয়ে নিতে পেরেছি।’