• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

ক্রিকেট

ঢাকার ক্রিকেটে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ভাবনা

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০৮ মার্চ ২০১৯

আম্পায়ারিং বিতর্ক কমাতে গত আসরের মতো এবারো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে মাঠে ক্যামেরা রাখা হবে। পাশাপাশি এবার ম্যাচ লাইভ স্ট্রিমিং করার কথাও ভাবছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)। ঢাকা লিগের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ আশ্বাস দিলেন, লিগে আম্পায়ারিং নিয়ে যেন প্রশ্ন না ওঠে, সেটির সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে।

বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসজেএ) আয়োজিত এক সেমিনারে এই ভাবনাগুলোর কথা জানালেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান। সেমিনারের বিষয় ছিল, ‘ঢাকার ক্রিকেটে পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিং : বাস্তবতা ও সমাধান’।

ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিং নিয়ে অসংখ্য অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে এসেছে গত কয়েক বছরে। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে অভিযোগ খুব বেশি না উঠলেও প্রথম বিভাগ ও নিচের দিকের লিগগুলো নিয়ে অভিযোগ উঠেছে বিস্তর। সেমিনারে বিশদ আলোচনা হয়েছে তুমুল আলোচিত প্রসঙ্গটি নিয়ে।

সেমিনারের মূল রচনায় ফুটে ওঠে ঢাকার ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের করুণ চিত্র। মূল রচনায় বলা হয়, ‘ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট একসময় ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাণ। কিন্তু বাস্তবতা বলছে, এখন সেই প্রাণ ‘যায় যায়’ অবস্থা। কিছু আত্মঘাতী পদক্ষেপ, বিসিবির ভোট ও কাউন্সিলরশিপের রাজনীতিকে কেন্দ্র করে প্রভাব বিস্তারের থাবায় ঢাকার ক্রিকেটের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ লিগ এখন সঙ্কটাপন্ন।’

মাঠের ক্রিকেটে পারফরম্যান্স নয়, পেশিশক্তির দাপটই ভাগ্য গড়ে দেয় বলে উল্লেখ করা হয় মূল রচনায়, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে পাতানো ম্যাচ ও পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ক্ষত। ব্যাট-বলের কীর্তি নয়, গুটিকয় ক্লাব কর্মকর্তার পেশিশক্তিই এখানে আসল। অনিয়মই হয়ে উঠেছে নিয়ম। আগে যেসব ছিল বিচ্ছিন্ন ঘটনা, এখন সেসব হয়ে উঠেছে অবিচ্ছেদ্য অংশ। অভিযোগের তীর বিসিবির কয়েকজন কর্মকর্তা ও তাদের প্রভাবশালীদের ঘনিষ্ঠজন ক্লাবগুলোর দিকে। তাদের বাড়তি সুবিধা দিতেই পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং ও পাতানো ম্যাচের মহামারী।’

কলাবাগান ক্রিকেট ক্লাবের সেক্রেটারি কাউন্সিলর রিয়াজ আহমেদ বাবু, ইয়াং পেগাসাস ক্লাবে যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ আলী আসাফ নিজেদের বক্তব্যে তুলে ধরেন পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের অনেক বাস্তবতা। বরেণ্য ক্রিকেট কোচ জালাল আহমেদ চৌধুরী ও অন্যান্য আলোচক সবাই সমস্যা সমাধানের বেশকিছু পথ বাতলে দেন।

সাবেক জাতীয় অধিনায়ক, সাবেক বিসিবি পরিচালক ও সিসিডিএমের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর আশা, বিসিবি সভাপতি আম্পায়ারিংয়ের দিকটায় গুরুত্ব দেবেন। ‘আম্পায়ারদের ভুল আমাদের সময় ছিল মানবিক ভুল। এখন সেটা হয়ে গেছে ইচ্ছাকৃত। কার এত বড় সাহস যে আম্পায়ারদের নির্দেশনা দেয়? সেই শক্তি কোথায়? আমাদের বোর্ড সভাপতি অনেক ভালো কাজ করেছেন। আশা করি এই দিকেও তিনি নজর দেবেন।’

সিসিডিএম চেয়ারমান ও বিসিবি পরিচালক কাজী ইনাম নানা সীমাবদ্ধতার ভেতরও ঢাকার ক্রিকেটে নানা সমস্যা সমাধানে তাদের উদ্যোগগুলোর কথা জানান। ‘যে অভিযোগগুলো উঠেছে, এসব আগে থেকে চলে আসছে। আসলে সিসিডিএম একটা জাদুঘর। আমি এখানে কিউরেটর মাত্র। একজন কিউরেটরের পক্ষে সবকিছু পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তার পরও আমরা অনেক কিছু করেছি। কোনো বিতর্ক ছাড়া এবার প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি করেছি। ক্রিকেটারদের টাকা-পয়সা বাড়ানো এবং সেটার প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছি। সময়মতো লিগ শুরু ও শেষ করেছি গতবার।’

আম্পায়ারিং বিতর্ক নিয়ে কিছু ক্ষেত্রে নিজের অসহায়ত্ব জানিয়ে সিসিডিএম চেয়ারম্যান শোনালেন আশ্বাসের কথা। ‘আমরা চেয়েছিলাম, বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আম্পায়ার বরাদ্দ দেওয়া যায় কি-না। আমি চেয়েছিলাম বরাদ্দ কমিটিতে সিসিডিএমের একজন প্রতিনিধি থাকুক। কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি। ভবিষ্যতে আশা করি আম্পায়ার্স কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে সিসিডিএম কাজ করতে পারবে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads