• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
জহুরুলের সেঞ্চুরিতে আবাহনীর জয়

জহুরুল ইসলাম

ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট

শেখ জামালকে হারিয়ে চমক উত্তরার

জহুরুলের সেঞ্চুরিতে আবাহনীর জয়

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০৯ মার্চ ২০১৯

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমে জয় দিয়ে মিশন শুরু করেছে আবাহনী, উত্তরা ও লিজেন্ডস রূপগঞ্জ। জহুরুল ইসলামের দারুণ সেঞ্চুরিতে বিকেএসপিকে ৬০ রানে পরাজিত করেছে আবাহনী। অন্যদিকে চমক দেখিয়েছে উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব। ৯ রানে দলটি হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডিকে। দিনের তৃতীয় ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল ইনিংসের প্রথম বল থেকে শেষ বল পর্যন্ত খেলেছেন আবাহনীর জহুরুল। ৫০ ওভারে আবাহনী তোলে ২১৬ রান। জহুরুল একাই করেছেন অপরাজিত ১২১, এটি তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। উঠতি ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া বিকেএসপি ৫৫ বল বাকি থাকতে গুঁটিয়ে যায় ১৫৬ রানে।

আবাহনীর ইনিংসে জহুরুল ছাড়া মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন করেন ফিফটি, মোসাদ্দেক হোসেন ১৩। বাকি ৮ ব্যাটসম্যানের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক।

টস জিতে বোলিং নিয়ে আবাহনীকে নাড়িয়ে দেন বিকেএসপির দুই বোলার সুমন খান ও আবু নাসের। সহায়ক উইকেটে দুই পেসারই ভোগান শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে। প্রিমিয়ার টি-টোয়েন্টি লিগের সেরা উদীয়মান বোলারের পুরস্কার জয়ী সুমন ফিরিয়ে দেন আবাহনীর শ্রীলঙ্কান ওপেনার কৌশল সিলভাকে। আবু নাসেরের শিকার নাজমুল হোসেন শান্ত।

বাজে সময়ের চক্রে থাকা শান্ত ছিঁড়তে পারেননি বলয়। গত প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ রান স্কোরার এবার লিগ শুরু করলেন শূন্য রানে। এরপর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন কাটা পড়েন রান আউটে। বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদের দারুণ ডেলিভারিতে বোল্ড সাব্বির রহমান। ১৬ ওভারে আবাহনী ধুঁকছিল ৫৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে। এক পাশে তখনও টিকে জহুরুল। আস্থা হয়ে টেনে নিয়েছেন দলকে। আরেক পাশে ভরসা জোগান সাইফ। পঞ্চম উইকেটে ১১২ রানের জুটি গড়েন দুজন।

৪০ ওভার পেরিয়ে যখন ঝড় তোলার সময়, সাইফ আউট হয়ে যান ৮০ বলে ৫৫ করে। এই জুটি ভাঙার পর আবার নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে আবাহনী। আবারো শেষ পর্যন্ত টিকে থাকায় মন দিতে হয় জহুরুলকে। সেটি পেরেছেন তিনি দারুণভাবে, পাশাপাশি বাড়িয়েছেন রানও। ৭৯ বলে ছুঁয়েছিলেন ফিফটি। মুরাদকে স্কুপে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি করেন ১৩২ বলে। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি।

এরপরও দায়িত্ব নিয়ে জহুরুল শেষ করে এসেছেন ইনিংস। শেষ ওভারে তিনটি বাউন্ডারিতে বাড়ান দলের রান। ১৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৪৭ বলে ১২১ রান করে মাঠ ছাড়েন অপরাজিত থেকে। আবাহনীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২১৬ রান।

জবাবে ৪০.৫ ওভারে ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় বিকেএসপি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক আব্দুল কাইয়ুম। ৩৭ রান আসে ওপেনার রাতুল খানের ব্যাট থেকে। টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের রান। বল হাতে আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন নাজমুল ইসলাম।

অন্যদিকে ফতুল্লায় চমক দেখিয়েছে উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে দলটি করে ৪ উইকেটে ২৪৯ রান। সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন ওপেনার তানজিদ হাসান। ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন সজীব হোসেন। এ ছাড়া আনিসুল ইসলাম ইমন ৪৭, মিনহাজ খান করেন ৩৮ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে শেখ জামালের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২৪০ রান। ৯ রানের দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে উত্তরা শিবির।

শেখ জামালের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন অধিনায়ক নূরুল হাসান সোহান। এ ছাড়া নাসির হোসেন ৪৮, ফারদিন হাসান ৩৯, ইলিয়াস সানি ২৮, জিয়াউর রহমান ২৭ রান করেন। বল হাতে উত্তরার হয়ে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন আবদুর রশিদ। আসাদুজ্জামান পায়েল তিনটি, নাহিদ হোসেন দুটি ও রাজা আলী দার নেন একটি উইকেট।

বিকেএসপিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে ব্রাদার্স ও রূপগঞ্জের মধ্যে। ম্যাচ নিষ্পত্তি হয় এক বল বাকি থাকতে। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২২০ রান করে ব্রাদার্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন ইয়াসির আলী। এ ছাড়া শরিফুল্লাহ ৩৫, ফজলে মাহমুদ ৩৪, অধিনায়ক মোহাম্মদ শরিফ ২৪* রান করেন।

জবাবে এক বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে ২২১ রান করে রূপগঞ্জ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন শাহরিয়ার নাফিস। এ ছাড়া আসিফ ও আজমির সমান ৩৮, রিশি ধাওয়ান ২২, মোহাম্মদ নাঈম ২১ রান করেন। মুক্তার আলী ১১ রানে থাকেন অপরাজিত।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads