• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
বাংলাদেশের দারুণ জয়

বল নিয়ে ছুটছেন বাংলাদেশের এক ফুটবলার। নমপেনে শেষটা মধুর। প্রচণ্ড গরমে স্বস্তি দিয়েছে দারুণ এক জয়

ছবি : বাফুফে

ক্রিকেট

বাংলাদেশের দারুণ জয়

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১০ মার্চ ২০১৯

দীর্ঘ পাঁচ মাস পর মাঠে নামা। শঙ্কা ছিল সব জায়গায়। তার ওপর প্রতিপক্ষ ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে। খেলতে হবে আবার তাদের মাঠেই। কিন্তু আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আগে প্রবল আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ জেমি ডে। তিনি বলেছিলেন, ‘জেতার জন্যই খেলব আমরা।’ কথা রেখেছেন কোচ, সঙ্গে বাংলাদেশের ফুটবলাররাও। নমপেনের পনম পেন স্টেডিয়ামে গতকাল আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিক কম্বোডিয়াকে ১-০ গোলে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ। দীর্ঘদিন পর মাঠে নেমেই এমন জয় দলকে করেছে উজ্জীবিত। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের গ্রুপ পর্বে গত অক্টোবরে সবশেষ জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ লাওসের বিরুদ্ধে।

পুরো ম্যাচে লড়াইটা হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। তবে ৮৩ মিনিটে বাজিমাত করেন বাংলাদেশের বদলি খেলোয়াড় রবিউল হাসান। বাঁ প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত ক্রসে বাঁ পায়ের প্লেসিং। বল কম্বোডিয়ার জালে। শেষ পর্যন্ত এই এক গোলেই দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজ শিবির।

বাংলাদেশে এখনো শীতের আমেজ। তবে নমপেনে গিয়ে বেসামাল অবস্থা ছিল ফুটবলারদের। কারণ সেখানে প্রচণ্ড গরম। নমপেনের তাপমাত্রা এখন ৩৫-৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাঠটাও আর্টিফিসিয়াল টার্ফের। এর ওপর র্যাঙ্কিংও চোখ রাঙাচ্ছিল পুরোদমে। বাংলাদেশের অবস্থান যেখানে ১৯২, সেখানে কম্বোডিয়ার ১৭২। ম্যাচের শুরু থেকেই কম্বোডিয়ার রক্ষণে আক্রমণ শানিয়েছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। কিন্তু গোলের দেখা মিলছিল না। প্রথমার্ধ থাকে গোলশূন্য। ৫৪ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার ভালো একটি সুযোগ নষ্ট হয় বাংলাদেশের। মতিন মিয়ার বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জামাল ভূঁইয়ার ডান পায়ের জোরালো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে কম্বোডিয়ার ত্রাতা গোলরক্ষক।

৭২ মিনিটে মতিনকে তুলে নিয়ে মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে এবং চার মিনিট পর নাবীব নেওয়াজ জীবনের জায়গায় মাহবুবুর রহমান সুফিলকে নামান বাংলাদেশ কোচ। ৭৮ মিনিটে মাশুক মিয়া জনির শট হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।

বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় ৮২ মিনিটে। সতীর্থের লম্বা করে বাড়ানো বল দারুণভাবে নামিয়ে সুফিল বাড়ান রবিউলের উদ্দেশে। ডি-বক্সের ভেতর থেকে প্লেসিং শটে জাল খুঁজে নেন বিপলু আহমেদের বদলি নামা এই মিডফিল্ডার। বাকিটা সময় এ গোল ধরে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

কম্বোডিয়ার সঙ্গে আগের তিন সাক্ষাতে দুবারই জিতেছে বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে বাংলাদেশ জিতে ২-১ গোলে। পরের বছর দিল্লিতে নেহরু কাপে ১-১ গোলে ড্র হয় ম্যাচ। আর ২০০৯ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে বাংলাদেশ জিতেছিল ১-০ গোলে। এবার নিয়ে চার সাক্ষাতে তিনবারই জিতল বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads