দারুণ সুযোগ পেয়েও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ বাঁচাতে পারলো না বাংলাদেশ। মঙ্গলবার শেষ দিন প্রথম সেশনেই গুটিয়ে গেছে তারা। মাত্র আড়াই দিনে হার মেনেছে ইনিংস ও ১২ রানে। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজটি ২-০ তে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। হ্যামিল্টনে প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ৫২ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। আর এই ইনিংস জিতার মধ্য দিয়ে প্রতাপে সিরিজ জিতে নিলো কিউইরা।
আগের দিনের ৩ উইকেটে ৮০ রান নিয়ে পঞ্চম ও শেষ দিনে খেলতে নামে বাংলাদেশ। দিনের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। চতুর্থ দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুন নির্বিঘ্নে প্রথম ৪০ মিনিট কাটিয়ে দেন। দুজনে কয়েকটি দুর্দান্ত শটও খেলে। এরপরই হোঁচট খায় টাইগাররা।
ট্রেন্ট বোল্টের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ২৮ রানে ফেরেন সৌম্য। এতে ঘটে ৫৭ রানের জুটির সমাপ্তি। পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে খেলা ধরেন মিঠুন। বেশ বোঝাপড়া গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। ধীরে ধীরে এগিয়ে যান তারা। তাতে ড্রর আশার সঞ্চারও হয়। তবে হঠাৎই খেই হারান মিঠুন। ব্যক্তিগত ৪৭ রানে নিল ওয়েগনারকে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন তিনি। তার পরই পথ হারায় বাংলাদেশ। একে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন ব্যাটসম্যানরা।
লিটন দাসের আউট ছিল দৃষ্টিকটু। ওয়েগনারের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে বোল্টকে ক্যাচ দিয়ে আসেন তিনি। এর পর দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী চলতেই থাকে।
সতীর্থরা নিয়মিত এলে-গেলেও ক্রিজ আঁকড়ে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। একের পর এক সঙ্গী হারানোর পর বাধ্য হন আগ্রাসনের পথ বেছে নিতে। সাজান স্ট্রোকের পসরা। তবে থেমে যেতে হয় তাকেও। সেই ওয়েগনারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বোল্টের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ১২ চার ও ১ ছক্কায় ৬৯ বলে ৬৭ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন তিনি। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে এটিই একমাত্র ফিফটি।
