• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
খুবই হতাশাজনক : মাহমুদউল্লাহ

মাহমুদউল্লাহ

ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট

খুবই হতাশাজনক : মাহমুদউল্লাহ

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১৩ মার্চ ২০১৯

যা পারফরম্যান্স, তাতে এমন কথা না বললেও চলে। হতাশা তো বটেই, লজ্জাও ছুঁয়ে যাচ্ছে ভক্তদের। তিন দিনের টেস্টেও ইনিংস ব্যবধানে হার? ওয়েলিংটনে যেখানে সবাই ন্যূনতম ড্রয়ের চিন্তা করছিল, সেখানে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে টাইগারদের হার ইনিংস ও ১২ রানে। ন্যক্কারজনক এমন হারে স্তম্ভিত সবাই।

বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ স্বীকার করলেন বাজে পারফরম্যান্সের। তবে এটাও বললেল, এর চেয়ে ভালো খেলার সামর্থ্য বাংলাদেশের রয়েছে। দরকার মানসিক দৃঢ়তা। কথা হচ্ছে, সুদীর্ঘ ১৮ বছরের টেস্ট আঙিনায় পা ফেলা বাংলাদেশ সেই লক্ষ্যে পৌঁছাবে কবে?

ভয় ও দ্বিধার জয়, আর সাহসিকতার ঘাটতিতেই মাহমুদউল্লাহ দেখছেন ব্যর্থতার বীজ। পরের টেস্টে ভালো কিছু করতে তার চাওয়া দ্বিধা-বীজ উপড়ে ফেলা, ‘তামিম ও সাদমান আমাদের খুব ভালো শুরু এনে দিয়েছিল। এরপর ওয়াগনার যখন তার শর্ট বল থিওরি প্রয়োগ করতে শুরু করল, কিছুক্ষণ ভালো খেলার পর আমরা হাল ছেড়ে দিয়েছি। আরেকটু লম্বা সময় গাটস নিয়ে খেলা উচিত ছিল। আমাদের পেস আক্রমণে তিনজন নতুন বোলার। ওদেরকে দায় দিয়ে লাভ নেই। দোষ ব্যাটসম্যানদেরই বেশি। আড়াই দিনে দুইবার অলআউট হওয়া খুবই হতাশার।’

তিনি আরো বলেন, ‘দ্বিধা থেকে আমরা ভুল করছি। সংশয় নিয়ে শট খেলছি, পুরো আস্থা রাখছি না নিজের ওপর। মারব নাকি মারব না- এ ধরনের উইকেটে এই ভাবনা চলবে না। শট খেলতে চাইলে দ্বিধাহীনভাবে খেলতে হবে, ঠেকাতে চাইলে সেটিও। উপায় বের করতেই হবে। কারণ, পরের টেস্টেও তারা বাউন্সার করবে। ক্রাইস্টচার্চে উইকেট গতিময়। ব্যাটসম্যানদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে।’

শেষ দিনে মাহমুদউল্লাহ নিজে করেছেন ৬৭ রান। সতীর্থদের আরো লড়াই করা উচিত ছিল, সেটিও বলছেন অকপটে। তবে হতাশাটা না লুকালেও দাবি করছেন, এই পারফরম্যান্স বাংলাদেশের সামর্থ্যের প্রতিফলন নয়। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা খুবই হতাশ। আরো অনেক ভালো করা উচিত ছিল। আমরা এর চেয়ে ভালো দল। জানা ছিল, এই উইকেটে বোলারদের জন্য সহায়তা থাকবে। আমাদের উচিত ছিল আরো বেশি নিবেদন দেখানো। সামনের ম্যাচে এসবের সঙ্গে যতটা বেশি সম্ভব মানিয়ে নিতে হবে আমাদের।’

ব্যাটিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি এই টেস্টে ক্যাচও ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। ২০ রানে দুইবার জীবন পেয়ে রস টেইলর খেলেছেন ২০০ রানের ইনিংস। প্রথম ক্যাচটি ছেড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহই। অধিনায়কের ধারণা, ক্যাচ দুটির একটি নিতে পারলে বদলাতে পারত ম্যাচের চিত্র। তার মতে, ‘আমি ক্যাচ ছাড়লাম, এক বল পরই আরেকটা ক্যাচ পড়ল। ক্যাচগুলো নিতে পারলে হয়তো অন্যরকম কিছু হতে পারত। বোলাররা আরো আত্মবিশ্বাসী থাকত। ওই ভুলগুলো শুধরাতে হবে আমাদের।’

ক্রাইস্টচার্চে ১৬ মার্চ শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট। সতীর্থদের প্রতি মাহমুদউল্লাহর বার্তা, ‘আমার বার্তা ছিল ইতিবাচক থাকার। একই বার্তা সামনেও থাকবে। হয়তো শুনতে হাস্যকর শোনাবে, কিন্তু আমাদের যে দল আছে, তাতে আমরা আরো ভালো করার সামর্থ্য রাখি। স্রেফ আমাদের ব্যক্তিগতভাবে চিন্তা করতে হবে যে নিজের স্কিল দিয়ে কীভাবে দলে অবদান রাখতে পারি।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads