• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

ক্রিকেট

আশরাফুলের পাশে বিজয়

# টানা তিন সেঞ্চুরির রেকর্ড  # আবাহনীর প্রথম হার  # শেষ বলে মোহামেডানের হার  # মারুফ-জাকেরের সেঞ্চুরিতে রূপগঞ্জের জয়

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২৩ মার্চ ২০১৯

কীর্তিটা আগে গড়েছিলেন বাংলাদেশের লিটল মাস্টার খ্যাত মোহাম্মদ আশরাফুল। গত আসরের শেষের দিকে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে করেছিলেন টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি। যা ছিল প্রথম কোনো ক্রিকেটার হিসেবে কোনো রেকর্ড। সেই রেকর্ডে এবার ভাগ বসিয়েছেন এনামুল হক বিজয়। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে গতকাল করেছেন তিনি সেঞ্চুরি, টানা তিনে তিন। তার সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংক হারিয়েছে উড়তে থাকা আবাহনী লিমিটেডকে। প্রাইম জিতেছে ১৬ রানে। আবাহনীর এটি প্রথম হার।

এবারের আসরে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের প্রথম দুই ম্যাচে ভালো শুরুটা বড় করতে পারেননি অধিনায়ক এনামুল। ফিরে যান থিতু হয়ে। ১৪ মার্চ তৃতীয় ম্যাচে বিকেএসপিতে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে করেন অপরাজিত ১০০ রান। পাঁচ দিন পর একই মাঠে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে খেলেন ১০১ রানের আরেকটি ইনিংস। ব্যাটিং স্বর্গে দুটি সেঞ্চুরি করে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা এনামুল আবাহনীর বিপক্ষে ১২৫ বলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন সানজামুল ইসলামকে ছক্কায় উড়িয়ে।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে গতকাল নিজের সাবেক দল আবাহনীর বিপক্ষে ৬১ বলে পাঁচচার ও এক ছক্কায় পঞ্চাশ স্পর্শ করেন এনামুল। সেখান থেকে একশ ছুঁতে এক-দুইয়ের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করেন তিনি। ৯৪ থেকে সেঞ্চুরি করতে হাঁকানো ছক্কাটিই পরের পঞ্চাশে তার একমাত্র বাউন্ডারি। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকেননি এনামুল। ১২৮ বলে পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় ১০২ রান করে এই কিপার-ব্যাটসম্যান এলবিডব্লিউ হন বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর বলে।

শেষ পর্যন্ত প্রাইম ব্যাংকের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৩০২ রান। বিজয়ের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ভারতীয় ক্রিকেটার অভিমন্যুর। ৮৫ রান করেন তিনি। এছাড়া আরিফুল হক অপরাজিত থাকেন ৫১ রানে। জবাবে আবাহনী ৪৮.৫ ওভারে অল আউট হয়ে যায় ২৮৬ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৪ রান করেন ওয়াসিম জাফর। এ ছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত ৭৩, অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৫২, সৌম্য সরকার ৩৬ রান করেন। প্রাইমের হয়ে বল হাতে নাহিদুল ইসলাম, আবদুর রাজ্জাক ও আল আমিন তিনটি করে উইকেট লাভ করেন। সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন এনামুল হক বিজয়।

অন্যদিকে সাভারে শেষ বলে ছক্কা হাকিয়ে মোহামেডানকে ২ উইকেটে পরাজিত করেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। আগে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডান ৫ বল থাকতেই অলআউট ২৪০ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন ওপেনার আবদুল মজিদ। এ ছাড়া সিলভা ৪৯, আশরাফুল ৪৪, সোহাগ গাজী ৩২ রান করেন। জামালের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন সালাউদ্দিন শাকিল। জবাবে শেখ জামালকে জয়ের জন্য খেলতে হয়েছে শেষ বলটি পর্যন্ত। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫ রান। আলাউদ্দিন বাবুর বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জামালের জয় নিশ্চিত করেন এনামুল হক। জামালের জয়ে সিংহভাগ অবদান ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেনের। তার ব্যাটে আসে জয়ের ভিত্তি। তিনি করেন ৭৪ রান। এ ছাড়া তানবির হায়দার ৩৯, নুরুল হাসান সোহান ৩২, এনামুল হক (২) অপরাজিত ২৮, নাসির হোসেন ২৫ রান করেন। মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সোহাগ গাজী। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন শেখ জামালের ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গাজী গ্রুক ক্রিকেটার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। আগে ব্যাট করতে নেমে গাজী করে ৯ উইকেটে ২৫০ রান। সর্বোচ্চ ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন পারভেজ রসুল। ওপেনার ইমরুল কায়েস করেন ৪৮ রান। এ ছাড়া মাইশুকুর ৩১, রনি তালুকদার ২৯ রান করেন। জবাবে রূপগঞ্জ দাপটে জয় তুলে নেয় ২৭ বল হাতে রেখে। উইকেট পতন হয় মাত্র দুটি। দারুণ জয়ের ম্যাচে সেঞ্চুরি এসেছে দুটি। ওপেনার মেহেদী মারুফ অপরাজিত থাকেন ১৩৭ রানে। ১৩৭ বলের ইনিংসে মারুফ হাঁকিয়েছেন ১২টি চার ও পাঁচটি ছক্কা। অন্যদিকে জাকের আলী অপরাজিত থাকেন ১২৬ বলে ১০৭ রানে। তিনি হাঁকিয়েছেন ১৩টি চার ও একটি ছক্কা। দলীয় ২৭ রানের মধ্যে নাঈম (০) ও মুমিনুল (২) আউট হলে শেষ পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন থেকে রূপগঞ্জকে জয় পাইয়ে দেন মারুফ ও জাকের। ম্যাচসেরা মারুফ।  

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads