• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

ক্রিকেট

সোহেলকে স্মরণ মাশরাফির

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১৩ এপ্রিল ২০১৯

গত ২৮ মার্চ বনানীর এফ আর টাওয়ারের আগুন নেভাতে ও আটকেপড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়ার সময় গুরুতর আহত হন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কুর্মিটোলা স্টেশনের ফায়ারম্যান সোহেল রানা। উদ্ধারকাজে অংশ নিতে গিয়ে তার পা ভেঙে তিন টুকরা হয়ে যায়। ছিদ্র হয়ে যায় পেটের নাড়িভুঁড়ি। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়েও বাঁচানো যায়নি সেই ফায়ারম্যানকে।

ফায়ার সার্ভিসের একটি নিয়ম হচ্ছে, ‘আগে নিজে বাঁচো, পরে অন্যকে বাঁচাও।’ কিন্তু সুপার হিরো সোহেল রানা সেদিন সে পথে হাঁটেননি। অন্যের জীবন বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন বিলিয়ে দেওয়ার মতো মানুষ সমাজে খুব কমই আছে। কিন্তু নিজের জীবন দিয়ে মানবতা শিখিয়ে গেলেন ফায়ারম্যান সোহেল রানা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোহেল রানার অভাবনীয় অবদানের কথা স্মরণ করে স্ট্যাটাস দেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে একটি ছবি পোস্ট করে নড়াইল এক্সপ্রেস লিখেছেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত গল্পের সুপার হিরোদের নিয়ে কথা বলি, তাদের নিয়ে জমে ওঠে আমাদের চায়ের আড্ডা। স্পাইডারম্যান, সুপারম্যান এরা আমাদের জীবনকে প্রতিনিয়ত প্রভাবিত করে। কিন্তু আমাদের আশপাশে এমন কত যে সুপার হিরো আছে আমরা জানিও না। তাদের নিয়ে জমে ওঠে না আমাদের চায়ের আড্ডা। আমরা স্মরণ করি না তাদের ত্যাগের কথা। আজ এমনি একজন সুপারম্যানের কথা বলব। এই সুপারম্যানের নাম হচ্ছে সোহেল রানা। তিনি বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের একজন ফায়ারম্যান ছিলেন। গত ২৮ মার্চ বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছিলেন। মরণের ভয় না করে উদ্ধার করতে গিয়েছিলেন এফ আর বিল্ডিংয়ে আটকেপড়া মানুষদের। কিন্তু উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ১৭ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। আমরা গভীরভাবে স্মরণ করছি সোহেল রানার মতো সকল সুপারম্যানকে।’ 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads