• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
শিরোপা ধরে রাখল আবাহনী

সামনে ট্রফি, পেছনে খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন এবারো আবাহনী

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ক্রিকেট

শিরোপা ধরে রাখল আবাহনী

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২৪ এপ্রিল ২০১৯

লিগের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। টানা জয়ে উড়ছিল দলটি। তবে প্রাথমিক পর্বের শেষ দিকে কিছুটা ছন্দপতন। তাতে অবশ্য সুপার লিগ পর্বে ওঠা ব্যাহত হয়নি। ছয় দলের এই পর্বে আবাহনী আরো তেতে ওঠা দল। শেষ রাউন্ডের ম্যাচে জ্বলে উঠলেন সৌম্য সরকার। আর তাতে হাসি চওড়া হলো টিম আবাহনীর। শেখ জামালকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ধরে রাখল মাশরাফিরা।

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে গতকাল ৩১৮ রানের লক্ষ্য ১৭ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে আবাহনী। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ডবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়া সৌম্য সরকার অপরাজিত থাকেন ২০৮ রানে। ১০০ রান করে ফেরেন ওপেনার জহুরুল ইসলাম।

অন্যদিকে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৮৮ রানে হারানো লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ টানা দ্বিতীয়বারের মতো হয়েছে রানার্সআপ। ৩২৭ রান তাড়ায় ২৩৯ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। পয়েন্ট আবাহনীর সমান হলেও রান রেটে অনেক পিছিয়ে ছিল রূপগঞ্জ।

প্রথম পর্বে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে হেরেছিল আবাহনী। রূপগঞ্জের চেয়ে ৪ পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে সুপার লিগ শুরু করে দলটি। এই পর্বে রূপগঞ্জের দুই হার আর নিজেদের পাঁচ জয়ে শিরোপা ধরে রাখে তারা। ১৬ ম্যাচে তাদের মোট পয়েন্ট ২৬।

১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে ঢাকা মেট্রোপলিস প্রথম বিভাগ ক্রিকেট নামে শুরু হয় ঢাকার শীর্ষ এই ক্লাব প্রতিযোগিতা। প্রথম মৌসুমের চ্যাম্পিয়নও ছিল আবাহনী। ১৯৮৭-৮৮ মৌসুম থেকে প্রথম বিভাগ রূপান্তরিত হয় প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে।

এবারের আসর ছিল ৪২তম। ২০০৩-০৪ ও ২০১২-১৩ মৌসুমে খেলা হয়নি। দুবার যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী, একবার করে মোহামেডান ও বিমান। একমাত্র ক্লাব হিসেবে দুবার হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আবাহনী। এবার জিতে আশা জাগিয়েছে তৃতীয় হ্যাটট্রিকের। ঢাকার শীর্ষ ক্লাব টুর্নামেন্টে এই নিয়ে ২০ বার চ্যাম্পিয়ন হলো আবাহনী। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান শিরোপা জিতেছে ৯ বার।

বিকেএসপিতে আগে ব্যাট করতে নেমে তানবির হায়দারের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ে শেখ জামাল। ৯ উইকেটে ৩১৭ রান। সর্বোচ্চ ১৩২ রানে অপরাজিত থাকেন তানবির। ১১৫ বলের ইনিংসে ১০টি চার ও ছয়টি ছক্কা হাঁকান তানবির। এছাড়া ইলিয়াস সানি ৪৫, মেহরাব হোসেন ৪৪, ওপেনার ফারদিন হাসান ৩৪ রান করেন। আবাহনীর হয়ে বল হাতে চারটি উইকেট নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।

জিততে হলে আবাহনীকে করতে হবে ৩১৮ রান। বিশাল চ্যালেঞ্জ। কিন্তু উদ্বোধনী জুটিতে জহুরুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার যা করে দেখালেন, তা রীতিমতো বিস্ময়কর। এই জুটিতেই রান আসে রেকর্ড ৩১২ রান। শেষের দিকে বরাবর ১০০ রান করে ইমতিয়াজের বলে শহিদুলের তালুবন্দি হন জহরুল ইসলাম। তবে ছক্কা বৃষ্টির রেকর্ডে ডবল সেঞ্চুরি করেও অপরাজিত থাকেন সৌম্য সরকার। ১৫৩ বলে তার রান ২০৮। যার মধ্যে ছিল ১৪টি চার ও ১৬টি ছক্কার মার। অনুমিতভাবে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান সৌম্যই।

অন্যদিকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে রানের পাহাড় গড়ে জিতেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। রানার্সআপ রূপগঞ্জ প্রাইম ব্যাংকে হারিয়েছে ৮৮ রানে। রূপগঞ্জের হয়ে দারুণ সেঞ্চুরি করেছেন মোহাম্মদ নাঈম। ১৩০ বলে তিনি করেন ১৩৬ রান। এছাড়া মুমিনুল ৫২ ও মেহেদী মারুফ ৫৪ রান করেন। জবাবে প্রাইম ব্যাংক ৪২.১ ওভারে ২৩৯ রানে অল আউট হয়ে যায়। সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন নাহিদুল ইসলাম। ওপেনার রুবেল মিয়া ৩৭ ও আরিফুল হক করেন ৩৩ রান। রূপগঞ্জের হয়ে মোহাম্মদ শহীদ নেন চারটি উইকেট। সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন রূপগঞ্জের মোহাম্মদ নাঈম।

শেষ ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বরের কাছে তিন রানে হেরেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২৭৪ রান করে প্রাইম দোলেশ্বর। ফরহাদ হোসেন করেন সর্বোচ্চ ৮৯ রান।  সৈকত আলী ৬৫, সাইফ হাসান ৫৫ রান করেন। জবাবে মোহামেডান ৯ উইকেট করে ২৭১ রান। সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন মোহাম্মদ আশরাফুল। এছাড়া রাহাতুল ফেরদৌস ৩৭, নিহাদুজ্জামান অপরাজিত ৩৫,  আব্দুল মজিদ ২৫, ইরফান শুকুর ২৬ রান করেন। প্রাইমের হয়ে বল হাতে ফরহাদ রেজা ও মাহমুদুল হাসান দুটি করে উইকেট লাভ করেন। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন ফরহাদ হোসেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads