ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরুর আগেই চেপে বসেছিল পাহাড়সমান চাপ। অভিষেকের পর সেই চাপ বাড়ল আরো। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দারুণ পারফরম্যান্সে মিলল চাপ মুক্তির স্বাদ। তাতে স্বস্তি পাচ্ছেন আবু জায়েদ রাহী। তবে জানান, এই অনুভূতি কেবলই সাময়িক। পাড়ি দিতে হবে আরো অনেক পথ।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ওয়ানডে না খেলা একমাত্র ক্রিকেটার ছিলেন রাহী। তার সুযোগ পাওয়া নিয়ে ছিল অনেক প্রশ্ন। চলছিল বিতর্ক, আলোচনা। এসবের মধ্যেই আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে সোমবার ওয়ানডে অভিষেকের সুযোগ পান এই পেসার। ৯ ওভারে ৫৬ রান দিয়ে সেদিন ছিলেন উইকেটশূন্য।
বুধবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও তকে সুযোগ দেয় টিম ম্যানেজেমন্ট। এবার রাহী দিয়েছেন আস্থার প্রতিদান। ৫৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। তাকে নিয়ে বিতর্ক হয়তো পুরোপুরি থামবে না তাতে। তবে অনেক প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পেরেছেন। সর্বোচ্চ পর্যায়ে পারফর্ম করার সামর্থ্যের প্রমাণও দিয়েছেন।
৫ উইকেট অবশ্য রাহীর প্রত্যাশার সীমানায়ও ছিল না। ম্যাচ শেষে জানালেন, সন্তুষ্ট থাকতেন একটি-দুটি উইকেটেই। শোনালেন এখানেই না থামার প্রত্যয়। ‘অবশ্যই ভালো লাগছে। শুরুতে চাইছিলাম একটা উইকেট যেন অন্তত পাই। দুটি হলে তো আরো ভালো। আত্মবিশ্বাস বেড়েছে, তবে এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।’
২৫ বছর বয়সী পেসার জানালেন, অভিষেক ম্যাচে অনেক চাপ থাকলেও পরের ম্যাচে নির্ভার করেছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাইরের সমালোচনা থেকেও নিজেকে আড়াল করার পথ বাতলে দিয়েছেন অধিনায়ক। “অভিষেক ম্যাচে কিছু চাপ তো ছিলই। দ্বিতীয় ম্যাচে কোনো চাপ ছিল না। মাশরাফি ভাই বারবার বলেছিলেন, ‘তুই মন খুলে বল কর। যে রকম ঢাকা লিগে, বিপিএলে বোলিং করিস, সেভাবেই মন খুলে কর। সংশয় নিয়ে বোলিং করিস না। যেটা করার ইচ্ছা কর।’ আমি সেভাবেই করার চেষ্টা করেছি। বাইরে অনেক কথা হয়েছে। মাশরাফি ভাই একটা কথা বলেছেন যে ‘সোশ্যাল মিডিয়া যদি সহ্য করতে পারো, তাহলে দেখো। সহ্য না করতে পারলে বন্ধ করো।”
দেশের হয়ে প্রথমবার ৫ উইকেট, সব ক্রিকেটারের জন্যই বিশেষ কিছু। রাহী তার বিশেষ অর্জন উৎসর্গ করেছেন বিশেষ একজনকে। ‘আমার আম্মু অনেক টেনশন করেন আমাকে নিয়ে। পরিবারের ছোট ছেলে, সব সময় ভাবেন। আমার প্রথম ৫ উইকেট আম্মুকে উৎসর্গ করছি।’
