• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
দারুণ জয়ে শুরু ইংল্যান্ডের

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

দারুণ জয়ে শুরু ইংল্যান্ডের

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৩১ মে ২০১৯

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বড় জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করলো ফেবারিট স্বাগতিক ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাটসম্যান ও পরে বোলারদের নৈপুণ্যে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৪ রানে হারায় ইংলিশরা।

কনিংটন ওভালের এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩১১ রানের ফাইটিং স্কোর গড়ে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। জবাবে প্রোটিয়ারা ৩৯.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে মাত্র ২০৭ রান করে।

ওভালে বিশাল স্কোরের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ছিল অতি সাবধানী। অতিরিক্ত সাবধানী হতে গিয়ে তারা বিপদও ডেকে আনে চতুর্থ ওভারে। জোফরা আর্চারের গতির কাছে পরাস্ত হন ওপেনার হাশিম আমলা। অবশ্য তা শুধু সীমাবদ্ধ থাকে চোট আঘাতে। আর্চারের বাউন্সার গিয়ে আঘাত হেনে বসে আমলার হেলমেটের গ্রিলে। সেই আঘাতে অস্বস্তিতে ভোগায় বাধ্য হয়েই রিটায়ার্ড হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। অবশ্য সেই বাউন্সারই যে আর্চারের পক্ষ থেকে প্রোটিয়াদের জন্য সতর্কবাণী ছিল, তা টের পায়নি তারা। না হলে আমলার বদলে নামা মারক্রামও বোকামি করতেন না বাড়তি বাউন্সের বাইরের বল খেলতে গিয়ে। লোভনীয় শট খেলতে গিয়ে তার জায়গা হয় স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা জো রুটের হাতে। দলীয় ৩৬ রানের মাথায় মারক্রাম বিদায় নেন ব্যক্তিগত ১১ রানে।

দলীয় ৪৪ রানের সময় অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি (৫) মঈন আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। দলীয় ১২৯ রানের সময় ডি কক আউট হন। তিনি ৭৪ বলে ৬টি চার ও ২টি ছয়ে ৬৮ রান করেন। এরপর ডুমিনি ৮ রান করে মঈন আলীর বলে আউট হয়ে যান। দলীয় ১৪৪ রানের সময় প্রিটোরিয়াস (১) রানআউট হন। ফন ডার ডাসেন চমৎকার খেলছিলেন। কিন্তু  ৬১ বলে ৪টি চার ও ১টি ছয়ে ৫০ রান করে আর্চারের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। তখন দলীয় রান ১৬৭। ইনজুরি হওয়া হাশিম আমলা আবার ব্যাটিং করতে নামেন দলের বেহাল অবস্থা দেখে। ফেলুকোয়ায়ো বেশ ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু সতীর্থদের মতোই তিনি মাঠ ছাড়েন। দলীয় ১৮০ রানের সময় আদিল রশিদের বলে স্টোকসের হাতে ধরা পড়েন ফেলুকোয়ায়ো। তিনি ২৫ বলে ৪টি চারে করেন ২৪ রান। আমলা দলের ১৯৩ রানের সময় প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। প্লাঙ্কেটের বলে বাটলারের হাতে ধরা পড়ার আগে তিনি করেন ১৩ রান। রাবাদা ১১ ও ইমরান তাহির শূন্য রানে আউট হলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।

ইংল্যান্ডের আর্চার ২৭ রানে ৩টি এবং প্লাঙ্কেট ৩৭ রানে ও স্টোকস ১২ রানে ২টি করে উইকেট পান। স্টোকস ম্যাচসেরা হন।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ইংল্যান্ড। প্রথম ওভারে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি বল তুলে দেন ইমরান তাহিরের হাতে। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ইনিংসের প্রথম ওভারে বোলিং করা এই লেগ স্পিনার শুরুতেই ফিরিয়ে দেন জনি বেয়ারস্টোকে। বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের প্রথম শতরানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন জেসন রয় ও জো রুট। তবে সম্ভাবনাময় ইনিংসকে পূর্ণতা দিতে পারেননি তারা। অষ্টাদশ ওভারে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন দুই ব্যাটসম্যান। পরের দুই ওভারে রুট-রয়কে ফিরিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫৩ বলে ৮ চারে ৫৪ রান করা রয়কে থামিয়ে ১০৬ রানের জুটি ভাঙেন আন্দিলে ফেলুকোয়ায়ো। ৫৯ বলে ৫১ রান করা রুটকে বিদায় করেন কাগিসো রাবাদা। চার বলের মধ্যে দুই থিতু ব্যাটসম্যানকে হারানো ইংল্যান্ড এগিয়ে যায় ইয়ান মরগান ও বেন স্টোকসের জুটিতে। ক্রিজে গিয়েই বোলারদের ওপর চড়াও হন মরগান, একটু সময় নেন স্টোকস। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের জুটি জমে যাওয়ার পর রান এসেছে দ্রুত।

৫০ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন মরগান। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে রিভার্স স্কুপে চার হাঁকিয়ে ৪৫ বলে ফিফটি তুলে নেন স্টোকস। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙেন তাহির। লং অনে মরগানের চমৎকার ক্যাচ মুঠোয় নেন এইডেন মারক্রাম। ৬০ বলে ৫৭ রান করে ফেরেন ইংলিশ অধিনায়ক। ভাঙে ১০৬ রানের জুটি। রানের গতিতে দম দিতে ইংল্যান্ড তাকিয়ে ছিল জস বাটলারের দিকে। লুঙ্গি এনগিডির বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হয়ে ফিরেন এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। মঈন আলিকে দ্রুত ফেরান এনগিডি। ১৯৯২ আসরের সেমিফাইনালে গ্রায়েম হিকের ৮৩ ছিল এত দিন বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের কারো ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। তা ছাড়িয়ে ৮৯ রানে থামেন স্টোকস। তার ৭৯ বলের দায়িত্বশীল ইনিংসে তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ গড়ে ইংল্যান্ড।

বারবার বোলিংয়ে পরিবর্তন এনে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ভাবনার মধ্যে রাখেন ডু প্লেসি। দলের ফিল্ডিং ছিল দারুণ। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে বাঁচিয়েছেন কিছু রান, কয়েকটি ভালো ক্যাচও মুঠোয় নিয়েছেন তারা।

৬৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার এনগিডি। তাহির ও রাবাদা নেন দুটি করে উইকেট।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads