• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
জয় দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু

দুর্দান্ত জয় ‍দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের

ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট

জয় দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০২ জুন ২০১৯

ঈদের আগে যেন বোনাস পাওয়ার আনন্দ। বাংলাদেশের মানুষের আনন্দের উপলক্ষ যখন এই ক্রিকেটই তখন বলাই যায়, ঈদের আগে আরেকবার আনন্দে মাতোয়ারা হবার দিন পেল এদেশের মানুষ।

বিশ্বকাপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় এর আগে কখনও দেখেনি বাংলাদেশ। সময়ের পরিক্রমায় এমন দিনও ধরা দিন লাল-সবুজের পতাকা তলে।

বিশ্বকাপ শুরুর আগে ‘দ্য ক্যাপ্টেনস মিট’ অনুষ্ঠানে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা নিছক মজা করেই দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ককে বলেছিলেন, তোমাদের জিততে দিব না।

আসলেই তো জিততে দেয়নি মাশরাফীরা! মাশরাফীর কথা যে এভাবে সত্যি হয়ে যাবে সেটা ডু প্লেসি কি ভেবেছিল ম্যাচের আগে?
ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে দুর্দান্ত বাংলাদেশ দল খেলতে এসেছে বিশ্বকাপে আর দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে ১০৪ রানে হেরে শুরু করেছে তাদের বিশ্বকাপ।

লন্ডনের দ্য ওভালে ওভালে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। এখানে কিছুটা আপত্তি ছিল মাশরাফীর।

টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়ায় মাশরাফীর আপত্তি থাকলেও টাইগার দুই ওপেনার শুরুটা করেন দুর্দান্ত।

দুই উদ্বোধনী তামিম-সৌম্যর ব্যাটে আসে ৮ ওভার ২ বলে ৬০ রান। তামিম ধরেই খেলছিলেন আর সৌম্য ব্যাট চালাচ্ছিলেন হাত খুলে।

কিন্তু তামিমের ধরে খেলাটাই যে তাকে ব্যর্থতা উপহার দিবেন সেটা কে জানতো। অ্যান্ডিল ফিলহুকওয়েও বলে ব্যক্তিগত ১৬ রানে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

আরেক ওপেনার সৌম্য ৩০ বলে ৯ চারে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ফেরেন সাজঘরে।
তামিম-সৌম্যর পরপর আউট হওয়াটা বুঝতে দেননি সাকিব আর মুশফিক। এই দুইজনের জুটি থেকে আসে ১৪২ রান। সাকিব করেন ৮৪ বলে ৭৫ আর মুশফিক করেন ৮০ বলে ৭৮ রান।
শেষদিকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৩৩ বলে ৪৬ আর মোসাদ্দেকের ২৬ রানে ভর করে বাংলাদেশ পেয়ে যায় নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান।

মুশফিক যখন সাজঘরে ফেরেন তখন বাংলাদেশের দলীয় রান ৪২ ওভার ১ বলে ৫ উইকেটে ২৫০।

৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৩০ রান ৬ উইকেটে। যা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান। এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২২ রান করে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন অ্যান্ডিল ফিলহুকওয়েও, ক্রিস মরি ও ইমরান তাহির।

বাংলাদেশের দেয়া বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনারের। উদ্বোধনী জুটিতে আসে কেবল ৪৯ রান। চাপটা বুঝি বেড়েই গেল। এরপর এইডন মার্কারাম আর ফাফ ডু প্লেসির জুটি খানিক ভোগায় বাংলাদেশকে। ৫৩ রানের জুটি শেষমেশ ভাঙেন সাকিব আল হাসান। মার্কারামকে তার ৪৫ রানের মাথায় বোল্ড করে বাঁচেন হাঁফ ছেড়ে। এরপরের দুই জুটি হয়ে উঠে আরও বেশি বিপজ্জনক। ডু প্লেসি আর ডেভিড মিলার মিলে করেন ৪৫ রান। মিলারকে ৩৮ রানে ফেরানো গেলেও ডু প্লেসি হাঁকান অর্ধশতক। এরপর তাকে থামান মেহেদী মিরাজ। ডু প্লেসির ব্যাটে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৬২ রান।

প্রোটিয়াদের ব্যাটিং মেরুদণ্ড যখন প্রায় ভেঙে গেছে ঠিক তখনই সোজা করার দায়িত্ব নেন জেপি ডুমিনি আর ভ্যান ডার ডুসেন। এই দুজনের ২৬ রানের জুটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন সাইফউদ্দিন। ৪১ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন ডুসেন। এরপর ডুমিনিকে ৪৫ রানের মাথায় বোল্ড করে ফেরান মুস্তাফিজ। তাতেই শেষ দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের স্বপ্ন। একদিকে স্বপ্ন ভাঙ্গন আর অন্য দিকে নতুন স্বপ্নের উদয়। ৫০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা টেনেটুনে ৩০০ রান তুলে ৮ উইকেটে। বাংলাদেশ নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে ২৪ রানের জয়ে। মুস্তাফিজ ৩টি, সাইফউদ্দিন ২টি আর ১টি করে উইকেট নেন মেহেদী মিরাজ আর সাকিব আল হাসান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads