• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সহজ জয় ইংল্যান্ডের

ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সহজ জয় ইংল্যান্ডের

  • মোস্তফা তারিক আল বান্না
  • প্রকাশিত ১৫ জুন ২০১৯

‘বিগ’ ম্যাচে সহজ জয় বলে এটাকেই। দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল এবারের আসরের অন্যতম ফেভারিট দল, স্বাগতিক ইংল্যান্ড। গতকাল শুক্রবার সাউদাম্পটনে চলতি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ  ম্যাচে পেসার জোফরা আর্চার ও মার্ক উডের মারাত্মক বোলিং এবং জো রুটের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে জয় পায় ইংল্যান্ড। ক্যারিবীয়দের ৪৪.৪ ওভারে মাত্র ২১২ রানের জবাবে ইংল্যান্ড ৩৩.১ ওভারে মাত্র ২ উইকেটে ২১৩ রান করে।

এ জয়ের ফলে ইংল্যান্ড ৪ ম্যাচে ৩ জয় ও ১ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ ম্যাচে ১ জয়, ২ হার ও ১ ড্রয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে ষষ্ঠ স্থানে রইল। ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। এছাড়া ভারত ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। শ্রীলঙ্কা ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পেয়ে পঞ্চম স্থানে আছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে নবম এবং ৩ ম্যাচে কোনো পয়েন্ট না পেয়ে আফগানিস্তান দশম স্থানে অবস্থান করছে। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন রুট।

২১৩ রানের ছোটখাটো টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে ইংল্যান্ডের ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন জো রুট ও জনি বেয়ারস্টো। তারা খুব আস্থার সঙ্গে খেলতে থাকেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার একের পর এক পেসার ব্যবহার করেও জুটি ভাঙতে পারছিলেন না। অবশেষে দলীয় ৯৫ রানের মাথায় ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে সক্ষম হয় ক্যারিবীয়রা। গ্যাব্রিয়েলের বলে বেয়ারস্টো ব্রাথওয়েটের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তিনি ৪৬ বলে ৭টি চারে করেন ৪৫ রান। দলীয় ১৯৯ রানের সময় গ্যাব্রিয়েলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ওকস। ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ওকস করেন ৫৪ বলে ৪০ রান। রুট ৯৪ বলে ১১টি চারে করেন ১০০ রান। এটা ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তার ১৬তম সেঞ্চুরি। তার সঙ্গে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন স্টোকস।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের গ্যাব্রিয়েল ৪৯ রানে ২টি উইকেট লাভ করেন।

এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত যখন নেয় ইংল্যান্ড তখনো ধারণা করা যায়নি তাদের প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটিং লাইনে এমন ধস নামবে। একেবারে শুরুতেই উইকেট হারায় জেসন হোল্ডারদের দল। দলীয় ৪ রানের সময় ওপেনার এভিন লুইস ওকসের বলে বোল্ড হন। তিনি মাত্র ২ রান করেন। সেই যে বাজে শুরু, তার আর পরিবর্তন হয়নি। দলের রান যখন ৫৪, তখন ক্রিস গেইল আউট হয়ে যান। প্লাঙ্কেটের বলে বেয়ারস্টোর হাতে ধরা পড়ার আগে গেইল ৪১ বলে ৫টি চার ও ১টি ছয়ে ৩৬ রান করেন। দলের আর মাত্র ১ রান যোগ হতেই শাই হোপ প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। তিনি ৩০ বলে করেন ১১ রান। এরপর নিকোলাস পুরান ও শিমরন হেটমায়ের চতুর্থ জুটিতে মোটামুটি আস্থার সঙ্গে খেলতে থাকেন। তখন মনে হচ্ছিল, দলের রান ৩০০ না হলেও কাছাকাছি যাবে। কিন্তু এই জুটি দলীয় ১৪৪ রানের মাথায় হেটমায়ের বলে আউট হন। তাকে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ লুফে নিয়ে প্যাভিলিয়নে পাঠান জো রুট। হেটমায়ের ৪৮ বলে ৩৯ রান করেন ৪টি চারের সাহায্যে। এরপর একই কায়দায় অধিনায়ক হোল্ডারকে (৯) আউট করেন রুট। দলের অন্যতম ব্যাটিং কাণ্ডারি আন্দ্রে রাসেল দলীয় ১৮৮ রানে আউট হলে স্পষ্ট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর বড় হচ্ছে না। রাসেল ২১ রান করে উডের বলে ওকসের হাতে ধরা পড়েন। দলীয় ২০২ রানের সময় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী পুরান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। আর্চারের বলে বাটলারের হাতে ধরা পড়ার আগে পুরান ৭৮ বলে ৩টি চার ও ১টি ছয়ে ৬৩ রান করেন। শেষের দিকে আর্চার ও উডের আক্রমণে বাকি উইকেট তিনটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পড়ে গেলে ইংল্যান্ডের ফিল্ডাররা বীরবেশে মাঠ ছাড়েন।

ইংল্যান্ডের আর্চার ৩০ রানে এবং উড ১৮ রানে ৩টি করে উইকেট পান। আর রুট ২টি উইকেট নেন ২৭ রানে। একটি করে উইকেট নেন ওকস ও প্লাঙ্কেট।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads