• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
জিতে বাংলাদেশের সঙ্গে পঞ্চম স্থানে পাকিস্তান

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

জিতে বাংলাদেশের সঙ্গে পঞ্চম স্থানে পাকিস্তান

  • তারিক আল বান্না
  • প্রকাশিত ২৭ জুন ২০১৯

‘লো স্কোরিং’ ম্যাচে শাহিন শাহ আফ্রিদির মারাত্মক বোলিং আর বাবর আজমের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমিফাইনালে ওঠার পথে বেশ ভালোভাবেই টিকে রইল পাকিস্তান। বিশ্বকাপে এটা পাকিস্তানের তৃতীয় জয়। পয়েন্ট তালিকায় সপ্তম থেকে উঠে এসে পাকিস্তান এখন বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে পঞ্চম স্থানে রয়েছে গতকাল বুধবার বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে নিউজিল্যান্ডের ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩৭ রানের জবাবে পাকিস্তান ৪৯.১ ওভারে ৪ উইকেটে করে ২৪১ রান। বাবর আজম ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।

গতকালের জয়ের ফলে পাকিস্তানের পয়েন্ট এখন ৭ ম্যাচে ৭। বাংলাদেশেরও ঠিক একই অবস্থান। পরাজিত হলেও নিউজিল্যান্ড ৭ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ১২ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে, ভারত ৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়, ইংল্যান্ড ৮ পয়েন্টে চতুর্থ, শ্রীলঙ্কা ৬ পয়েন্ট পেয়ে সপ্তম, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ পয়েন্ট করে পেয়ে যৌথভাবে অষ্টম এবং আফগানিস্তান শূন্য পয়েন্টে দশম স্থানে রয়েছে। 

মাত্র ২৩৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। দলীয় ১৯ রানে তাদের ওপেনার ফখর জামান ট্রেন্ট বোল্টের বলে গাপটিলের হাতে ধরা পড়েন। ফখর ৯ রান করেন। এরপর দ্বিতীয় জুটিও খুব বেশি বড় হতে পারেনি। দলীয় ৪৪ রানে ফারগুসেনের বলে সেই গাপটিলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন অপর ওপেনার ইমাম উল হক। ইমামের ক্যাচটি অবশ্য অসাধারণ ভঙ্গিমায় লুফে নেন গাপটিল। ইমাম ২৯ বলে ১৯ রান করেন। তৃতীয় জুটিতে বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজ মূল্যবান ৬৬ রান যোগ করেন। দলীয় ১১০ রানের মাথায় কেন উইলিয়ামসনের বলে হাফিজ ধরা পড়েন ফারগুসেনের হাতে। হাফিজ ৫০ বলে ৩২ রান করেন। এরপর চতুর্থ জুটিতে বাবর ও হারিস সোহেল দারুণ খেলে ১২৬ রান যোগ করে পাকিস্তানের জয়ের পথ প্রায় নিশ্চিত করেন। দলীয় ২৩৬ রানে হারিস রান আউট হন। হারিস করেন ৭৬ বলে ৫টি চার ও ২টি ছয়ে ৬৮ রান। বাবর ১২৭ বলে ১১টি চারে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে ৫ রানে অপরাজিত থাকেন সরফরাজ। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে বোল্ট ৪৮ রানে, ফারগুসেন ৫০ রানে এবং উইলিয়ামসন ৩৯ রানে ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানি বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে কিউইরা। প্রথম ওভারে কিছুটা চমক ছিল। অফস্পিনার মোহাম্মদ হাফিজকে দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করে পাকিস্তান। তবে সেই ওভারটা বেশ দেখেশুনেই কাটিয়ে দেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল আর কলিন মুনরো। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে আসেন মোহাম্মদ আমির। প্রথম বলেই উইকেট। আমিরের অফসাইডের বলটি শরীরের বাইরে থেকে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্ট্যাম্পে টেনে আনেন কিউই ওপেনার গাপটিল। মাত্র ৫ রান করেই তিনি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন।

শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া নিউজিল্যান্ড ধীর ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ করে। কিন্তু সপ্তম ওভারে এসে তারা হারিয়ে বসে আরেক ওপেনার মুনরোকেও। ১২ রান করে শাহিন আফ্রিদির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। নিজের পরের ওভারে আবারো আঘাত শাহিন আফ্রিদির। এবার তিনি পরাস্ত করেন কিউই ব্যাটিং স্তম্ভ রস টেইলরকে (৩)। উইকেটের পেছনে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত ক্যাচ লুফে নেন সরফরাজ আহমেদ। ১৩তম ওভারে আরো এক উইকেট শাহিন আফ্রিদির। এবার তার দুর্দান্ত ডেলিভারিটি কিছু বোঝার আগেই টম লাথামের (১) ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় সরফরাজের হাতে।

দলীয় ৮৩ রানে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে আস্থার জায়গায় যার নাম লেখা, সেই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ফিরে যান। তিনি শাদাব খানের বলে সরফরাজের হাতে ধরা পড়েন ৬৯ বলে ৪টি চারে ৪১ রান করে। তখন ধারণা করা হয়, দেড়শ’র মতো রান করতে পারে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু নিশাম ও ডি গ্র্যান্ডহোম ষষ্ঠ জুটিতে দারুণ খেলে দলের স্কোর সম্মানজনক অবস্থায় নিয়ে যান।

ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে অপরাজিত ৯৭ রান করেন নিশাম। তার ওই রান আসে ১১২ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছয়ে। নিশামের সঙ্গে ১২৮ বলে ১৩২ রানের জুটি গড়া ডি গ্র্যান্ডহোম করেন ৬৪ রান। তার রান আসে ৭১ বলে ৬টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে।

পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে শাহিন আফ্রিদি ২৮ রানে ৩টি উইকেট পান। আর মোহাম্মদ আমির ৬৭ রানে ও শাদাব ৪৩ রানে ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads