• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
রোমাঞ্চ ছড়িয়ে জিতল পাকিস্তান

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

রোমাঞ্চ ছড়িয়ে জিতল পাকিস্তান

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৯ জুন ২০১৯

লো স্কোরিং ম্যাচ। তাতে মিশে থাকল রাজ্যের উত্তেজনা। ম্যাচ দুলল পেন্ডুলামের মতো। কখনো আফগানিস্তান, কখনোবা পাকিস্তানের দিকে ঝুলে পড়ল ম্যাচ। শেষটা নখ কামড়ানোর উত্তেজনায় পরিপূর্ণ। ৬ বলে দরকার যখন ৬ রান, গুলবাদিনের চতুর্থ বলে চার হাকিয়ে পাকিস্তানকে রুদ্ধশ্বাস জয় উপহার দেন ইমাদ ওয়াসিম। নাটকীয় ম্যাচে পাকিস্তানের জয় আসে ৩ উইকেটে। যে জয়ে বিশ্বকাপে টিকে থাকল পাকিস্তানের সেমির স্বপ্নও। ৮ ম্যাচে নয় পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় এক লাফে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে পাকিস্তান। অন্যদিকে ৮ ম্যাচে এখনো জয়হীন আফগানিস্তান।

জিততে হলে করতে হবে ২২৮ রান। এমন লক্ষ্যে খেলতে নেমে কাপাকাপি অবস্থা ছিল পাকিস্তানের। ওপেনার ফকর জামান শূন্য রানে আউট। তবে ইমামুল হক ও বাবর আজম দলের হাল ধরেন শক্ত হাতে। তবে ৮১ রানের মধ্যে এই দুজনের বিদায়ের পর শঙ্কায় পড়ে পাকিস্তান। দুজনকেই বিদায় করেন মোহাম্মদ নবী। বাবর ৪৫, ইমামুল ৩৬ রান করেন। মাঝে হ্যারিস (২৭), হাফিজ (১৯) ও সরফররাজ (১৮) দ্রুত আউট হলে ম্যাচ হেলে পড়ে আফগানিস্তানের দিকে।

তবে পাকিস্তানের শেষ চমকটা দেখিয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম। সঙ্গে ছিলেন হার্ড হিটার ওয়াহাব রিয়াজ। ৩০ বলে পাকিস্তানের যখন দরকার ৪৬ রান। তখন ৪৬তম ওভারে আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব দেন ২০ রান। ম্যাচ তখনই চলে যায় পাকিস্তানের দিকে। শেষটা দারুণভাবে সমাপ্ত করেন ইমাদ ও ওয়াহাব। দুই বল বাকি থাকতে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাড়ায় সাত উইকেটে ২৩০ রান। ৫৪ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকা ইমাদ ওয়াসিমই জিতে নেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ওয়াহাব রিয়াজ ছিলেন ১৫ রানে অপরাজিত। আফগানিস্তানের হয়ে মুজিব ও নবী নেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২২৭ রান করে আফগানিস্তান। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট হারায় তারা। উইকেট দুটি নেন পেসার শাহিন আফ্রিদি। বাঁহাতি এই পেসার প্রথমে ফেরান গুলবদিন নাইবকে (১৫)। পরের বলেই হাশমতউল্লাহ শহিদিকে (০)।

তৃতীয় উইকেটে রহমত শাহ ও ইকরাম আলিখিল প্রতিরোধের আভাস দিলেও ইমাদ ওয়াসিম এসে ভেঙে দেয় আফগানদের সেই পরিকল্পনা। ৩৫ রান করা ওপেনার রহমত শাহকে বানান বাবর আজমের তালুবন্দী। চতুর্থ উইকেটে অভিজ্ঞ আসগর আফগান ও ইকরাম আলিখিল মিলে দলীয় স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৬৪ রান। ফিফটির পথে থাকা আসগরকে ৪২ রানে ফিরিয়ে দিয়ে ভয়ঙ্কর হতে যাওয়া এই জুটি ভাঙেন শাদাব খান। এরপর ইমাদের বলে বিদায় নেন ইকরাম আলিখিল (২৪ রান)। মোহাম্মাদ নবী ১৬ রানে আউট হলে নাজিবুল্লাহ জাদরান হয়ে পড়েন শেষ ব্যাটিং ভরসা। তিনি ৪২ রান তোলায় আফগানদের ইনিংস দু’শ অতিক্রম করে। সলিমুল্লাহ শিরওয়ানী থাকেন ১৯ রানে অপরাজিত।

পাকিস্তানের হয়ে সেরা বোলিং পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির। ৪৭ রান খরচায় তুলে নেন চারটি উইকেট। এ ছাড়াও ইমাদ ওয়াসিম ও ওয়াহাব রিয়াজ পান দুটি করে উইকেট।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads