• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
মাশরাফির আক্ষেপ-হতাশা

ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট

মাশরাফির আক্ষেপ-হতাশা

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০৭ জুলাই ২০১৯

আশা ছিল শেষটা রাঙানো। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় এলে হতো লক্ষ্য পূরণ। কিন্তু বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে বাজে হারে শেষটা বিষাদময় হয়েছে বাংলাদেশের। তিন জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে টাইগারদের। পাওয়া গেল না বিশ্বকাপে রেকর্ড চতুর্থ জয়ের সুখস্মৃতি। পয়েন্ট তালিকায় সপ্তম স্থানে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করাটা তাই ব্যর্থতাই বলা যায়।

তারপরও বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অন্যান্য বারের তুলনায় ভালো করেছে, তা বলাই যায়। হার-জিত থাকবেই। তবে এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে সমানতালে। সব প্রতিপক্ষই সমীহ করেছে বাংলাদেশ দলকে। এর মধ্যে সাকিব আল হাসান ছিলেন অগ্রনেতার ভূমিকায়। দুই সেঞ্চুরি ও পাঁচ হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে বল হাতে ১১ উইকেট, নিঃসন্দেহে বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায় সবার ওপরের দিকে থাকবেন তিনি। আর কাটার মাস্টার মোস্তাফিজের ২০ উইকেটও প্রশংসা কুড়াচ্ছে। এ ছাড়া মুশফিকের এক সেঞ্চুরিও আছে আলোচনায়। তবে এই তিনজনকে বাদ দিলে টিম বাংলাদেশ হিসেবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি টাইগাররা।

পাকিস্তানের সঙ্গে শেষ ম্যাচে হারের পর অধিনায়ক মাশরাফির কণ্ঠে তাই আক্ষেপ ঝরে পড়ল। বিশেষ করে তা সাকিব আল হাসানের জন্য। ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে ছিলেন সাকিব আল হাসান। আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ অলরাউন্ডারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে পারেননি সতীর্থরা। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী পর্বে মাশরাফি জানান, সাকিবকে যথেষ্ট সহায়তা দিতে পারলে চিত্রটা ভিন্ন হতে পারত। তিনি বলেন, ‘শেষ দুই ম্যাচের প্রতিটিতেই সাকিব ভালো ব্যাটিং করেছে। তবে আমরা ভালো একটি জুটি গড়ে তুলতে পারিনি। আমরা খুবই দুঃখিত যে, বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচে খুব ভালো ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং করা সাকিবকে যথেষ্ট সহায়তা করতে পারিনি।’

৬০৬ রান ও ১১ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন সাকিব। সেমিফাইনাল পর্যন্ত যেতে না পারায় নিজেদের প্রাপ্তির বেশি কিছু দেখেন না অধিনায়ক, ‘বাজে ফিল্ডিং পুরো টুর্নামেন্টে আমাদের খুব ভুগিয়েছে। বোলিংও যথাযথ ছিল না। ব্যাটিং ছিল বেশ ইতিবাচক। টানা দুই ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়া মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ে খুশি মাশরাফি, ‘ক্যারিয়ারের শুরুতে মোস্তাফিজ ছিল আনপ্লেয়েবল। গত দুই বছর চোট ওকে বেশ ভুগিয়েছে। তবে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে সে ভালো করেছে। সে বাংলাদেশের ক্রিকেটের একটা সম্পদ।’

বিশ্বকাপের মঞ্চে মাশরাফির ছিল শেষ ম্যাচ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারই আর কতদিন চলে, তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে গুঞ্জন। সংবাদ সম্মেলনে সেই প্রসঙ্গও উঠল। মাশরাফি বিন মর্তুজা উত্তর দিলেন ছোট্ট করে। অবসর নেবেন নাকি চালিয়ে যাবেন খেলা, দেশে ফিরে সিদ্ধান্ত নেবেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ার আগেই মাশরাফি বলে এসেছিলেন, এটিই তার শেষ বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন কি না-সেই প্রশ্ন গত কয়েক দিনে অধিনায়ককে শুনতে হয়েছে বেশ কয়েকবার।

শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারার পর সংবাদ সম্মেলনে আবার জানতে চাওয়া হলো তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। মাশরাফির উত্তর, আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, ‘অবশ্যই বাড়ি ফেরা। যাওয়ার পর ভেবে দেখব।’  তার আগে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজার প্রশ্ন ছিল, রাজনীতিতে জড়ানোর পর বিশ্বকাপ শেষে মাশরাফি খেলা চালিয়ে যাবেন কিনা। সেখানেও উত্তর ছিল একই রকম, ‘দেশে ফিরে আমি ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবব। তার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’

হ্যাঁ, এখন দেশে ফেরার পালা টাইগারদের। আজই ফিরবেন মাশরাফিরা। ঢাকায় আজ বাংলাদেশ দল এসে পৌঁছবে বিকাল সোয়া পাঁচটায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads