• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

ক্রিকেট

দর্শক আবু জায়েদ

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০৭ জুলাই ২০১৯

বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয়েছে বাংলাদেশের। পয়েন্ট তালিকায় সপ্তম স্থানে থেকে দেশে ফিরতে হচ্ছে মাশরাফিদের। ভালো-মন্দ মিশিয়ে ছিল টাইগারদের বিশ্বকাপ। তবে স্কোয়াডে থাকা এক ক্রিকেটারের জন্য বিশ্বকাপটা দর্শকের ভূমিকায়। তিনি পেসার আবু জায়েদ রাহি।

রাউন্ড রবিন লিগে বাংলাদেশ ৯ ম্যাচ খেললেও একটিতেও খেলার সুযোগ পাননি রাহি। ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪ জন ঘুরেফিরে খেলেছেন ম্যাচ। ড্রেসিংরুমে বসে কিংবা নেটে বোলিং করে সময় কেটেছে শুধু রাহির। মূল একাদশে সুযোগ পাওয়া তো দূরের কথা, বদলি খেলোয়াড় হিসেবে ফিল্ডিং করতেও মাঠে দেখা যায়নি তাকে।

কোনো ম্যাচের আগে একাদশ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা থাকলেও আবু জায়েদ নামটি একবারের জন্যও উচ্চারিত হয়নি। বলা যায় এই বিশ্বকাপে তিনি উপেক্ষার শিকার। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে রাহিকে দিয়ে ম্যাচ খেলানো হয়েছিল। তবে বিশ্বকাপে তার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। আয়ারল্যান্ড সফরের শেষ দিকে সমালোচনা উঠলে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্যাচে খেলানো হয়েছিল তাকে। রাহি সেই ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। বাধ্য হয়েই পরের ম্যাচে নামানো হয়েছিল এই পেসারকে। ভালো না করায় ফাইনাল ম্যাচে রাহিকে নামানো হয়নি। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেললেও মূল মঞ্চে সাইডবেঞ্চ গরম করেই সময় কেটেছে রাহির। অথচ বিশ্বকাপে তার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট যুক্তি দেখিয়ে বলেছিল, রাহির সুইংয়ের জন্যই তাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তাহলে কেন একটা ম্যাচেও এই সুইং বোলারকে সুযোগ দেওয়া হলো না সেটি ভাবার বিষয়।

সব ক্রিকেটারের মতো বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন ছিল রাহিরও। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থেকেও রাহির সুযোগ না পাওয়াটা বিস্ময়কর হতে পারে। স্বয়ং রাহির কাছেও যে সুযোগ পাওয়াটা ছিল বড়ই বিস্ময়কর! ওয়ানডে ক্যাপ না পরেও বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাওয়ার পর রাহি জানিয়েছিলেন, ‘ইংল্যান্ডে গিয়েছিলাম ২০০৯ সালে। এরপর প্রায় ১০ বছর হয়ে গেছে। তাই ইংল্যান্ডে খেলার ইচ্ছা অনেক বেশি ছিল। আশা করেছিলাম যে, ২০ জনের মধ্যে থাকব। মিরপুরে প্রিমিয়ার লিগের দুটি ম্যাচে খুব ভালো পারফর্ম করেছিলাম। কিন্তু তখনো মনে হয়েছিল যে ২০ জনের ভেতরে থাকব। যখন শুনলাম ১৫ জনের মধ্যে আছি, তখন আরেকটু বেশি বিস্মিত হয়েছি।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads