• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড

ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট

অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ জুলাই ২০১৯

প্রবল প্রতিপক্ষ। চোখ রাঙাচ্ছিল অতীত রেকর্ডও। ১৯৯২ সালের পর বিশ্বকাপে কখনো অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারেনি ইংল্যান্ড। ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারবে এবার ইংল্যান্ড? দ্বিতীয় সেমির টস হওয়ার আগ পর্যন্তও এমন প্রশ্ন উড়েছে বার্মিংহ্যামের আকাশে। কিন্তু এত সহজভাবে প্রশ্নের উত্তর মিলে যাবে, তা হয়তো ভাবেনি ইংল্যান্ড। সেমির মহাযুদ্ধে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া বলতে গেলে এক প্রকার উড়েই গেল ইংল্যান্ডের দোর্দণ্ড দাপটে। অজিদের ৮ উইকেটে পর্যদুস্ত করে ২৭ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছে ইংলিশ শিবির। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের এটি চতুর্থ ফাইনাল। আগের তিনবারই হতাশ হতে হয়েছে। ঘরের মাঠে এবার হবে স্বপ্নপূরণ? ১৪ জুলাই রোববার বিশ্বকাপের ফাইনাল। ইংল্যান্ড মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ডের। ফাইনালে কে জিতবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে তার আগে বলা যায়, ২৩ বছর পর নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে চলেছে ক্রিকেটবিশ্ব।

লো স্কোরিং থাকা সত্ত্বেও প্রথম সেমিতে ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ছিল রাজ্যের উত্তেজনা। সেই তুলনায় অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচ একপেশে, একচেটিয়া। যেখানে দেখা মিলল শুধুই ইংল্যান্ডের দাপট। সেটা বোলিং-ব্যাটিং ও ফিল্ডিংয়েও। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে এক ওভার বাকি থাকতেই ২২৩ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ইংল্যান্ড হেসেখেলে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ১০৭ বল হাতে রেখে। উইকেট খোয়াতে হয় মাত্র দুটি। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মঞ্চে প্রথমবারের মতো হারল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।

সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডকে কখনোই চাপে পড়তে হয়নি। উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ১২৪ রান। জয়ের ভিতটা মজবুত সেখান থেকেই। স্টার্কের বলে এলবিডব্লিউর হওয়ার আগে ৩৪ রান করেন ওপেনার বেয়ারস্টো। সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আউট হন আরেক ওপেনার জেসন রয়। কামিন্সের বলে তিনি ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে ক্যারির গ্লাভসে। যদিও রিপ্লেতে ব্যাট-বলের সংযোগের প্রমাণ মেলেনি। আর তাই তো হা-হুতাশ করে মাঠ ছাড়েন ৬৫ বলে ৮৫ রান করা রয়। তার ঝড়ো ইনিংসে ছিল নয়টি চার ও পাঁচটি ছয়ের মার। ইংল্যান্ডের দলীয় রান তখন ১৪৭।

এরপর রানের গতি কিছুটা কমে আসে ইংল্যান্ডের। তবে আর পেছন ফিরে তাকাতেও হয়নি স্বাগতিকদের। রুট-মরগ্যানের অবিচ্ছিন্ন জুটি দলকে জয় পাইয়ে দেয়। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইংল্যান্ডকে উৎসবে মাতান অধিনায়ক মরগ্যান। ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন রুট। মরগ্যানের রান ৪৫। ৮ ওভারে ২০ রানে তিন উইকেট নেওয়া ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস জিতে নেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ইংলিশ পেস তোপের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ১৪ রানে হারায় তিন উইকেট। অধিনায়ক ফিঞ্চ গোল্ডেন ডাক। আর্চারের বলে এলবিডব্লিউ। বিপদ কাটাতে পারেননি ধারাবাহিক রানের মধ্যে থাকা ডেভিড ওয়ার্নারও। ৯ রান করে তিনি ওকসের শিকার। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ওকসের বলে বোল্ড হ্যান্ডসকম্বও। মহাবিপদে অস্ট্রেলিয়া। এমন পরিস্থিতিতে চতুর্থ উইকেট জুটিতে স্মিথ ও ক্যারি সামাল দেন শুরুর বিপর্যয়। শুধু তাই নয়, এই জুটিতে আসে সর্বোচ্চ ১০৩ রান। ক্যারি ৪৬ রানে বিদায় নেন রশিদের বলে।

তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে খণ্ড খণ্ড জুটি গড়তে থাকেন স্মিথ। ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে ৩৯ ও পেসার স্টার্কের সঙ্গে স্মিথের ৫১ রানের জুটিতে দুইশ অতিক্রম করে অস্ট্রেলিয়া। সর্বোচ্চ ৮৫ রান আসে স্মিথের ব্যাট থেকে। ১১৯ বলের ইনিংসে তিনি হাঁকিয়েছেন ছয়টি চার। ম্যাক্সওয়েল করেন ২২। পেসার হয়েও স্টার্ক খেলেন ৩৬ বলে ২৯ রানের কার্যকরী ইনিংস।

বল হাতে ইংল্যান্ডের হয়ে বিধ্বংসী ছিলেন জোফরা আর্চার। ১০ ওভারে দেন মাত্র ৩২ রান। উইকেট দুটি। ক্রিস ওকস পান ৮ ওভারে ২০ রানে তিন উইকেট। আদিল রশিদ ৫৪ রানে তুলে নেন তিন উইকেট।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads