• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আজ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি

ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট

সিরিজ বাঁচানোর লড়াই

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আজ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ জুলাই ২০১৯

শুরুটা হলো বাজে অভিজ্ঞতা দিয়েই। তিন ভার্সনেই ব্যর্থতার বিষবাষ্প উড়েছে প্রেমাদাসায়। কী ব্যাটিং, কী বোলিং। হয়নি মনের মতো কিছুই। বাজে ফিল্ডিংয়ের মহড়া চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে দলের দৈন্যদশা। শুরুটা যেখানে মনের মতো হতে পারত, উল্টো বিষাদের সুর দ্বীপরাষ্ট্রে। ৯১ রানের বাজে হার দিয়ে লঙ্কা মিশন শুরু করা বাংলাদেশ আজই নামছে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। সিরিজে টিকে থাকতে হলে জয়ের বিকল্প নাই। বাঁচা-মরার এমন ম্যাচটি কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শুরু হবে বিকাল ৩টায়।

মালিঙ্গার বিদায়ী ম্যাচ বলেই কী লঙ্কান শিবির খুনে মেজাজে ছিল প্রথম ওয়ানডেতে। প্রিয় সতীর্থের বিদায় বলে কথা। যার বিদায়ের উপলক্ষ তিনিই বরং এক কাঠি সরেস ছিলেন। ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডেতে একের পর ছুড়লেন বিষাক্ত ইয়র্কার। তাতে ভূপাতিত বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন তামিমসহ অনেকেই। ৩১৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ২২৩ রানে অলআউট। খেলা হয়নি ৫০টি বল। এমন দৃশ্য বাংলাদেশের সমর্থকরা শেষ কবে দেখেছে, তা ভাবার বিষয়।

আজ দ্বিতীয় ম্যাচ। ভাগ্য ভালো, নেই মালিঙ্গা। বাংলাদেশের জন্য তা সুখবরই বটে। তাও যদি ম্যাচটি জিতে সিরিজে সমতা আনতে পারে বাংলাদেশ। তাতেই মঙ্গল। না জিততে পারলে তখন চোখ রাঙাবে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা। টানা দুই ম্যাচে হারলে, তখন হোয়াইটওয়াশ এড়ানোও কষ্ট হয়ে যাবে তামিমদের। তার চেয়ে ভালো, আজকের ম্যাচটি অন্তত জিতে মান রক্ষা করা।

প্রথম ম্যাচের ভুলত্রুটি শুধরে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। এটা গতানুগতিক কথা বার্তা। মূলকথা, মাঠের খেলায় নিখুঁত পারফরম্যান্স। তাতেই যদি আসে সাফল্য। না হলে সেই হার। আজ হারলে সিরিজ খোয়াতে হবে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই। কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করছেন, ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো অবস্থা এখন। তবে আমাদের সুযোগ আছে। একটা ম্যাচ শেষ হয়েছে, আরো দুটি ম্যাচ বাকি আছে। অবশ্যই আমরা আগামীকালের (রোববার) ম্যাচটা জিততে চাই। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের যোগ্যতা না থাকলে আমি উত্তরটা দিতাম না। ইনশাআল্লাহ আমরা সিরিজে ফিরব।’

দ্বিতীয় ম্যাচে একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে। এমন গুঞ্জন চরমে। তবে সুজন সে খবরকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পরিবর্তনের কথাটা আমরা এখনো চিন্তা করিনি। সবসময় পরিবর্তন যে ভালো হয় তা নয়, আবার ভালোও হয়। প্রথম ম্যাচে আমরা এটাকেই সেরা দল হিসেবে ভেবেছি এবং এই দলে বিশ্বাস রাখতে চাই।’

প্রথম ম্যাচে কোনো ডিপার্টমেন্টেই ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। তা মানছেন কোচ সুজন। অধিনায়ক তামিম ইকবাল মানলেও কিছু যুক্তি দেখিয়েছেন সতীর্থদের প্রতি। তার মতে, ‘ব্যাটিং-বোলিংয়ে অনেক সময় অনেক কিছু হাতে থাকে না। ব্যাটিংয়ে খুব ভালো বল আসতে পারে, ভালো বলে চার হতে পারে। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে চাইলেই ভালো করা যায়।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads