• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ধবলধোলাই না মান রক্ষা? 

ফাইল ছবি

ক্রিকেট

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা তৃতীয় ওয়ানডে আজ

ধবলধোলাই না মান রক্ষা? 

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩১ জুলাই ২০১৯

বলা চলে দুঃসহ এক সিরিজ। ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক। টানা দুই বাজে হার। তাও শ্রীলঙ্কার মতো দলের বিরুদ্ধে, সাম্প্রতিক সময়টা যাদের বড্ড বিবর্ণ। সে তুলনায় বিশ্বকাপে কিছুটা চমক লাগানো বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল অনেকটাই। কিন্তু লঙ্কানদের মাটিতে সব ভবিষ্যদ্বাণী

বৃথা গেছে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এখন পর্যন্ত জয়হীন বাংলাদেশ। টানা দুই হারে সিরিজ খোয়া গেছে। এবার অপেক্ষা করছে যেন হোয়াইটওয়াশ। আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাাচ। হারলেই ধবলধোলাইয়ের শিকার হবে বাংলাদেশ। জিততে পারলে অন্তত মান রক্ষা হবে। সে মিশনেই মাঠে নামবে তামিম শিবির। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি। সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি, মাছরাঙা ও গাজী টিভি।

নেই মাশরাফি। লঙ্কান সফরে অধিনায়ক তামিম, যিনি কার্যত ব্যর্থ। ব্যাট হাতে দুই ম্যাচেই ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। কেন তামিম জ্বলে উঠতে পারছেন না, তা এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। কারণ তামিমের এই অফ ফর্ম গেল বিশ্বকাপ থেকেই। তাহলে কি নেতৃত্বভারে ন্যুব্জ হয়ে গেছেন তামিম? এমন প্রশ্নও অমূলক। কারণ বিশ্বকাপে সেই চাপ ছিল না তামিমের। সেখানেও পারেননি। বাংলাদেশের সাবেক কোচ জেমি সিডন্স তামিমকে নিয়ে বলেছেন, ‘তামিমের দরকার প্রবল ধৈর্য ও ভাগ্যের ছোঁয়া।’ আর তাতেই তামিমকে দেখা যেতে পারে স্বরূপে।

শ্রীলঙ্কায় কেন বাংলাদেশের এমন হতশ্রী চেহারা। প্রথম ম্যাচে ৯১ রানের হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে সাত উইকেটে হার। প্রথম ম্যাচে মালিঙ্গা অসাধারণ বোলিং করেছিলেন। অনেকে সেই কারণ দাঁড় করিয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে ছিলেন না মালিঙ্গা। বাংলাদেশ করতে পেরেছিল মাত্র ২৩৮ রান। যে লক্ষ্য টপকাতে বাংলাদেশের বোলারদের বিরুদ্ধে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের। তার মানে, বোলিং কিংবা ব্যাটিং খুবই বাজে। দু-একজন ছাড়া কেউ পারেনি দাঁড়াতে। সঙ্গে যোগ হয়েছে বাজে ফিল্ডিংয়ের প্রদর্শনী। আর সে কারণেই দুই ম্যাচে ফিফটি করা মুশফিকুর রহিম তৃতীয় ম্যাচের আগে জোর দিয়েছেন শুধু ফিল্ডিংয়েই।

মাশরাফি নেই। নেই সাইফউদ্দিন। ছুটিতে সাকিব ও লিটন। এই চারজনের অভাবেই কী ভুগছে বাংলাদেশ? অধিনায়ক তামিম সেদিকে আগালেন না। তার আস্থা বর্তমান ১৫ জন খেলোয়াড়ের ওপরই। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের হাতে আরো একটি ম্যাচ আছে। দলে যে ১৫ জন আছে তাদের প্রতি আমি এখনো আস্থাশীল, তাদের পাশেই আছি। আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। সেরা খেলোয়াড়দের নিয়েও ভালো খেলতে না পারলেও কিন্তু হারতে হয়। তাই যে ১৫ জন আছে তাদের নিয়েই ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, তাদের প্রতি আস্থা রাখতে হবে।’

সিরিজ জেতা লঙ্কানদের বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচে কেমন করে নেতিয়ে পড়া বাংলাদেশ, সেটাই দেখার দেখার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads