ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ সিরিজ দিয়ে আগামীকাল ১ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে দুই বছর মেয়াদি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বা টেস্ট বিশ্বকাপ। আর সাকিব আল হাসানদের টেস্ট বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী নভেম্বরে ভারত সফরের ম্যাচ দিয়ে।
৯টি টেস্ট খেলুড়ে দল নিয়ে শুরু হচ্ছে টেস্ট বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নশিপ। দলগুলো হলো- ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আইসিসির পূর্ণ সদস্য হলেও এই চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে পারবে না আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে। ১ আগস্ট ২০১৯ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২১ সাল পর্যন্ত চলবে এই আসর। আগামী দু’বছরে ২৭টি সিরিজে ৭১টি টেস্ট খেলবে দলগুলো। ৩০ এপ্রিল ২০২১-এর শেষে যে দুই দল লিগ পদ্ধতির পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে থাকবে, তাদের মধ্যে ১০ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত লর্ডসে হবে টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনাল।
আইসিসির নতুন নিয়মে বাংলাদেশের ছয় প্রতিপক্ষ ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি করে এবং শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি করে টেস্ট খেলবে সাকিবরা।
দু’বছরে হোম ও অ্যাওয়েতে ১৪টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। সাতটি নিজেদের মাটিতে, সাতটি দেশের বাইরে। চলতি বছরের নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্ট দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের টেস্ট বিশ্বকাপ।
নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ম্যাচের জন্য থাকছে পয়েন্টের ব্যবস্থা। প্রতি সিরিজে সর্বমোট ১২০ পয়েন্ট থাকবে। অর্থাৎ দুই ম্যাচের সিরিজ হলে এক একটি ম্যাচের পয়েন্ট হবে ৬০। সেখানে বিজয়ী দল পাবে পুরো ৬০ পয়েন্ট। হেরে যাওয়া দল শূন্য হাতে ফিরবে। ম্যাচ টাই হলে ৩০ করে পয়েন্ট পাবে দু’দল। ড্র হলে ২০ করে পয়েন্ট পাবে। আবার তিন ম্যাচের সিরিজ হলে এক একটি ম্যাচে বিজয়ী দল পাবে ৪০ পয়েন্ট। হেরে যাওয়া দল শূন্য হাতে ফিরবে। ম্যাচ টাই হলে ২০ করে পয়েন্ট পাবে দু’দল। ড্র হলে ১৩ দশমিক ৩ করে পয়েন্ট পাবে। চার ম্যাচের সিরিজ হলে এক একটি ম্যাচে বিজয়ী দল পাবে ৩০ পয়েন্ট। হেরে যাওয়া দল শূন্য হাতে ফিরবে। ম্যাচ টাই হলে ১৫ করে পয়েন্ট পাবে দু’দল। ড্র হলে ১০ করে পয়েন্ট পাবে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ হলে এক একটি ম্যাচে বিজয়ী দল পাবে ২৪ পয়েন্ট। হেরে যাওয়া দল শূন্য হাতে ফিরবে। ম্যাচ টাই হলে ১২ করে পয়েন্ট পাবে দু’দল। ড্র হলে ৮ করে পয়েন্ট পাবে।
