• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

ক্রিকেট

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান টেস্ট শুরু আজ

জয়ের খোঁজে বাংলাদেশ

  • মাহমুদুন্নবী চঞ্চল
  • প্রকাশিত ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ক্রিকেটের সাম্প্রতিক সময়টা বেশ বিবর্ণ। বিশ্বকাপে মনঃপূত ফল আসেনি। এরপর শ্রীলঙ্কা সিরিজে ভরাডুবি। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ। এর মাঝে ক্রিকেটের বয়সভিত্তিক দলগুলোও সুসংবাদ দিতে পারেনি। সব মিলিয়ে কেমন জানি খাপছাড়া, ধোঁয়াটে। এমন অবস্থায় একটি জয় যেন খুবই কাম্য। আজ থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার একমাত্র টেস্ট। সাদা পোশাকের বয়স বিবেচনায় দুই দলের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য থাকলেও লড়াইটা হবে সেয়ানে সেয়ানে, তা বলা বাহুল্য। তবে পয়মন্ত ভেন্যুতে জয়ের খোঁজে রয়েছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের মতে, একটি জয়ই পারে দলকে উজ্জীবিত করে কক্ষপথে ফেরাতে। সাদা পোশাকের দুই দলের লড়াই শুরু হবে আজ সকাল ১০টায়।

প্রায় ১৯ বছর ধরে টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। সেই হিসাবে আফগানিস্তান দলকে শিশুই বলা যায়। কারণ বাংলাদেশ যেখানে টেস্ট খেলেছে ১১৪টি, সেখানে আফগানদের খেলা টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা মাত্র দুটি। তবে মজার বিষয় হলো এই দুটি ম্যাচের মধ্যেই একটি জয় তুলে নিয়েছে আফগানরা। প্রথম টেস্টে ভারতের সঙ্গে ইনিংস ও ২৬২ রানের হার। দ্বিতীয় ম্যাচেই সাত উইকেটে জয় আইরিশদের বিরুদ্ধে। নতুন হলেও দুই ম্যাচের পরিসংখ্যানে আফগানরা বেশ উজ্জীবিত।

অন্যান্য দুই ফরম্যাটে আফগানরা বেশ চমক লাগানো দল। টেস্টেও সেই ধারাবাহিকতা রাখতে বদ্ধপরিকর দলটি। দলের মূল ভরসা স্পিন বিভাগ। অধিনায়ক রশিদ খানই দেবেন স্পিন আক্রমণের নেতৃত্ব। সঙ্গে আছেন চায়নাম্যান জহির খান। প্রস্তুতি ম্যাচে যিনি পাঁচ উইকেট নিয়ে চমক দেখিয়েছেন। দুজনের সঙ্গে আছে অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী। ত্রয়ী স্পিন অ্যাটাক বেশ ঝামেলায় ফেলতে পারে বাংলাদেশের ব্যাটিং দেয়ালে।

টেস্ট আঙিনায় নতুন হলেও চ্যালেঞ্জিং দল আফগানিস্তান। এমন দলের বিরুদ্ধে জয়টাই মুখ্য। আর সেটা যেকোনো ব্যবধানেই হলেই হলো। এমনটিই মনে করছেন সাকিব। এমন দলের বিরুদ্ধে জিতলে খুব বেশি প্রশংসা হবে না। তবে হারলে সমালোচনা আসবে টর্নেডো গতিতে। আর তাই সাকিব চাইছেন যেকোনো মূল্যে জিততে, ‘জয়টাই গুরুত্বপূর্ণ। ভালোভাবে আর খারাপভাবে নয়। ১ রানে জিতলেও সেটি জয়, ১০০ রানে জিতলেও। ১ উইকেট হোক বা ১০ উইকেট, জয় জয়ই। জেতাটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’

র্যাঙ্কিংয়ে অনেক পিছিয়ে আফগানিস্তান। তবে এসব বিষয়কে পাত্তা দিচ্ছেন না সাকিব, ‘র‍্যাঙ্কিং খুব বেশি ম্যাটার করে বলে আমার কাছে মনে হয় না। এর একটি বড় কারণ হলো, ওরা আসলে এতদিন ধরে শর্ট ফরম্যাট খেলছে এবং এত ভালো ক্রিকেট খেলছে, স্বাভাবিকভাবেই হয়তো ফরম্যাট ভিন্ন বলে আমরা ভিন্নভাবে চিন্তা করছি। কিন্তু ওদের দলে তো এ রকম ক্রিকেটার আছে যারা ম্যাচ জেতাতে সক্ষম।’

নিজেদের আত্মবিশ্বাস প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘নিজেদের জায়গা থেকে সবাই শতভাগ দিতে পারলে ভালো কিছু হবে। পেসারদের দায়িত্ব শুরুতে ব্রেক থ্রু এনে দেওয়া। স্পিনাররা ধরে রাখবে ম্যাচটি। আর ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব বড় জুটি গড়া। আর সেটা যদি হয় টপ অর্ডারে, তাহলে দলের জন্য তা হবে বাড়তি আত্মবিশ্বাসের। সবাই কদিন ধরে বেশ পরিশ্রম করেছে। এখন মাঠে সেটি ফুটিয়ে তোলার পালা। আর সেটি ঠিকঠাক হলে ফল আমাদের পক্ষেই আসবে।’ 

অন্যদিকে আফগান অধিনায়ক রশিদ খান খুব বেশি সমীহই করছেন বাংলাদেশকে। তিনি বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি আর টেস্ট এক জিনিস না। আমার সাদা পোশাকে খুবই নতুন। বাংলাদেশ এই ফরম্যাট অনেকদিন ধরেই খেলছে। আবার ম্যাচটি হবে তাদের মাটিতেই। তবে আমরা আমাদের সেরাটা দিতে চেষ্টা করব।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads