• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
লজ্জার হার ভুলতে চান সাকিব

ছবি বিসিবির

ক্রিকেট

লজ্জার হার ভুলতে চান সাকিব

  • বাসস
  • প্রকাশিত ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

অনভিজ্ঞ আফগানিস্তানের কাছে চট্টগ্রাম টেস্টে ২২৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। মাত্র দুই টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা থাকা আফগানিস্তানের, ১১৪ ম্যাচ খেলা বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয়া চাট্টিখানি কথা নয়। তবে এমন লজ্জার হারকে ভুলে গিয়ে আসন্ন ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজে মনোযোগি হতে চাইছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কারণ আগামী বছরই টি-২০ বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপের মিশন আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে শুরু করতে চাইছেন সাকিব। আফগানিস্তান-জিম্বাবুয়েকে নিয়ে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ত্রিদেশীয় সিরিজ।

২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাবার পর গেল ১৯ বছরে ১১৪টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু টেস্টে উন্নতির ছিটেফটাও যে বাংলাদেশের হয়নি, আফগানিস্তান তা হাড়ে-হাড়ে বুঝিয়ে দিলো টাইগারদের। টেস্টের প্রথম চার দিন বাংলাদেশের বিপক্ষে পুরোটা সময় জুড়েই আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে আফগানিস্তান। তাই চতুর্থ দিন শেষে ম্যাচ জয়ের মঞ্চ তৈরি করে ফেলে আফগানরা।

কিন্তু পঞ্চম দিন বাংলাদেশের সাথে আফগানিস্তানের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়ায় প্রকৃতি। পঞ্চম দিনের শুরু থেকে বৃষ্টির দাপট চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বিকেল বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে দ্বিতীয় দফায় খেলা শুরু হয়। বৃষ্টি বা আলো স্বল্পতা না হলে ১৮ দশমিক ৩ ওভার খেলা হবে, এমন সমীকরন ঠিক করে ম্যাচ পরিচালনাকারীরা।

এই সমীকরনে ম্যাচ জয়ের চিন্তাও করা যায় না। তবে ম্যাচ ড্র’র চিন্তা করা যায়। যখন ক্রিজে থাকেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও সর্বশেষ বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে ৮ ইনিংসে ৬০৬ রান করা সাকিব। সাথে ছিলেন সৌম্য সরকার। আর টেল-এন্ডারে ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম ও নাইম হাসান।

কিন্তু আফগানিস্তানের দুই স্পিনার রশিদ খান-জহির খানের বোলিং-এর সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের বাকী চার উইকেট। পতন হওয়া বাকী চার উইকেটের তিনটিই নিয়েছেন রশিদ। ৪৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানকে অবিস্মরনীয় জয় এনে দেন প্রথমবারের মত অধিনায়কত্ব করতে নামা রশিদ। এ ম্যাচ দিয়ে সবচেয়ে কম বয়সে টেস্টে অধিনায়কত্ব করার বিশ্বরেকর্ডও গড়েন রশিদ।

রশিদ ও তার দলের স্পিনারদের সাথে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পরিকল্পনায় সংমিশ্রন ছিলো বলে ম্যাচ শেষে বলেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব, ‘আমার মনে হয়, এই টেস্টে আমাদের ব্যাটসম্যান ও আফগানিস্তানের বোলিংয়ে প্রয়োগের সংমিশ্রণ ঘটেছে।’

টেস্টে ভালো করতে হলে, জিততে হলে দলের খেলোয়াড়দের আরও পরিশ্রম ও দায়িত্ব নিয়ে খেলা উচিত বলেও জানান সাকিব, ‘ভালো ও ধারাবাহিক দল হতে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করা জরুরি।’

প্রায় ১৯ বছর ধরে টেস্ট খেলার পরও এই হারের জন্য কোন অজুহাত অবশ্য দিলেন না সাকিব। বেশ আবেগী হয়ে সাকিব বলেন, ‘২০ বছর ধরে টেস্ট খেলার পর এখন আর বলতে পারি না, আমরা এখনও একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি।’

গেল মার্চে নিউজিল্যান্ডে টেস্ট খেলার পর আবারো বড় ফরম্যাট খেলতে নামে। ছয় মাস পর টেস্ট খেলতে নামার পর আফগানিস্তানের মত দলের কাছে হারতে হলো বাংলাদেশকে। কিন্তু এখানেও কোন অজুহাত না রেখে আফগানদের কৃতিত্ব দিলেন সাকিব, ‘নিউজিল্যান্ডের পর আমরা টেস্ট খেলতে নেমেছিলাম। তবে এমন পারফরমেন্সের জন্য আফগানিস্তানকে কৃতিত্ব দিতেই হবে।’

এমন লজ্জার হারকে দ্রুত ভুলে গিয়ে আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজে মনোযোগি হতে বললেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব এই ম্যাচ আমাদের ভুলে যাওয়া প্রয়োজন। সামনেই টি-২০ ম্যাচ। তাই ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের দিকে নজর দিতে হবে আমাদের।

টি-২০ ফরম্যাটে আফগানিস্তানকে আরও বেশি শক্তিশালী দল বলছেন সাকিব, ‘টি২০ ফরম্যাটে আফগানিস্তান খুবই ভালো দল।’

ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে আগামী বছর টি-২০ বিশ্বকাপের মিশন শুরুর ইঙ্গিত দিলেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads