• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
ফাইনালে চোখ বাংলাদেশের

ফাইল ছবি

ক্রিকেট

ফাইনালে চোখ বাংলাদেশের

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

প্রথম ম্যাচে কষ্টেসৃষ্টে জয়। দ্বিতীয় ম্যাচে বড় হার। আজ জিততে পারলেই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। এমন আবহের ম্যাচে আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। অন্যদিকে এ ম্যাচটি জিম্বাবুয়ের জন্য ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখার মিশন। ম্যাচটি জিততে পারলে টিকে থাকবে ফাইনালের স্বপ্ন। তবে হেরে গেলে বিদায়। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের শুরুটা স্বস্তির। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে তিন উইকেটে জয়। যদিও ম্যাচটি ছিল উত্তেজনায় পরিপূর্ণ। টপ অর্ডারদের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। শেষ পর্যন্ত তরুণ আফিফ ও মোসাদ্দেকের ব্যাটে জয় পায় বাংলাদেশ। এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখা যায়নি দ্বিতীয় ম্যাচে। আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচে একপ্রকার উড়ে গেছে বাংলাদেশ। বল হাতে দারুণ শুরুর পরও বাংলাদেশ হেরে যায় ২৫ রানে। এই ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ ছাড়া কোনো সিনিয়র ক্রিকেটারই দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারেননি। অন্যদিকে আফগানদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সঙ্গে দেখা মেলে বুড়ে হারে ভেল্কি মোহাম্মদ নবীর চমক। ৫৪ বলে সাত ছক্কা ও তিন চারে ৮৪ রানে অপরাজিত ইনিংস। মূলত নবীর কাছেই যেন হার মানে বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ে প্রথম ম্যাচ হারে বাংলাদেশের সঙ্গে। দ্বিতীয় ম্যাচে ২৮ রানে হার আফগানিস্তানের কাছে। তার মানে ঢাকা পর্বে দুই ম্যাচে দুটিতেই জয় আফগানিস্তানের। বাংলাদেশের থলেতে এক জয় এক হার। আফগানদের হার দুটিতেই। আজ জিততে পারলে কোনো হিসাব ছাড়াই ফাইনালের টিকিট পাবে বাংলাদেশ। সঙ্গে আফগানিস্তানও। তখন চট্টগ্রামে অনুষ্ঠেয় বাকি দুটি ম্যাচ হয়ে যাবে নিতান্ত আনুষ্ঠানিকতার। আজ জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান থেকে শুরু করে সবাই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। চট্টগ্রাম পর্বে স্কোয়াডে এসেছে পরিবর্তন। নেই সৌম্য সরকার। দলভুক্ত হয়েছেন কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার।

জিম্বাবুয়ে পাখির চোখ করে আছে জয়ের জন্য। দুঃসময়ে থাকা বাংলাদেশকে চেপে ধরতে চায় মাসাকাদজা শিবির। গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে জিম্বাবুয়ের সিনিয়র ক্রিকেটার শন উইলিয়ামস অবশ্য বললেন, সুযোগ কাজে লাগাতে তাদেরও নিজেদের কাজটা করতে হবে ঠিকঠাক। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের কাজ মন দিয়ে করতে পারি, বাকি সব আপনাআপনি ঠিক হবে। আমরা জানি, ওরা চাপে আছে। কিন্তু আমাদের মৌলিক দিকগুলো ঠিকঠাক করতে হবে।’

এমনিতে অবশ্য বাংলাদেশ দলকে নিয়ে জিম্বাবুয়ের সমীহের শেষ নেই। সময় বিরুদ্ধ হলেও দলটার সামর্থ্য যে দারুণ, এটা জানেন উইলিয়ামস। তাই আগে নিজেরা খেলতে চান সামর্থ্য অনুযায়ী, ‘বাংলাদেশ খুব ভালো অলরাউন্ড দল। তাদের অবকাঠামো খুব ভালো, যেটি ছড়িয়ে ক্লাব পর্যায় পর্যন্ত। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেকোনো কিছুই হতে পারে। আগেই বলেছি, সূক্ষ্ম ব্যাপারগুলো পার্থক্য গড়ে দেয়। ওদের দারুণ কিছু ক্রিকেটার আছে, অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে। সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, মুশি ওরা সবাই খুব ভালো ক্রিকেটার। সেটিকে আমরা সমীহ করি। আমরা নিজেদের কাজে মনোযোগ দিতে চাই, নিজেদের কাজগুলো করতে চাই নিজেদের জন্য।’

হেরে যাওয়া ওই দুই ম্যাচেই জয়ের উপকরণ খুঁজে পাচ্ছেন উইলিয়ামস। ছোট ছোট কিছু ব্যাপার ঠিকঠাক করতে পারলেই ধরা দেবে জয়। তার মতে, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে আমাদের জিততেই হবে। আসলে পরের দুটি ম্যাচই আমাদের আবশ্যিক জয়ের ম্যাচ। আমরা যদি মৌলিক দিকগুলো ঠিকঠাক করতে পারি। যেমন ফিল্ডিং, কিছু সূক্ষ্ম ব্যাপার আছে, সেগুলো যদি ঠিকঠাক করতে পারি, দুটি ম্যাচ জয়েরই ভালো সম্ভাবনা আছে আমাদের। আগের দুটি ম্যাচেই আমরা উভয় দলকে কঠিন সময় দিয়েছি, শেষ ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়েছি। সামনে যদি মাঠে সময়মতো ভালো সিদ্ধান্ত আরো নিয়মিতভাবে নিতে পারি, আমাদের এগিয়ে যাওয়ার ভালো সম্ভাবনা আছে।’

অন্য দুই দলের সঙ্গে ব্যবধান খুব বেশি মনে করেন না বলেই ফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে প্রত্যয়ী উইলিয়ামস, ‘অবশ্যই (ফাইনালে খেলা সম্ভব), আমি সব সময়ই বিশ্বাস করি। খেলাটায় পার্থক্য গড়ে সূক্ষ্ম কিছু বিষয়...কিছুই অসম্ভব নয়। আমরা মাঠে নেমে সর্বোচ্চটা উজাড় করে দেব।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads